you are my complain box..

399 19 7
                                    

স্নান সেরে একটা তোয়ালে পরে রুমে লাগানো বড় আয়নাটার সামনে দাঁড়ায় স্পন্দন । এটা ওর রোজকার অভ্যেস । ওর ভালো লাগে  নিজের সুগঠিত শরীরটাকে আয়নাতে দেখতে । বুকের নিচে থেকে শুরু হয়ে তলপেটে শেষ হওয়া ছটা ভাঁজ ওর বহুদিনের , বলা ভালো মাসের পর মাসের পরিশ্রমের ফল । শরীর নিয়ে বরাবরই প্রশংসিত স্পন্দন , তাইতো বিদেশে MBA করার সময় ওর সুগঠিত শরীর দেখে ওকে one night stand এর প্রস্তাব দিয়েছিলেন ইউনিভার্সিটির ইয়ং লেডি প্রফেসর Helen Starc . প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিল স্পন্দন , ওর ভারতীয় মন এইসব One night stand এ বিশ্বাসী নয়। 
শরীরে ডিও লাগাতে লাগাতে হঠাৎ ফোনে টুং করে মেসেজ ঢোকে স্পন্দনের । ডিওর bottle টা রেখে বিছানা থেকে ফোনটা নিয়ে দেখে নিশার whatsapp মেসেজ , একটা ছবি পাঠিয়েছে ।
স্পন্দন whatsapp ওপেন করে দেখতেই ওর ঠোঁটে হাসি খেলে যায়। 
সমৃদ্ধি , ওর হোস্টেলের বেড থেকে অর্ধেকটা ঝুলছে।  অর্ধেক বডি  বিছানার ওপরে অর্ধেকটা নীচে , এক পা মেঝেতে আর এক পা বিছানায় রেখে অভিনব স্টাইলে কিছু একটা মন দিয়ে  লিখছে । সারা বিছানায় কাগজপত্র ছড়িয়ে , ছবির নীচে নিশা লিখেছে "এই দেখো SG , সারাদিন এই ভাবে ব্যাঙের মত বসে পড়াশোনা করে । ব্যাঙও মনে হয় এরকম ভাবে থাকে না কোনোদিন । "
স্পন্দন রিপ্লাইয়ে লেখে "ব্যাঙের মাথায় পড়াশোনার চাপ নেই তো তাই হয়তো । "
নিশা লেখে "এটা , ঠিক বলেছ । "
"ও যেভাবে পড়ছে পড়ুক , যেটাতে ও শান্তি পায় সেটাই করুক ।"

যেই পাটা বিছানায় রেখেছিল সেটাও নীচে নামিয়ে নেয় সমৃদ্ধি , তারপরে বেডের নীচে হাঁটুগেড়ে বসে বেডের ওপরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে থাকা কাগজগুলো গুছিয়ে নিয়ে বলে "Assignment Done ... "
তারপরে খাটের ওপর উঠে ফোনটা নিয়ে স্পন্দনকে  ফোন করে ,স্পন্দন যেনো রেডিই ছিল । ফোন বাজতেই ফোনটা রিসিভ করে বলে "ইয়েস ম্যাডাম.. "
সমৃদ্ধি এক গাল হাসি নিয়ে বলে "কি করো ? "
"বাবা, খুব হ্যাপী মনে হচ্ছে ? "
"Yes.. আমার Anatomy র assignment কমপ্লিট তাই আমি খুবই হ্যাপী .. "
"বাহ.. গুড জব , I am proud of you ..."
"তুমি বললে নাতো তুমি কি করছো ? "
"এইযে তোমার ছবি দেখছি । "
"আমার ? "
"হ্যাঁ .. "
"কোনটা ? সেদিন selfie তুললাম ঐটা ? "
"উম্ম না .. "
"তাহলে সেইদিন সবাই মিলে ছিলাম ওখানকার ছবি গুলো ? "
"না"
"তাহলে ? আমার আর ছবি কোথায় পেলে তুমি ?   "
"তুমি whatsapp খোলো , আমি দেখাচ্ছি কোনটা।  "
সমৃদ্ধি whatsapp খুলতেই ছবিটা দেখে ও লজ্জায় পরে যায় , একটু আগে ও assignment লিখছিল তখনকার ছবি ।
"ইসস এই ছবি কে দিলো তোমায় ? "
"যেই দিক , আমার গার্লফ্রেন্ডকে দেখো কি কিউট তাইনা ? একেবারে বেবী...গার্ল.. । "
সমৃদ্ধি কপালে চাপড় মেরে বলে "দেবা , এসব কি ছবি । এই রীতদি আর নিশা দিকে আমি ছাড়বো না । "
"Embarassed feel করার কি আছে ঋদি , আমিই তো দেখেছি । অন্য কেউ তো দেখেনি । তোমার প্রাণ তো দেখতেই পারে তাই না ... "
সমৃদ্ধির পেটে হাজারখানা প্রজাপতি ওড়ার মত ফিল হচ্ছে , কোনমতে বলে "হ্যাঁ তবুও... আমার লজ্জা করছে তো । "
"কিন্তু আমার ঋদিকে ভীষণ কিউট লাগছে । "
"কিউট না ছাই লাগছে । "
এইভাবে ওরা আরো কিছুক্ষণ কথা বলতে বলতেই সমৃদ্ধির হোস্টেলের ডিনারের ঘণ্টা পরে । স্পন্দন নিজেই ফোন রেখে দেয়  ,  হোস্টেলের খবর দেওয়ার একটা নির্ধারিত সময় থাকে । একটু দেরী করলে খাবার পাওয়া যায় না। 

প্রেমিক Where stories live. Discover now