#অভিসারক_ও_অভিসারিণী
লেখা #AbiarMaria#২৮
জামানের মনে হচ্ছে, বুকের উপর কেউ বসে ওর শ্বাসনালী রোধ করেছে। নিঃশ্বাস নিতে বেশ কসরৎ করতে হচ্ছে। একজন শক্ত পুরুষ হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রীকে খুঁজে না পেয়ে তার মাথ কাজ করা বন্ধ হচ্ছে না। মেঝেতে বসে থেকে চোখ লাল করে ঘোলাটে দৃষ্টিতে চারদিকে দেখেছে৷ আশেপাশের অনেকেই ওর দিকে মায়ার দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। খুব খারাপ লাগছে ওর। কেন যে আবহাওয়ার খবর জেনে তারপর বাইরে গেল না! কি থেকে কি হয়ে গেল? ফারহাকে সে এখন কোথায় খুঁজবে? এত বছর পর আলিঙ্গনে আবদ্ধ হওয়া ভালোবাসাকে হারানোর কি অযুহাত দিবে নিজেকে? পৃথিবীর সবাইকে জবাব দিলেও নিজেকেই তো এখন দোষী মনে হচ্ছে। কি দরকার ছিল এমন রিসোর্টে ঘুরতে আসার?
কেঁদে যখন ওর চোখ রক্তলাল বর্ণ ধারণ করেছে, ঠিক তখন কাঁধে কারো স্পর্শ অনুভব করল। পেছনে ফিরে দেখল একটা বড় টাওয়েল জড়িতে ফারহা দাঁড়িয়ে আছে। ওর চোখেও পানি। জামান এক লাফে উঠে দাঁড়িয়ে সবার সম্মুখেই স্ত্রীকে বুকের সাথে মিশিয়ে ফেলল। ওর সমস্ত শরীরে কাঁপুনি উঠে গেছে। কাঁপা কাঁপা হাতে ফারহার মুখে সামনে এনে এলোপাথাড়ি ভালোবাসায় মুখ ভরিয়ে ফেলল। দুজনের চোখেই পানি। ফারহা ফিসফিস করে কোনোমতে বলল,
"সবাই দেখছে আমাদেরকে!"
"দেখুক"ফারহা দেখল, আশেপাশের সবার মুখে হাসি। জামান স্ত্রীকে আলিঙ্গনে ঢিল দিতেই কয়েকজন ওদের দিকে এগিয়ে আসলো। সবাই হাত মিলিয়ে ওদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে। ফারহা হাত দিয়ে ইশারা করে একটা লোককে দেখালো।
"উনার নাম ডেনভার। উনিই আমাকে অন্য একটা দরজা দিয়ে নিয়ে এসছেন। আমি তো গড়াতে গড়াতে কোথায় গেছি জানিও না। ঐ সময় উনি আমাকে দেখে নিয়ে এসছেন"
জামান ডেনভারকে জড়িয়ে ধরে।
"থ্যাংকস ম্যান আমার স্ত্রীকে বাঁচানোর জন্য। আমি আসলে কিভাবে ধন্যবাদ দিব জানি না। এক মুহুর্তের জন্য মনে হচ্ছিল, আমার পৃথিবী ধ্বংস হয়ে গেছে। থ্যাংকস ফর সেভিং লাভ অফ মাই লাইফ!"
"ব্রো, ইটস নট আ বিগ ডিল। আমার কর্তব্যটা আমি করেছি। ঈশ্বরের নিকট কৃতজ্ঞতা যে সময়মত তোমার স্ত্রীকে আমি পেয়েছি। এটা আসলে ঈশ্বরের কৃপা!"

ESTÁS LEYENDO
অভিসারক ও অভিসারিণী
Romanceফারহার জীবন থেমে যায়নি। জামান চলে গেছে, জামানের কাছ থেকে সে সরে এসেছে। কিন্তু সে কি আদৌ পেরেছে সরে আসতে? তাহলে কে তার অভিসারক? ফারহার বিয়ে হলো কার সাথে? কিভাবে? ফারহা এখন কি করছে? তারপর? ফারহার গল্পের শেষ অংশটুকু নিয়ে আবারও হাজির হলাম। অভিসারিণীর অ...