Partially 18+ content alert
(তোমাদের মনের মত না হলে অগ্রিম Sorry... পড়াশোনার চাপের মধ্যে লিখেছি তো ।)
ঘড়ির কাঁটায় তখন রাত একটা দশ । চাদরের তলায় মুখ ঢেকে শুয়ে ছিল সমৃদ্ধি । হঠাৎ ঘুম ভেংগে যেতেই চাদরের তলা থেকে মুখ বের করে ঘরের একদম হালকা নীল আলোয় দেখতে পায় স্পন্দন চিত হয়ে শুয়ে আছে । শীত হোক বা গরম স্পন্দন খালি গায়েই ঘুমায় । ঘুমন্ত স্পন্দনের দিকে তাকিয়ে মৃদু হাসে সমৃদ্ধি । উঠে বসে স্পন্দনকে টপকে টেবিলের ওপর থেকে এসির রিমোটটা নিয়ে টেম্পারেচার 20 থেকে 16 তে নিয়ে আসে ।
ঘুমের ঘোরে হঠাৎ বেশি ঠান্ডা অনুভূত হওয়ায় স্পন্দন গায়ের চাদরটা ভালো ভাবে জড়ানোর চেষ্টা করলে সমৃদ্ধি চাদরটা সরিয়ে দেয় ।
নিজে স্পন্দনের ওপরে উঠে ওর গলার নিচে মুখ গুঁজে স্পন্দনের বুকের ওপরে শুয়ে পড়ে চাদর টেনে নেয় ।
স্পন্দন ঘুমের মধ্যেই জড়িয়ে ধরে সমৃদ্ধিকে , ঘুমজড়ানো কণ্ঠে বলে "ঘুমাওনি ? "
সমৃদ্ধি স্পন্দনের গলায় মুখ ঘষে বলে "আমার আদর চাই... "
স্পন্দন সমৃদ্ধির টি শার্টের মধ্যে হাত ঢুকিয়ে ওর নরম মসৃণ পিঠে হাত বোলাতে বোলাতে বলে "সেই জন্য এসির টেম্পারেচার কমাতে হবে ? এত হটনেস ? "
নিজের পিঠে স্পন্দনের ঠান্ডা আঙুলের স্পর্শে সমৃদ্ধি কেঁপে ওঠে । ও মুখ তুলে স্পন্দনের ঠোঁটে আলতো কামড় দিয়ে বলে "তুমি তো একটুতেই ঘেমে যাও.. তাই আমি জড়িয়ে ধরলে তোমার যদি গরম লাগে তাই কমিয়ে দিয়েছি । তুমি তো বেঘোরে ঘুমাচ্ছিলে ... এখন এমনভাবে কথা বলছ যেনো ঘুমাওইনি"
স্পন্দন সমৃদ্ধিকে বিছানায় ফেলে দিয়ে ওর ওপরে পা তুলে ওকে লক করে নেয়। নিজের কনুইয়ের ওপরে ভর দিয়ে সমৃদ্ধির চোখের দিকে তাকিয়ে বলে "এখন যে আমার ঠান্ডা লাগছে কি করবো আমি । "
সমৃদ্ধি স্পন্দনের চুলে , মুখে হাত বুলিয়ে বলে "টেম্পারেচার বাড়িয়ে দাও । "
সমৃদ্ধির আঙ্গুলটা স্পন্দনের ঠোঁটের কাছে আসতেই স্পন্দন ওর আঙ্গুলটা মুখে পুরে নিয়ে চুষে নিয়ে বলে "কার টেম্পারেচার তোমার ? "
সমৃদ্ধি স্পন্দনের গালে হাত বুলিয়ে বলে "জ্বি না ... এসির..."
"আমি কেনো বাড়াবো । আমার ঠান্ডা কমানোর দায়িত্ব তোমার । ঘুম ভাঙ্গিয়েছো সেই ক্ষতিপূরণও তো দিতে হবে । "
"তিনদিন পর থেকে আমার সেকেন্ড ইয়ারে ক্লাস শুরু ... "
স্পন্দন সমৃদ্ধির ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে বলে "হুস , এমন সময় অন্য কথা বলতে নেই । "
সমৃদ্ধি নিজের হাতদুটো স্পন্দনের গলায় জড়িয়ে বলে "তাহলে তুমি বলো আমি শুনি .... "
স্পন্দন সমৃদ্ধির নরম ঠোঁটে নিজের বুড়ো আঙ্গুলটা বুলিয়ে বলে "ভেবেছিলাম আজকের রাতটা রেস্ট করে কালকে তোমাকে এক জায়গায় নিয়ে যাবো ... কিন্তু ...."
