2K 35 8
                                    

#অভিসারক_ও_অভিসারিণী
লেখা- #AbiarMaria

#১

"হোয়াট দ্যা টুট টুট!"
ফারহা কান ফাটিয়ে চিৎকার করে দাঁড়িয়ে গেল। পাশের ছেলেটা চমকে উঠে দাঁড়িয়ে গেল।
"এভাবে চিৎকার করছ কেন! এখানে আরও মানুষ আছে, তাদের ডিস্ট্রার্ব হচ্ছে!"
"হাত আমার এখানে আসলো কিভাবে?"
ফারহা চিবিয়ে চিবিয়ে কথা বলছে।
"এখানে? কোথায়?"
ছেলেটার মুখে দুষ্ট হাসি।
"কুত্তার বাচ্চা। তুই কি আমাকে নিয়ে এখানে আসছিস এই টুট টুট করার জন্য?!"
"তো তোমাকে নিয়ে কি এইখানে ধর্মের গান শুনতে আসছি? ওয়াজ মাহফিলের যায়গা এইটা?"
"তাই বলে তুই আমার গায়ে হাত দিবি?"
ছেলেটা শক্ত মুখে বলল,
"আমার সাথে তাহলে আসছ কেন? অন্যান্য মেয়েরা তো আমার সাথে এজন্যই আসে। তুমি কেন আসলা?"
ফারহা গালির তুবড়ি ছুড়তে ছুড়তে ছেলের পেটে হিল জুতো দিয়ে লাথি মেরে বসে। পেটে আচমকা লাথি খেয়ে সে ওক শব্দ করে নিচু হয়। ফারহা এই সুযোগে ছেলের চুল ধরে পিঠের মাঝে কনুই দিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে মেরে বসে। ছেলেটা মাটিতে বসে পড়ে। ফারহা লাফিয়ে সোফা আর টেবিলের মাঝ থেকে বেরিয়ে এসে ছেলের পেছনে একটা জোরসে লাথি মেরে কয়েকটা গালি দিয়ে বলল,
"তোর যদি এই ঘটনা মনে থাকে, তাহলে বাপের জন্মেও আর মেয়েদের নিয়ে রেস্টুরেন্টের চিপায় যাবি না!"

ঘটনার শুরু এখান থেকেই।

কিন্তু তার আগে আরও একটা গল্প বলতে হবে। ছেলেটা ফারহার জীবনে উড়ে এসে বসেনি। গল্পটা তখনের যখন কয়েক বছর যাবৎ পাগলের মত প্রেমে হাবুডুবু খাওয়া ছেলেটাকে ফারহা বিয়ে করতে মানা করে দেয়। মানা করার পেছনে ফারহার অনেক গুলো কারণ ছিল- অবহেলা, আত্মসম্মানবোধ, প্রতিশোধ, অভিমান, ক্রোধ, কিংবা অজানা আরও অনেক অনুভূতি যা ফারহাকে বাধ্য করেছিল এমন কঠিন সিদ্ধান্তে আসতে। কিন্তু কথায় আছে, "ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভাণে", আর ফারহার ভেতরের প্রেমিকা সত্ত্বা তো এত কিছু বুঝবে না। সে জামানকে রিজেক্ট করে এসেও নিজের বারান্দায় একা একা বসে বসে চা খাচ্ছে আর ভাবছে, কাপের এই পাশে যদি জামানের ঠোঁটের ছোঁয়া থাকত! কিছু কিছু অনুভূতি চাইলেও আটকে থাকে না, ফাঁক গলে পড়ে যায়। ফারহার জামানের প্রতি অনুভূতিটাও এমন। তবুও সে একা একাই থাকার সিদ্ধান্তে অটুট থাকলো।

অভিসারক ও অভিসারিণী Where stories live. Discover now