স্থলে জাহাজচালনা

3 0 0
                                    

Photo: Collected

Hoppla! Dieses Bild entspricht nicht unseren inhaltlichen Richtlinien. Um mit dem Veröffentlichen fortfahren zu können, entferne es bitte oder lade ein anderes Bild hoch.

Photo: Collected


স্থলে জাহাজ চালানোর কথা শুনেছ কখনও? যদি কেউ এসে কাহিনী শোনায় তাহলে বিশ্বাস করবে কী?

হয়ত ঠিকই বলবে: "বাপ-দাদার জনমেও এমনটা শুনিনি।" কিন্তু হ্যাঁ, কন্সট্যান্টিনোপোল বিজয়ী দ্বিতীয় মুহাম্মদ স্থলে জাহাজ চালিয়েছেন।

এ দুঃসাধ্য কাজ কীভাবে করেছিলেন জানো কী?

আরবরা কন্সট্যান্টিনোপোল দি গ্রেটে আক্রমণ করেছিল ছয় বার; কিন্তু বিজয় তাদের পদচুম্বন করেনি। আল্লাহ তাআলা এ মহান বিজয়ের নিয়তি লিখে রেখেছিলেন এক ওসমানীয় চব্বিশ বছর বয়সী যুবকের জন্য। এ হল আল্লাহর অনুগ্রহ, তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন।

মুহাম্মদ বিরাট প্রস্তুতি নিয়ে বের হলেন কন্সট্যান্টিনোপোল অভিযানে। মহান আল্লাহর শাহী ফরমান: {আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে।} (সুরা আনফাল, ৮:৬০)

প্রস্তুতি হিসেবে সামানা ছিল তার অধীনস্থ তিন লাখ সেনা আর এক বিশাল গোলন্দাজবাহিনী। তাদের এমন এক আজদাহা সাইজের কামান ছিল য়ুরোপেও যার হদিস মিলত না। প্রস্তুতির মহড়া চলছিল জোরসে, গন্তব্য এক মাইল ছুঁই ছুঁই। সাথে একশ' যুদ্ধজাহাজ সজ্জিত নৌবহর।

মুহাম্মদ পৌঁছে গিয়ে দেখতে পেলেন যে শত্রুরা কন্সট্যান্টিনোপোলের প্রবেশপথ 'ক্বারনুয যাহাব'[১] উপসাগর শেকলবদ্ধ করে রেখেছে। তাহলে এখন পার হওয়ার কি উপায়?

হতাশার মেঘ সরিয়ে সরিয়ে সুবুদ্ধির আলো খুঁজতে শুরু করলেন তিনি। পরক্ষণে পেয়েও গেলেন, কাসেম পাশার[২] দিক দিয়ে পার হওয়া যায়। কিন্তু জায়গাটি তাঁর জাহাজগুলো থেকে ছিল বহুদূর। কে এতদূরে এপার থেকে ওপারে সেগুলো নিয়ে যাবে???

ফের নতুনকরে আলোর আশায় জমে থাকা কালো মেঘগুলো সরালেন। এবার পেলেন আলোর চেয়েও দ্বীপ্তিময় কিছু।

সাথে থাকা কাঠগুলোতে তেল লেপে দিলেন। সেগুলো পিচ্ছিল হওয়ার পর একে একে পিছলিয়ে দেয়া হল সত্তরটি জাহাজ।

কন্সট্যান্টিনোপোলের বাসিন্দাদের মুখে সহসা ফুটে উঠল পরাজয় ও লাঞ্ছনার ছাপ, মুসলিমদের জাহাজের নোঙ্গর এখন কন্সট্যান্টিনোপোলের উপকূলে। অনুতপ্ত হওয়া ছাড়া আর পথ বাকি রইল না তাদের।

এভাবেই খ্রিস্টানদের অপ্রতিরোধ্য বাইজেন্টাইনের রাজধানী কন্সট্যান্টিনোপলের পতন হয়েছিল একজন মুসলিম যুবক জেনারেলের হাতে।

মুহাম্মদের বিজয়দিন থেকে (৮৫৩ হিজরী/১৪৫৩ ঈসায়ী) আজ পর্যন্ত[৩] এ সুমহান শহর ও তুর্কি মুসলমানদের অধীনে রয়েছে।

{আগে ও পরের ফয়সালা আল্লাহর হাতেই।} (সুরা রূম, ৩০:০৪)

হাশিয়া:

[১] 'ক্বারনুয যাহাব' (The Golden Horn) তুর্কির একটি উপসাগরের নাম। বিস্তারিত জানতে উইকিপিডিয়াব দেখুন।

[২] কাসিম পাশা বর্তমানে সম্ভবত তুর্কির এদির্নেতে (Edirne) অবস্থিত।

[৩] গল্পটি লিখার সময়ও হয়ত ওসমানী খেলাফতের পতন হয়নি হয়ত।


(সাইয়েদ আবুল হাসান আলী নদভী রহ. এর আল কিরাআতুর রাশিদা থেকে অনূদিত)

তরজমাশালাWo Geschichten leben. Entdecke jetzt