পর্ব-২৩

233 7 0
                                    

ওর দরজায় একটু শব্দ করার সাথে সাথেই দরজা খুলে গেল।আমি ওকে বললাম, ভেতরে আসলে সমস্যা?

ও বলল, নাহ্।তবে যা বলার শর্টকাটে বলবে।কেননা আমিও কিছু কথা বলব।

আমি বললাম, আচ্ছা।তবে দরজা থেকে সরে দাঁড়া।

ঝুম সরতেই আমি ওর ঘরে ঢুকলাম।তারপর বসতে বসতে বললাম, আমার উপর রেগে আছিস?

ও অন্যদিকে তাকিয়ে আস্তে করে মাথা নেড়ে বলল, হুম।

আমি বললাম, দেখ বাড়িতে এতো কাজ একা একা সামলে আমি খুব খিটখিটে হয়ে গেছি।তুই রাগ করিস না মা আমার উপর।

ও কিছুই বলল না।আমি আবার ওকে কিছু বলতে যাবো ঠিক সেই মুহুর্তে দেখলাম ওর ফোন বেজে উঠল।স্ক্রিনে চোখ পড়তেই দেখলাম ওর বাবা কল দিয়েছে।আমি তখন ঠিক নিজেকে সামলে রাখতে পারলাম না।ওর হাত থেকে ফোনটা কেড়ে নিয়ে ওর বাবার কল কেটে ওকে যা নয় তা বলা শুরু করলাম।রাগের মাথায় এমন কিছু কথাও ওকে বলে ফেললাম যেটা বলা তো দূর আমি কখনো মনে আনতে পারতাম না।ঝুম একটা সময় আমার কথা শুনে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে শুরু করল।তবুও আমি বলা না থামিয়ে চিৎকার করেই গেলাম কতক্ষণ।তারপর হঠাৎ মনে হলো এসব আমি কি করছি! ততক্ষণে ওর ঘরের সামনে বাড়ির বাকিরা এসে দাঁড়িয়ে আছে।আমি তাড়াতাড়ি ভিড় ঠেলে বাইরে বেরিয়ে এলাম।

কতক্ষণ ধরে যে আমি সোফায় বসে আছি তা বুঝতে পারছি না।আলো না থাকায় সময়টাও বুঝতে পারছি না।শুধু মনে হচ্ছে অনন্তকাল এই জায়গায় বসে আছি।বসার ঘর থেকে লাইব্রেরিতে গেলাম।ওখানেই একটা চেয়ার টেনে বসলাম।ওই ঘটনার পর সবাই কিছুক্ষণের মধ্যে নিচে নেমে খাওয়া শেষ করে নিজেদের ঘরে চলে গেছে।আমি সবটা সময় বসার ঘরে হতভম্ব হয়ে বসে ছিলাম।লাইব্রেরিতে বসে ভাবতে লাগলাম আমার এই যুক্তিহীন কাজটার ব্যাপারে।কাজটা এতোটাই খারাপ যে আমার নিজের ওপরই ঘৃনা লাগতে লাগল।বারবার মনে হতে লাগল আমার অবান্তর চিন্তার কারনে আমি ঝুমের মতো একজনকে এতো কষ্ট দিলাম।তারপরপরই মনে পড়ল মেয়েটা অনেকটা সময় না খাওয়া।নিশ্চয় ওর অনেক খিদে পেয়েছে।আমার এতটা সময় যত না খারাপ লাগছিল এখন তারচেয়েও বেশি খারাপ লাগতে শুরু করল।সিদ্ধান্ত নিলাম সকালেই ওর কাছে গিয়ে আমি ক্ষমা চাইব।

প্রিয়जहाँ कहानियाँ रहती हैं। अभी खोजें