কাপুরুষতা (জুবন)

2 0 0
                                    

'জুবন' অর্থ কাপুরুষ হওয়া। জরুরত পরিমাণ রাগ বা কঠোরতাকে সাহসিকতা (শুজায়াত) বলে। জরুরতের চেয়ে কম রাগকে কাপুরুষতা বলে। ইমাম শাফেয়ী রহ. বলেন, "সাহসিকতার যে কাপুরুষোচিত আচরণ করে সে গাধার মত। যে হাকিম দ্বারা সাজাপ্রাপ্ত হয় সে সাজা যে কবুল করে না সে শয়তানের মত।"

কাপুরুষ ব্যক্তি পরিস্থিতি আসলে নিজের বিবি বা আত্মীয় স্বজনের জন্য গায়রত দেখাতে পারে না, অবশ্য সে অন্যের মাল-সম্পদের প্রতি লোভী হয়। সে কোন কাজ স্থিরচিত্তে করতে পারে না, কোন জিম্মাদারীর গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পারে না।
সুরা তাওবায় আল্লাহ পাক সাহসিকতার তারিফ করেছেন। সুরা নুরে জিনার হদ্দে (দণ্ডবিধি) মেহেরবানি করতে মানা করেছেন। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "যদি মুহাম্মাদের কন্যা ফাতেমাও চুরি করত, তাহলেও অবশ্যই আমি তার হাত কেটে দিতাম।"
সুরা ফাতহে আল্লাহ পাক রাসুলের সাহাবাদের প্রশংসা করেছেন "কাফেরদের প্রতি কঠোর" উল্লেখ করে। তিনি প্রশংসা করেছেন কারণ তারা কাফেরদের প্রতি ছিলেন রাগী এবং যুদ্ধে তাদের প্রতি কঠোরতা দেখিয়েছেন। আল্লাহ পাক বলেছেন: "কাফেরদের প্রতি কঠোর হও!" এর মানে হচ্ছে কাফেররা হামলা করলে আমাদের কাপুরুষ হয়ে বসে থাকা অনুচিত। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: "আমার উম্মতের শ্রেষ্ঠ অংশ লোহার মত অবিচল হবে।"
যারা ইসলামের উপর হামলা করে, মুসলিমদের প্রতি তীব্র দুশমনি করে তাদের প্রতি কঠোর হওয়া উচিত, এসব লোকদের প্রতি কাপুরুষতা দেখানো জায়েজ হবে না। ভীতুর মত পালালেও আল্লাহর ফয়সালা বদলাবে না। যখন আল্লাহ পাক কারও মওতের ফয়সালা করেন, সে যেখানেই থাকুক আজরাইল তাকে খুঁজে নিবে। নিজেকে মসিবতের মুখে ঠেলে দেওয়া বিলকুল জায়েজ নাই।

(Huseyn Hilmi Isik এর Ethics of Islam থেকে অনূদিত।)

তরজমাশালাWhere stories live. Discover now