পর্বঃ ১৭

71 6 5
                                    

- বাগদত্তা? হ্যা? ও তোর বাগদত্তা? সেদিন তোকে Worning দিয়ে ছেরে দিয়েছিলাম আজ তোকে মেরেই ফেলবো।

অনেক কষ্টে সব টিচার রা মিলে শুভকে থামায় আর কিছু স্টুডেন্ট নিশানকে তুলে হসপিটালে নিয়ে যায় এদিকে তিশা এক দিনে এত বড় সক্ট হজম করতে পারছে না ও কাদছে দাড়িয়ে খুসির কান্না করছে কারন ও ওর অধিকারের প্রথম ধাপ দিয়ে ফেলেছে। শুভ এসে তিশার হাতটা আস্তে করে ধরে সবার সামনে বের হয়ে আসে।

- বাইকে বসতে পারবেন নাকি রিক্সা ডাকবো?
- তোমার সমস্যা হলে রিক্সা ডেকে দাও।

শুভ কিছু না বলে বাইকে উঠে বাইক স্টার্ট দেয় তিশা চুপটি করে বাইকে উঠে বসে, তবে মাঝখানে ফাকা রেখে, শুভ তিশার এমন কাজে অবাকই হয়। শুভ বাইক চালিয়ে বেরিয়ে যায়।

- আমকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে তুমি বাড়িতে চলে যাও।
- বাড়ি যাবেন কেনো?
- আচ্ছা যাবোনা, শুভ, একটা কথা বলি?
- হুম?
- তোমাকে জরীয়ে ধরি? প্লিজ!
- আগে তো কখনও আমার অনুমতি নিতে শুনি নাই?
- হুম সেটাই তো তোমার অনুমতি নিতে যাবো কেনো? বউ তো আমি তোমার।

বলেই শুভকে জরীয়ে ধরতে গিয়েও ধরতে পারে না, হাতের ব্যাথায় কুঁকিয়ে ওঠে, শুভ তারাতারি বাইক ব্রেক করে বাইক থামিয়ে দিয়ে তিশার হাত দুটো টেনে কাছে নিয়ে ফু দিতে থাকে, তিশা মুচকি হেসে ওঠে।

- এখানটায় ফু দিয়ে দাও( শুভ দেয়) এখানটায় ও( শুভ দেয়) 

তিশা মিটিমিটি করে হাসছে আর শুভর দিকে তাকিয়ে আছে।

আমি জানি আজ আমার কোনো দোষ ছিলো না,আবিরের সাথে আমাকে ওভাবে দেখে তুমি নিজের রাগ কে কন্ট্রল করতে পারো নি তাই রাগ টা এভাবে কমিয়েছো আর আমি এটাও জানি আমার জন্য তোমার মনে একটু হলেও ফিলিংস জমেছে, তা না হলে আজ নিশান কে এভাবে মারতে পারতে না, আমি কোনোদিন তোমাকে আজকের দিন এর ঘটনা নিয়ে কোনো প্রশ্ন করবো না কারন মারার অধিকার একমাত্র তারই যে ভালোবাসে, তুমি আমার গায়ে হাত তুলে যে কত কষ্ট পাচ্ছো সেটা আমি তোমার চোখ দেখেই বুঝতে পারছি, আমি তোমার চোখে কষ্ট দেখতে চাই শুভ, শুধু আমার জন্য, আমার ব্যাথায় ব্যাথিত হতে দেখতে চাই তোমায়, বড্ড ভালোবাসি তোমাকে, বড্ড বেশি ভালোবাসে তোমাকে তোমার বউ টা।

বউ - Wife  | √Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