সকাল ১০ টা।ঝুমুর ঘর থেকে বের হয়েছে।কিন্তু এদিক ওদিক ঘোরাঘুরি করছে।এখনও কফির কথা বলে নি।
-কি রে,কফি খাবি না?
-না।
-কেন?
-মেজাজ খারাপ তাই।
-মেজাজ খারাপ কেন?
-জানি না।
-কিছু খা।ভালো লাগবে।
-নাহ্।
-তাহলে কি করবি?
-জানি না।
-কি হয়েছে বলতো?
-কিছু না।
-তোর বাবা মার সাথে কথা হয়নি কাল?
-হয়েছে।
-কোনো ঝামেলা করছিস ওদের সাথে?
-নাহ্।
-"তার" সাথে ঝামেলা করছিস?
-মানে?
-মানে তোর গাধা।
-নাহ্।
-তাহলে?
-কিছু না।
এই বলেই ঝুমুর চলে গেল।আমি ভেবে পেলাম না মাঝে মাঝে এই মেয়ের কি হয়..
দুপুরে কোনোরকম খেয়ে নিজের ঘরে চলে গেল।আমি কিছুই বললাম না।রাতে এমনি ওর ঘরে গিয়ে দেখি ঘরে নেই।খুঁজতে খুঁজতে ঝুমুরকে ছাদে পেলাম।আমাকে দেখে ও ইশারায় আমাকে ওর কাছে ডাকল।
আমি কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম,"এখানে কি করছিস?"
ও গম্ভীরভাবে বলল,"ঘরে নেটওয়ার্ক নেই।"
আমি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,"তাই বলে এদিকে বসে থাকতে হবে নেটওয়ার্কের খোঁজে!"
ঝুমুর বলল,"হুম,গাধা ফোন দিবে।"
আমি বললাম,"এখানে নেটওয়ার্ক আছে নাকি!থাকার তো কথা না।"
ও বলল,"না,নেই।থাকার কথা না কেন?"
আমি বললাম,"তোর দাদু বলছিল কি নাকি কাজ চলছে.."
ঝুমুর কিছু না বলে গম্ভীরভাবে মাথা নাড়াল।আমি বললাম,"নিচে যাবি?"
ও উঠে দাঁড়াল।আমি বললাম,"চল তাহলে।"
সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে বলল,"তোমার জামাই কোথায়?"
আমি বললাম,"শুয়ে পড়েছে।"
ও কিছু না বলে নামতে লাগল।তারপর বাসার দরজার সামনে এসে বলল,"রিমাকে দিয়ে বরফ পাঠাও।"
আমি জিজ্ঞেস করলাম,"বরফ দিয়ে কি হবে?"
ও বলল,"বাথটাবে দিব।"
আমি বললাম,"এতো রাতে শাওয়ার নিবি?"
ও কিছু না বলে মাথা নাড়াল।আমিও রিমাকে দিয়ে বরফ পাঠিয়ে দিয়ে একটা বই নিয়ে বসলাম।কিন্তু একটা লাইনও পড়তে পারলাম না।পুরোনো স্মৃতি মনে পড়তে লাগল।