স্পন্দনের বুকের মধ্যে ছোট একটা পার্সিয়ান বিড়ালের বাচ্চার মত লেপ্টে আছে সমৃদ্ধি । ওরা কখন ঘুমিয়েছে দুজনের কেউই সময় দেখেনি । স্পন্দন ওয়াশরুম থেকে ফিরে দেখেছিল সমৃদ্ধি ক্লান্তির কারণে প্রায় ঘুমিয়েই পড়েছে । অনেকক্ষণ ঘুম আসেনি স্পন্দনের , সমৃদ্ধির ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে শুয়েছিল , ঘুমন্ত প্রেমিকাকে বুকের সাথে জড়িয়ে নিয়ে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছিল , কপালে চুমু দিচ্ছিল । সমৃদ্ধি এসবের কিছুই টের পায়নি । সমৃদ্ধিকে আদর করতে করতে একটা সময় স্পন্দনও ঘুমের কোলে ঢলে পড়েছিল । কিন্তু ওর সেই ঘুম বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি , হঠাৎ ঘুম ভেংগে যাওয়ায় ও শুনতে পায় , সমৃদ্ধি ওর বুকের সাথে লেপ্টে বিড়বিড় করে কি যেন বলছে ঘুমের ঘোরে ।
স্পন্দন মনোযোগ দিয়ে শোনার চেষ্টা করে । কিন্তু "দেবা" ছাড়া আর কিছুই বুঝতে পারে না । মারাঠিতে বকছে মনে হয় ।
হেডবোর্ড ওদের পায়ের দিকে ওরা খাটের উল্টো দিকে মাথা করে আছে । ভোরের আলো ফুটছে , জানলা দিয়ে আলো আসছে একটু একটু । স্পন্দন গায়ের চাদরটা সরিয়ে উঠে বসে এসির টেম্পারেচার দুই ডিগ্রি বাড়িয়ে আঠারোতে নিয়ে আসে । সমৃদ্ধির গায়ের ওপর থেকে চাদরটা হালকা করে সরিয়ে কোমর অবধি রাখে । হালকা আলোয় দেখার চেষ্টা করে কোথাও কোনো গভীর ক্ষত হয়েছে কিনা । সমু বামদিক হেলে শুয়ে থাকায় ওর বুকটা হাতের মধ্যে আড়াল হয়ে গিয়েছে , ঘাড়ের কাছে হালকা লালচে মত দেখা যাচ্ছে এর চেয়ে বেশি কিছু বুঝতে পারে না স্পন্দন ।
গায়ের চাদরটা ঠিক করে সমৃদ্ধির কপালে চুমু দিয়ে বাথরুমে চলে আসে , আর ঘুম আসবে না ওর । এবার স্নান করতে হবে ।
সমৃদ্ধি এখনও ঘুমাচ্ছে ভেবে স্পন্দন খুব সাবধানে দরজাটা খুলে হল থেকে রুমে এসে দেখে সমৃদ্ধি খাটের হেডবোর্ডে হেলান দিয়ে বুকের কাছ অবধি চাদর নিয়ে ফোন কথা বলছে ।
"হুমম... আমি জানি 3 তারিখ থেকে ক্লাস , আমি তারিখ চলে আসবো । "
-----
"না না আমি ঠিক আছি , ঘুম থেকে উঠলাম তো তাই গলাটা এমন লাগছে । "
স্পন্দন ইশারায় জিজ্ঞেস করে "কে ? "
সমু অস্ফুটে বলে "রিতদি.. "
স্পন্দন ওহহ বলে সমৃদ্ধির পাশে এসে বসে। সমৃদ্ধি কিসের কিসের কথা বলেই যাচ্ছে , আর স্পন্দন একবার সমুর হাত দেখছে , একবার থুতনিটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে গলার কাছগুলো দেখছে । সমৃদ্ধি ভ্রু কুঁচকে ওর দিকে তাকায় , যেনো বলতে চাইছে কি করছো প্রাণ ... ।
স্পন্দন টেবিলের ওপরে রাখা সমৃদ্ধির চুলের ক্লিপটা নিয়ে ওর চুল আটকে দেয় , সমৃদ্ধি তখন ফোনে বলছে "ঠিক আছে রিতদি , আমি সন্ধ্যায় ফোন করব তোমাকে। এখন স্নানে যাবো । "
সমৃদ্ধি ফোনটা কেটে বলে "কি করছো প্রাণ ? কি দেখছ ? "
