পর্ব-২৮

190 7 0
                                    

গাড়ি থেকে নামতেই বেশ কয়েকজন ফুল নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে এলো।একটু বয়স্ক মতো দেখতে একজন আমার হাতে একটা তোড়া তুলে দিয়ে বলল, স্যারের মুখে আপনার কথা অনেক শুনেছি।Welcome to our office.

তৃষা গাড়ি থেকে নেমে আমার পাশে এসে বলল, তো পরিচয় করিয়ে দিই দিম্মা।এরা হলো কিছু অপ্রয়োজনীয়,অকর্মন্য লোকজন যারা আমার অফিসের ফ্রি ওয়াই-ফাই ব্যবহার করার জন্য প্রতিদিন অনেক কষ্ট করে এখানে আসে।আর যখন ওয়াই-ফাই এদের চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হয় তখন তারা কিছু কাজ করার চেষ্টা করে।

বয়স্কমতো দেখতে লোকটা খানিকক্ষণ হেসে জবাব দিলো, ঠিক বলেছেন ম্যাম।আপনি খুব অল্প সময়ে আমাদের খুব ভালোভাবে চিনে গিয়েছেন।
তারপর লোকটা আমার দিকে ফিরে বলল, 'আসুন মা, আমার সাথে আসুন।
আমি তৃষার দিকে ফিরতেই ও বলল, তুমি যাও।আমি একটু পর আসছি।

আমাকে তৃষার রুমটাতেই নিয়ে যাওয়া হলো।রুমে ঢুকেই মনে হলো রুমটা অনেকটা ওর বাসার রুমের আদলে সাজানো।বিভিন্ন ছবি টাঙানো, পরিবারের কিছু ছবি একপাশে রাখা, একপাশে দোলনা, তার চারপাশে আবার সাদা পর্দা ঝোলানো, এক পাশে মর্ডান সোফা... তবে আশ্চর্যের কথা ওর রুমে কোনো কর্পোরেট টেবিল নেই!!
তার বদলে জানালার পাশে একটা রাউন্ড টি টেবিল আর তার চারপাশে তিনটা বেতের সোফা।আমি বেতের সোফার কাছে যেতেই দেখলাম রুমটার ভেতরে ওয়াশরুম ছাড়াও আরও একটা দরজা।
দরজা খুলতেই আমি আমি বড়সড় একটা ধাক্কা খেলাম।সেখানে একটা সিঙ্গেল বেড রাখা আর তার পাশে মিউজিক সিস্টেম।এক কোনায় একটা কারুকাজ করা একটা কাঠের টেবিল আর একটা চেয়ার রাখা।সেখানে দাবার কোর্ট সাজানো, আর কোর্টের চারপাশে কয়েকটা রুবিক্স কিউব রাখা।

আমি ওখান থেকে বেরিয়ে দরজা বন্ধ করতেই দেখি ঝুম ঘরে ঢুকছে।আমি ওকে দেখেই বললাম, এই রুম কি তুই নিজে সাজিয়েছিস?
ঝুম শুধু মাথা ঝাঁকালো আর দোলনায় বসে কাউকে কল করতে লাগল।কল শেষ করে ও আমাকে বলল, 'দিম্মা তুমি চাইলে সারা অফিস ঘুরে দেখতে পারো।আমার কিছু কাজ আছে।So I will be busy...

আমি কোনো কথা না বলে দরজার বাইরে পা দিলাম...

প্রিয়Where stories live. Discover now