পর্বঃ ১১

45 4 0
                                    


শুভ গিয়ে ফ্রেস হয়ে খেতে বসে,আর তিশা গিয়ে সামনে বসে, শুভ খাওয়া শুরু করলে তিশা শুভর হাত টেনে দুবার খেয়ে এসে বিছানায় গুটিশুটি মেরে শুয়ে পরে,

শুভ তিশার কোনো কাজই ঠিকঠাক বুঝতে পারছে না, আর এই মেয়েকে শুভ কোনোদিনই বুঝতে পারবে না।

শুভ চুপচাপ খেয়ে ফোন নিয়ে বেলকুনিতে চলে যায়, তিশা বুঝতে পারে শুভ কার সাথে কথা বলতে গেছে,কিন্তুু তিশা কিছু না বলে ঘুমিয়ে পরে, রাতে উঠে খায় ও নি, শুভ ও তিশাকে ডাকে নি,

সকালে শুভ ঘুম থেকে উঠে বসে দেখে তিশা রুমে নেই, শুভ আর কিছু না বলে চুপচাপ ফ্রেস হয়ে কলেজে বেরিয়ে আসে কিন্তুু কেনো জানি শুভর চোখ দুটো কাউকে খুজে বেরিয়েছে।

কলেজে এসেও শুভ তিশাকে কোথাও দেখে না, চুপিচুপি চারদিকে শুভ চোখ বুলিয়ে নেয়, কিন্তুু তিশাকে কোথাও দেখতে পায় না, শুভর এবার মনে মনে খটকা লাগতে শুরু করে।

- দেখছিস আজকেও শুরু হয়েছে,কাল কি ব্যাপার টাই না হলো(শিলা)
- ঠিকই বলেছিস, ওর ফ্যামিলির কাউকে চিনিনা, জানলে একটা খবর দিতাম,মেয়েটাকে নিয়ে না জানি কি করছে(জয়া)
- চল না একবার প্রিন্সিপ্যাল স্যারের কাছে যাই,
- গিয়ে কি করবি? জানিস না বদমাইশ গুলা কে,
- কি হয়েছে?(শুভ)
- আসলে স্যার(জয়া)
- কি হয়েছে? জানতে চেয়েছি,
- আসলে কাল কলেজ ছুটির পরে কলেজ এর লিডার ছেলে গুলো তিশাকে অনেক অপমান করেছে(শিলা)

তিশার নামটা শুনে শুভর বুকের মধ্যে তরাস করে উঠে,

- ত,তি মানে?
- ওই যে আমাদের কলেজে নতুন ভর্তি হয়েছে ও(জয়া)
- জানি সেটা,কি হয়েছে ওর? কে কি বলেছে?
- কাল ওরা তিশাকে অনেক টিজ করেছে, আমরাও ছিলাম কিন্তুু ওদের সামনে টিকতে পারিনি, ওরা তো তিশার গায়ে হাত দেবারও চেষ্টা করেছে,পরে তিশা কাকে যেনো ফোন দিলো কিন্তুু সে হয়তো ফোন ধরেনি,ছেলে গুলো তিশার ফোনটা কেরে নিয়ে নেয় আর তিশার গলা থেকে চেইন টা ছিরে নেয়(শিলা)
- whattttt? এত্ত কিছু হয়ে গেলো কলেজে আর কেউ,
- স্যার রাজনৈতিক কলেজ এটা কে কি বলবে? আর এত্ত কিছু হয়ে যাবার পরেও মেয়েটা আবার ওদের কাছে গেছে(জয়া)
- ওদের কাছে মানে?
- আসলে ওর চেইনটা নাকি তিশার মা এর ও ওটা নিতে গেছে,আর একাই গেলো,আমাদের যেতে(শিলা)

বউ - Wife  | √Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