Photo: Collected
আব্দে মানাফের সন্তানদের মধ্যে হাশেম বড় এবং মুত্তালিব ছোটো ছিলেন। হাশেম ছিলেন খুব মেহমানপ্রিয়, সুদর্শন ও মান্যবর ব্যক্তিত্বের অধীকারী। মক্কার নেতাও ছিলেন বটে।
একবার কিছু ব্যবসায়ী মাল নিয়ে শামে রওনা দেন। পথিমধ্যে ইয়াস্রিবে (তৎকালীন মদীনা শহরের নাম) এলে বনী নাজ্জার গোত্রের ওমর বিন লাবিদ খাজরাজীর বাড়িতে অবস্থান করেন। ওমরের মেয়ে সালমা ছিলেন রূপবতী। হাশেম তার রূপের মোহে বিমোহিত হয়ে ওমরের কাছে শাদীর প্রস্তাব পেশ করেন। ওমর সাথে শর্ত জুড়ে দেন যে মেয়েকে গর্ভকালে ইয়াস্রিবে পাঠাতে হবে যাতে গর্ভকালে আদরের দুলালকে ভালোভাবে দেখভাল করা যায়।
হাশেম শর্ত মঞ্জুর করেন। শাদী মোবারক শেষ করেই শাম দেশে রওনা হন। মাসকয়েক পর সেখান থেকে ফেরার পথে ইয়াস্রিব থেকে বিবিজানকে মক্কায় যান।
সালমা গর্ভবতী হন এবং হাশেম শর্ত মোতাবেক বিবিকে ইয়াস্রিবে পৌঁছিয়ে দিয়ে নিজে শামের পথে যাত্রা ধরেন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! হাশেমের সাথে সালমার এটাই ছিল আখেরী মোলাকাত। এরপর মৃত্যুর সঙ্গে হাশেমের মোলাকাত ঘটে। এন্তেকালের সময় হাশেমের বয়স মাত্র বিশ এবং মতান্তরে পঁচিশ ছিল। যৌবনের ফুলবাগানে বেশিদিন মালী হওয়ার নসীব জোটেনি। হাশেমের নেতৃত্বের চাবিকাঠি তার ভাই মুত্তালিবের হাতে আসে।
হাশেমের তিরোধানের পরে সালমার ছেলেসন্তান জন্মলাভ করে। তার নাম রাখা হয়েছিল 'শাইবা'। আশার আলো এ এতীম বাচ্চার শৈশব কাটল নানা ওমর বিন লাবিদের ছায়াতলে।
শাইবার বয়স তখন সাত বছর, বনী হারিস গোত্রের একজন লোক মক্কা থেকে ইয়াস্রিবে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সে দেখল যে একটা ছেলে কিছু ছেলেদের সঙ্গে তীরন্দাজি খেলছে। ছেলেটির তীর নিশানায় লাগামাত্রই গর্বভরে উচ্চকণ্ঠে বলল: 'আমি হাশেমের ছেলে, আমি মক্কার সর্দারের ছেলে।'
YOU ARE READING
তরজমাশালা
Randomএটি আমার জিন্দেগির নয়া সফর, তবে সফরের সীমা-সরহদ কোথায় গিয়ে ঠেকবে আল্লাহ মালুম। আমার পছন্দসই গল্প বা প্রবন্ধ আরবী, উর্দু, আংরেজি বা ফারসি থেকে তরজমা করে প্রকাশ করব। লিখা পড়ে ভুল-ত্রুটি বা আরও ভালো করার সুপরামর্শ দিতে ইচ্ছা করেন, তাহলে মেহেরবানি করে এ...