তৃষার চেহারা দেখে মনে হচ্ছে সে আমার এই কাজে খুবই বিরক্ত হয়েছে।কিন্তু এই বিরক্তির আড়ালেও ওর চেহারায় একটা খুশির আভা আছে।আমার চিন্তায় বাধা পড়ল ওর কথা শুনে।
-আসতে সমস্যা হয় নি তো? যদিও আসার কোনো দরকার ছিল না।তবে এসে ভালো করেছো।আমার আশা করি আর কোনো কাজ করতে হবে না.. তো দশ মিনিট বিশ্রাম নিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়ো ঘর গোছাতে।আর আমি কিন্তু কিছু খাবো না..যাই করো না কেন..তবে এটা আবার ওনাকে জানানো যাবে না।জানলে উনি তো একেবারে গাল ফুলিয়ে বসে থাকবে।অবশ্য তাতে আমার কিছু যায় আসবে না! সে যাই হোক, রান্না করার দরকার নেই।রান্না করলে কিন্তু খবর আছে।রাত আটটার বাংলা খবর..........তবে ইংলিশ হলেও সমস্যা নাই....
কত সহজ হয়ে কথা গুলো বলছে ও।মনে হচ্ছে যেন কিছুই হয়নি.. আমার আসার কথা ছিল তাই আমি এসেছি।
আমি ওর মাথায় হাত রেখে বললাম, তুই অনেক ভালো একটা মেয়ে তৃষা।অনেক সুখী হবি জীবনে।যার কাছেই যাবি সে কিছুতেই তোকে ছাড়বে না।ও হাত নামিয়ে বলল, দিম্মা আমার জীবনে সব ভালো।কিন্তু ওই ভালো জিনিসগুলো কেন যেন একটা ধাক্কার পর আসে।তাই প্রত্যেকবার একটা ধাক্কা খাওয়ার পর আমি এই আশা নিয়ে থাকি এবার নিশ্চয়ই কিছু ভালো হবে।তাই যেটা হয় সেটা নিয়ে আর আমি মাথা ঘামাই না।তুমিও আর কিছু মনে রেখো না।কেমন?
আমি বললাম, আর পাকামো না করে চুপ করে গিয়ে বস।আমি সব কিছু গুছিয়ে নেই।
তৃষা নিজের ঘরে চলে গেল।আর আমি এদিকে সব কিছু গুছিয়ে নিলাম।আমি সব কাজ শেষ করে ওর ঘরে গেলাম।দেখলাম মেয়েটা টেডিবিয়ার জড়িয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে। মেয়েটা এখনো বাচ্চাবেলার মতো করেই ঘুমোয়।ছোট বেলায় ও খাট ভর্তি খেলনা নিয়ে ঘুমোতো।এখনও তিন চারটা পুতুল আশেপাশে নিয়ে ঘুমোয়।আমি ওর মাথার নিচে একটা বালিশ দিয়ে আর গায়ে একটা চাদর দিয়ে চলে আসলাম।