স্পন্দন ওর গালে হাত দিয়ে বলে "Are you ok ? "
"আমার কি হবে ? আমি ঠিকই আছি ... "
স্পন্দন সমৃদ্ধির পায়ের দিক থেকে চাদরটা টানে , সমৃদ্ধি দেখতে পায় বিছানার মাঝে বরাবর ওর কুমারীত্ব হারানোর চিহ্ন ... । স্পন্দন অস্পষ্টভাবে বলে "রাতে খুব কষ্ট দিয়েছি তাই না ? "
সমৃদ্ধি মাথা নেড়ে বলে "হ্যাঁ ভীষণ .. "
স্পন্দন অপরাধীর মত তাকায় , সমৃদ্ধি বলে "যখন থেমে যেতে চাইছিল তখন আমার খুব কষ্ট হচ্ছিল । "
স্পন্দনের চোখ দুটো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে । মুচকি হেসে বলে "তোমার verginity নিয়ে নিলাম যে আমি ... "
"সেটা তো দুইমাস আগেই তোমাকে দিয়েছি ... "
স্পন্দন অবাক হয়ে বলে "অ্যা... কবে ? "
সমৃদ্ধি মাথা নেড়ে বলে "দিয়েছি ... শুধু আমি তোমার মত তোমাকে সরি বলিনি এইটাই তফাৎ... "
স্পন্দন বিস্ময় নিয়ে তাকিয়ে আছে , "you mean you had a dream of mine two months back ... "
সমৃদ্ধি লাজুক হেসে বলে "সেটাই তো বলছি আমি ... "
স্পন্দনের গলায় উৎসাহ... , উত্তেজিত হয়ে বলে "তুমি আমাকে বলনি কেনো ? "
"কি করতাম , লজ্জা করছিল তো আমার.... "
স্পন্দন সমৃদ্ধির ঠোঁটে চুমু দিয়ে বলে "উফফ .. এটা শুনে আমার এত আনন্দ হচ্ছে , তুমি আমাকে বলনি কেনো বলোতো ... "
"বুঝতে পারিনি এই সিম্পল ব্যাপারটায় তুমি এরকম পাগলের মতো করবে । স্বপ্নই তো ... "
"ও তুমি বুঝবে না তোমার ঐ স্বপ্নই আমার জন্য কতটা ম্যাটার করে .. যাই হোক বাদ দাও ... দেখি চাদরটা সরাও তো .. কি অবস্থা দেখি। "
এই বলে স্পন্দন চাদরটা সরাতে গেলে সমৃদ্ধি অবাক হয়ে চাদরটা চেপে বলে "একি , কি দাবি আপনার ? কি অবস্থা মানে ? কিসের কি অবস্থা ... "
স্পন্দন দুষ্টুমির স্বরে বলে "আমি যে অঘটন ঘটিয়েছি , সেই এক্সিডেন্ট স্পট এর অবস্থা এখন কেমন সেটা আমাকে দেখতে হবে না ? "
সমৃদ্ধি চমকে গিয়ে চাদরটা আরো ভালো ভাবে জড়িয়ে নিয়ে নিজের পায়ের তলে ভালো করে গুঁজে নিয়ে বলে "ইসস কি সব বলে ছেলেটা .... এই তুমি যাও তো ... কি কাজ করছিলে বাইরে করো গিয়ে যাও .. "
স্পন্দনের দুষ্টুমি আরো বাড়ে , সমৃদ্ধির লাল হয়ে যাওয়া গালগুলো দেখতে ওর খুব ভালো লাগে .. ও আর ইনিয়ে বিনিয়ে বলে "এত লজ্জা পাওয়ার কি আছে .. কাল যখন আদর করছিলাম তখন তো ছাড়তে চাইছিলে না এখন আবার লজ্জা পাচ্ছে... মোন করে করে পাগল করে দিচ্ছিলে আমাকে , ওহহ , আহ্হঃ প্রাণ ... করছিলে... তার বেলা ... আমার মাথাটা এমন ভাবে ধরেছিলে আমি তো উঠতেই পারছিলাম না ... "
লজ্জাই সমৃদ্ধির মিশে যেতে ইচ্ছে করছে , চাদরের তলায় মুখ লুকিয়ে নিয়ে বলে "চুপ করবে তুমি ... না হলে কিন্তু আমি ... "
স্পন্দন একটা ভ্রু তুলে বলে "কি করবে তুমি ? বলো বলো কি করবে ? ধমকাচ্ছ আমায় ? আমি কিন্তু পুলিশে কেস করে দেবো । বলবো এই মেয়েটা আমাকে জোর করেছে ..."
