নবীজির প্রতি বার্তা

19 0 0
                                    

Photo Credit: Haidan

Oops! This image does not follow our content guidelines. To continue publishing, please remove it or upload a different image.

Photo Credit: Haidan

যখন তোমার কোনো কাছের আত্মীয় বা বন্ধু এসে বলে: "আমি দেশের বাড়ি রওয়ানা হচ্ছি, তোমার বাবার সাথে দেখা হবে, তাঁকে কিছু বলতে হবে নাকি? কিংবা তোমার থেকে কোনো চিঠি আছে যা তার কাছে পৌঁছে দিব?" এতে সন্দেহ নেই যে সে তোমার সাথে মোলাকাত করবে, তার থেকে হয়ত খোশখবর শুনবে, শরীরের হালপুরসি করবে। তুমি তখন বলে থাকবে যে, "বাবাকে আমার সালাম জানাবেন। আর তাঁকে বলবেন যে আপনার ছেলে আল্লাহর রহমতে ভালোই আছে, আপনি তাঁকে যেমন সুস্থ শরীরে এবং হাসিখুশি দেখতে পছন্দ করেন।"

তেমনিভাবে মুসলমানরা বিশ্বাস করে যে, মওত হচ্ছে আখেরাতের জন্য ব্রিজস্বরুপ, যে মুসলমানই এ ব্রিজ পার হন, তিনি আখেরাতের জাহানে পা রাখেন, পেয়ারা নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাঁর যেয়ারত লাভে ধন্য হন। আর প্রিয় মহানবী-ও তাঁর উম্মতের জন্য অধীর আগ্রহে থাকেন।

তবে এমনও হতে পারে, তোমার সেই আত্মীয় বা বন্ধু কোনো মুশকিল বা দুর্ঘটনার কারণে দেশের বাড়িতে পৌঁছাতে পারেনি, তোমার বাবার সঙ্গে দেখা করতে পারেনি। লেকিন মুসলমানরা মাইয়েতের আখেরাতের জাহানে পৌঁছানো এবং নবীজির সঙ্গে মোলাকাত নিয়ে বিন্দুমাত্র সংশয়ে ভুগতেন না।

একবার মুসলমানরা শামে[১] অভিযানে বের হল। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "অচিরেই রোম-পারস্যের ধনভাণ্ডার তোমাদের করতলগত হবে।" খোদ আল্লাহ তাআলা এ দুই সাম্রাজ্যের বিজয়ের ওয়াদা দিয়েছেন। তিনি এরশাদ করেন: "অবশ্যই আমার সেনারাই বিজয়ী হবে। আমার সৈন্যরাই (গায়েবী) সাহায্যপ্রাপ্ত হবে।"[২] তাঁরা আল্লাহর বিজয়ের প্রতি আস্থাশীল ছিলেন। আর ঠিক তেমনটাই হয়েছিল। তাঁরা শহরের পর শহর জয় করছেন, অনেক বড় লস্করদের কচুকাটা করছেন।

ইয়ারমুকের যুদ্ধদিবসে একজন সাধারণ সেনা এসে মুসলমান কমান্ডার আবু উবায়দা রাদি. কে এসে বললেন: "আমি আমার কাজের (শাহাদাত) জন্য প্রস্তুত। আল্লাহর রাসুলের কাছে আপনার কিছু বলার আছে কী?" তো তিনি বললেন: "জ্বি হ্যাঁ! তাঁকে আমার সালাম জানিও। আর হ্যাঁ, আরও বলবে, হে আল্লাহর রাসূল! আমাদের পরওয়ারদেগার-এ-জাহান আমাদের ওপর যে ওয়াদা দিয়েছিলেন আমরা তা একেবারে যথাযথভাবে পেয়েছি।"


পাদটীকা:

[১] শাম হচ্ছে সিরিয়ার আরবী নাম। নবীযুগে জর্দান, ফিলিস্তিন ও সিরিয়া মিলে শাম বলা হত। শাম তখন বাইযেন্টাইন সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। বর্তমান শাম হচ্ছে সিরিয়া।

[২] সুরা সাফফাত, ১৮৮-১৮৯।


(সায়্যিদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. এর "আল-কিরাআতুর রাশিদা" কিতাবের "রিসালাতুন ইলা রাসুলিল্লাহ" গল্প থেকে অনূদিত)

তরজমাশালাWhere stories live. Discover now