জাহিয বলেন, জীবনে শুধু একবার সবচেয়ে বেশি শরমিন্দা হয়েছিলাম। রাস্তায় চলার পথে এক মহিলা সামনে এসে বলল, 'আপনাকে একটু দরকার, আমার সঙ্গে চলুন'। অগত্যা তার পিছে হাঁটতে থাকলাম। তারপর সে একজন শিল্পীর সামনে আমার দিকে ইশারা করে বলল: 'ঠিক এরকম' এবং সে চলে গেল। আমি তো অনেকক্ষণ হা হয়ে মূর্তির মত দাঁড়িয়ে। অবশেষে শিল্পীকে সোয়ালটা করেই বসলাম যে ব্যাপারটা কি আসলে। শিল্পী সাহেব বললেন: সে আর বলেন না! ভদ্রমহিলাটা এখানে এসেই আমাকে বলল, 'একটা শয়তানের চিত্র বানিয়ে দিন তো'। তার আবদার শুনে আমার চক্ষু ছানাবড়া। প্রত্যুত্তরে বললাম, 'কী আজিব! হতচ্ছাড়া অভিশপ্তটার সুরতই তো দেখিনি জিন্দেগিতে'। এতে সে আপনাকে হাজির করল, তারপর আমার জিম্মাদারী আমি আদায় করলাম।
তাইতো জাহিযের ব্যাপারে এক কবি বলেছিলেন:
"যদি শুয়োরের চেহারাও আবার বিকৃত করা হয়, তবুও সেটা জাহিযের (বদসুরতের) চেয়ে কম হবে।"
নোট: আবু উসমান আল বসরী, জাহিয নামে পরিচিত। তিনি একজন মশহুর আরবী সাহিত্যিক ছিলেন। ৭৭৬ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। আকিদা-চিন্তাধারায় মু'তাজিলা ছিলেন। বিভিন্ন কালজয়ী সাহিত্য রচনার মাধ্যমে আরবী সাহিত্যে তিনি অমর হয়ে আছেন। চোখ বিশালাকৃতি ও স্ফীত হওয়ায় 'জাহিয' (স্ফীত চোখের অধিকারী) নামে পরিচিত হন। ৮৬৮ সালে বা মতান্তরে ৮৬৯ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
(নাফহাতুল ইয়ামান থেকে অনূদিত)
YOU ARE READING
তরজমাশালা
Randomএটি আমার জিন্দেগির নয়া সফর, তবে সফরের সীমা-সরহদ কোথায় গিয়ে ঠেকবে আল্লাহ মালুম। আমার পছন্দসই গল্প বা প্রবন্ধ আরবী, উর্দু, আংরেজি বা ফারসি থেকে তরজমা করে প্রকাশ করব। লিখা পড়ে ভুল-ত্রুটি বা আরও ভালো করার সুপরামর্শ দিতে ইচ্ছা করেন, তাহলে মেহেরবানি করে এ...