সমৃদ্ধি পাজলড হয়ে বলে "অ্যা? "
স্পন্দন বলে "তুমি জোর করলে না ?... আমি ভদ্র একটা ছেলে সরে যেতে চাইছিলাম .. আমাকে খুনের হুমকি দিয়েছ তুমি , তোমার মনে নেই ? তুমি আমাকে বললে.. "
সমৃদ্ধি বলে "থাক থাক থাক হয়েছে .. চুপ করো তুমি । "
স্পন্দন ঠোঁট চেপে হাসছে । মুখটাকে বেবি ফেস করে বলে "আমার মত একটা ভদ্র ছেলেকে রাতারাতি বড় করে দিলো এই মেয়েটা .. আমার যে ভার্জিনিটি খোয়া গেলো এখন আমার কি হবে ? কে বিয়ে করবে এখন আমায় ? "
সমৃদ্ধি আলতো করে স্পন্দনের গলা টিপে বলে "তুমি ভদ্র তাই না ? আমি তোমাকে বড় করেছি .... করাচ্ছি তোকে বিয়ে আমি ... ভার্জিনিটি দেখাচ্ছে ... জনগণের সামনে I am very much wild in bed বলে ঢাক পিটিয়ে এখন আমাকে বলা হচ্ছে। "
সমৃদ্ধি ওর গলা ধরে ওকে ঝাঁকালে স্পন্দন জিভ করে বলে " গলা টিপে দিলে মরে যাবো তো , আমি মরে গেলে কে তোমার উফফ আহ্হঃ এর কারণ হবে বলো , কি তোমার লিপস , আর সফট mountains গুলোই আদর করবে বলো বেবি ... "
সমৃদ্ধি নকল নাকে কান্না কেঁদে বলে "উফফ এই ছেলেটা এত বদমাশ কেনো ? "
স্পন্দন আদুরে সুরে বলে "আর বদমাশি করবো না । একবার দেখতে দাও সব ঠিক আছে কিনা ... ব্লিডিং হয়েছে তো তাই ভয় হচ্ছে আমার ... It was sooo tight... তাই ভেবেছিলাম পিছিয়ে আসবো .. কিন্তু কখনও না কখনও তো first স্টেপ টা নিতেই হতো । তাই ... খুব কি ব্যাথা করছে তোমার ? "
সমৃদ্ধি ওর বুকের কাছে চাদরটা খামচে ধরে বলে "কোনো ব্যথা নেই ... I am absolutely fine... এত ভাব কেনো বলোতো তুমি ? "
এই বলে সমৃদ্ধি খাট থেকে নেবে প্রথম স্টেপটা নিতে যাবে তখনই ওর তলপেটের নীচের অংশে ব্যথা করে ওঠে , সমৃদ্ধি "আহহ" করে কেঁপে উঠলে স্পন্দন ওকে পেছন থেকে সামলে নিয়ে বলে "জানতাম , জানতাম আমি ব্যাথা থাকবে । বেসিক Idea to আছে নাকি আমার ? ঠিক আছে আমি দেখতাম না ,তাই বলে এত তাড়াহুড়ো করে নামার কি ছিল ? "এই বলে স্পন্দন সমৃদ্ধিকে পাঁজাকোলা করে কোলে তুলে নেয় ।
সমৃদ্ধি গায়ে চাদরটাকে জড়িয়েই আছে । স্পন্দন ওকে বাথরুমে বসিয়ে গিজার অন্ করে দিয়ে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকে । জল একটা ঠিকঠাক টেম্পারেচারে এলে বলে "সময় নিয়ে স্নান করো । দরজা খোলা রাখছি , সমস্যা হলেই আওয়াজ দেবে । "
সমৃদ্ধি হা করে ওর দিকে তাকিয়ে ছিল ,মাথা নেড়ে বলে আচ্ছা ।
(ক্রমশ....)
