#অভিসারক_ও_অভিসারিণী
লেখা #AbiarMaria#২০
সৃষ্টিজগতের স্বাভাবিক নিয়মে একজন পুরুষ ও একজন নারী একে অপরের প্রতি আকর্ষিত হয়। বোধ করি, পৃথিবীতে কেউ বুকে হাত দিয়ে এই আকর্ষণের কথা অস্বীকার করতে পারবে না। এই বৈশিষ্ট্য নিয়েই সৃষ্টিজগত টিকে আছে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে।
এই আকর্ষণ থেকে মুক্ত নয় জামানও। গত কিছুদিনে বহুবার নিজেকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে নৈতিকতার বেড়াজালে আটকে রাখতে হয়েছে। ফারহা এমন একটা মেয়ে, যার নিজেকে গুছিয়ে লুকিয়ে রাখার ক্ষমতা নেই বললেই চলে। সেই মেয়েটার প্রতি অদম্য আকর্ষণ এই মুহূর্তে সে অনুভব করছে। ফারহাকে শিক্ষা দিতে এসে এখন নিজের কাছেই খারাপ লাগছে, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে কষ্ট হচ্ছে। কয়েক সেকেন্ড সে স্থির থেকে সোফা হতে উঠে দাঁড়ালো। ফারহা চোখ খুলে দেখল, জামান উঠে দরজার কাছে হ্যাঙারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওভার কোট আর স্যুট খুলে ঝুলিয়ে রাখছে। এবার শার্টের বাটনে হাত দিল। কলার, হাতের বাটন ধীরে ধীরে খুলছে।
ফারহা আতঙ্কিত চোখে মনে মনে বলল, ইন্না-লিল্লাহ! এই লোক আজকে আমাকে রেপ করবে নিশ্চিত! কাঁদো কাঁদো কন্ঠে বলল,
"জামান ভাই, আপনি এমন করছেন কেন? প্লিজ এমন করিয়েন না!"
জামান শার্টের বাটন খুলতে খুলতে বলল,
"কি করতেছি আমি?"
"আপনি... আপনি কি সত্যি সত্যি...?"
কথা শেষ না হতেই ও ঢোক গিলল। জামান বিরক্ত হয়ে বলল,
"কথা শেষ করো মেয়ে! এতক্ষণ তো মুখে খই ফুটতেছিল! খই গুলো কোথায় গেল এখন?"
ফারহা সোফায় বসল। এখনো ওর হাত পেছনে বাঁধা। কাঁদো কাঁদো স্বরে ও আকুতি জানালো,
"আর এমন বলব না, আর এমন করব না, সত্যি। প্লিজ, আমার ইজ্জত নিয়ে নিয়েন না!"
"তোমার ইজ্জত আছে? আর ইউ সিরিয়াস?"
"ইজ্জত নেই মানে?! কি বলতে চান?"
"ইজ্জত থাকলে আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে আসতে না! জানো বাসায় তুমি আর আমি, আমি তোমার বর হওয়ার কথা ছিল। এখন তুমি আমাকে এই পর্যায়ে আনার পর ন্যাকা কান্না কেন করতেছ?!"জামান প্যান্টের বেল্ট খুলে ফেলল। এই দৃশ্য দেখে ফারহা সোফায় উপুড় হয়ে আ আ আ আ আ করে কান্না শুরু করে দিল। বেল্ট হাতে নিয়ে জামান সেটাও হ্যাঙারে ঝুলালো। এখন ওর শার্ট খোলা, তবে পুরোপুরি না। খেয়াল করলে জামানের জীম করা দেহের কিঞ্চিৎ অংশ দেখা যেতে পারে। জামান বিরক্ত হয়ে শার্ট টেনে নিজেকে ঢেকে ফারহাকে ডাকলো।
"এই, এইসব কান্নাকাটি বন্ধ করো! গাধা! আমি মোটেও কোনো আজেবাজে উদ্দেশ্যে কাপড় খুলতেছি না। আম জাস্ট চেঞ্জিং। তোমার শাস্তি তো হচ্ছে আজকে এই হ্যান্ডকাফে বাঁধা অবস্থায় এই সোফায় ঘুমাবা, আর আমি আরাম করে আমার বেডে ঘুমাবো। খবরদার যদি বেশি কথা বলো, দরজায় ধাক্কাধাক্কি করো, তাহলে পা-ও বেঁধে টয়লেটে ফেলে রাখব! মাথাটা খারাপ করে দিচ্ছ!"
YOU ARE READING
অভিসারক ও অভিসারিণী
Romanceফারহার জীবন থেমে যায়নি। জামান চলে গেছে, জামানের কাছ থেকে সে সরে এসেছে। কিন্তু সে কি আদৌ পেরেছে সরে আসতে? তাহলে কে তার অভিসারক? ফারহার বিয়ে হলো কার সাথে? কিভাবে? ফারহা এখন কি করছে? তারপর? ফারহার গল্পের শেষ অংশটুকু নিয়ে আবারও হাজির হলাম। অভিসারিণীর অ...