আমি বরাবর ঘরকুনো।কখনোই অতি প্রয়োজন ছাড়া আমি বাড়ির বাইরে বের হই না।কিন্তু ঝুমুররা সেই যে আমেরিকায় গেল তারপর আর সময় করে আসতে পারছে না।ঝুমুর অবশ্য এখন অনেক বড় হয়ে গেছে।ক্লাস নাইন এ পড়ছে এখন।অনেক দিন থেকে আমার ছেলেকে বলছিলাম সবাইকে নিয়ে সময় করে একটু ঘুরে যেতে।কিন্তু সময় করতে না পেরে আমাকেই ওদের কাছে নিয়ে এসেছে।তবে ঝুমুরের সাথে আমার এখনো দেখা হয় নি।ও এখনো স্কুল থেকে ফেরেনি।তবে মানতেই হবে ঝুমুরের অনেক গুণ রয়েছে।গান শিখছে,নাচ শিখছে,ড্রয়িং শিখছে,ভায়োলিন শিখছে।
হঠাৎ কলিংবেল বেজে উঠল।নিশ্চয়ই ঝুমুর চলে এসেছে।
-কে???
-চিনতে পারছিস না?
-উমমম....নাতো।
-সত্যিই না?
-নাহ্।
আমার বেশ মন খারাপ হলো।ঝুমুর আমাকে চিনতে পারছে না।আমি ওকে আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।সেই ঝুমুর কিনা বলছে আমায় চিনছে না।আমি বেশ হতাশ হয়ে নিজের ঘরে চলে এলাম।হঠাৎই বুঝতে পারলাম কেউ পেছন থেকে আমায় জাপটে ধরেছে।হঠাৎই শুনলাম ঝুমুরের গলা।
আদুরে গলায় আমাকে বলল,"ও দিম্মা!আমার উপর রাগ করেছো?আমি বুঝি তোমায় চিনব না?"
আমি ওকে সামনে এনে বললাম,"নাটক করলি কেন?"
ও মিষ্টি করে বলল,"এমনি।"
আমি কান টেনে বললাম,"আর কখনো এমন করবি না।"
ও একটু হেসে বলল,"করবো নাহ্।"
আমার সাথে খানিকক্ষণ কথা বলে ও শাওয়ার নিতে গেল।কিছুক্ষণ পর আবার মাথায় আর শরীরে তোয়ালে জড়িয়ে ঝুমুর আমার ঘরে এলো।
বসতে বসতে বলল,"আমায় দেখে কিছু মনে হচ্ছে?"
আমি বললাম,"কি মনে হবে?"
ও মাথা থেকে তোয়ালে খুলে বলল,"এবার কিছু মনে হচ্ছে?"
আমি বললাম,"দেখতে বেশ লাগছে।"
ও চোখমুখ লাল করে বলল,"সত্যি!"
আমি ওর গাল টিপে বললাম,"সত্যি।"
ও বেশ খুশি হয়ে বলল,"তুমি খুব ভালো।"