স্পন্দনের হাত সমৃদ্ধির ঠোঁট থেকে গলায় নেমে এসেছে । নিজের গলায় স্পন্দনের শীতল হাতের স্পর্শে সমৃদ্ধির শরীরে শিহরন খেলে যায় । সমৃদ্ধি ঘোর লাগা স্বরে বলে "কিন্তু কি ? "
স্পন্দন সামনে ঝুঁকে সমৃদ্ধির কপালে , চোখে ,নাকের ডগায় চুমু দিয়ে বলে "কিন্তু আপনি তো আমাকে রেস্ট করতে দিলেন না ..."
এই বলে সমৃদ্ধির ঠোঁটজোড়াকে চুসতে শুরু করে ।
সমৃদ্ধি (এখন থেকে সমু লিখবো 🙂, সমৃদ্ধি বানান লিখতে লিখতেই এরপরে কি লিখব ভেবেছিলাম ভুলে যাই 🤧)।
স্পন্দনের ভালোবাসার জোয়ারের তলায় চাপা পড়ে সমু স্পন্দনের পিঠ খামচে ধরে । স্পন্দন সমুর জিভটাকে চুষছে । ঠোঁটের আক্রমণ ছেড়ে দিয়ে স্পন্দন সমুর গালে গভীর ভাবে চুমু দিয়ে ওর কামনার লতিতে আলতো কামড় দিয়ে ফিসফিস করে বলে "you know what .. you are sweeter than choclate...hotter than coffee... You are my hot chocolate.. "
সমু হাসে । স্পন্দনের কানের নীচে হাত রেখে বুড়ো আঙ্গুলটা ওর গালে বুলিয়ে বলে "And you are my chocopie.. "
স্পন্দন ভ্রু কুঁচকে বলে "chocopie.. "
সমু হেসে বলে "yeas.... "
স্পন্দন সমুর নাকে নাক ঘষে বলে "Lemme lick my hoy chocolate peacefully.. don't disturb me , you disturbing element.. "
সমু নকল রাগ দেখিয়ে বলে "আমি disturbing element? "
"Yes you are.. তুমি আমাকে আমার কাজ করতে ডিস্টার্ব করছো ... "
এই সমৃদ্ধির গলায় মুখ গুঁজে দেয় । কাতুকুতু অনুভূত হওয়াই সমৃদ্ধি খিলখিলিয়ে হেসে ওঠে । স্পন্দন সমৃদ্ধির কাঁধে গলায় , ঘাড়ে থুতনির নীচে জিভ দিয়ে লিক করছে আর ছোট ছোট ঠোঁটের কামড় দিচ্ছে । গলার নিচের অংশে জিভের স্পর্শ দিতে দিতে স্পন্দন সমুর টি শার্ট বাধা পায় । বিরক্ত হয়ে টি শার্টটা সমুর কাঁধ বেয়ে নামানোর চেষ্টা করলে সমু হেসে ওঠে। স্পন্দন মুখ ফুলিয়ে সমুর মুখের দিকে তাকিয়ে বলে "এদিকে আমি স্ট্রাগল করছি আর তুমি হাসছো ? "
"তো কি করবো ? ওটা ওদিক দিকে নামবে বলে তোমার মনে হয় ? "
সমু হেসেই যাচ্ছে , স্পন্দন প্রথমে কিছুক্ষন চোখ ছোট ছোট করে ওর দিকে তাকিয়ে থাকার পর সমুর থুতনির নীচটা grab করে ওর ঠোঁটে ঠোঁট মিলিয়ে নিজের জিভটা ঠেলে ঢুকিয়ে দেয় সমুর মুখে । দু জোড়া ঠোট আর জিভ এর ঠান্ডা যুদ্ধ চলতে থাকে । স্পন্দনের হাত সমুর গলা থেকে নেমে টি শার্টের ওপর দিয়েই বুকের চূড়ায় এসে থামে। চুম্বনে লিপ্ত থাকা অবস্থাতেই স্পন্দন আলতো করে হাত বুলায় সেই চূড়ায় । বৃন্ত গুলি শক্ত হয়ে টি শার্টের আস্তরণের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে । স্পন্দন আলতো হাতের চাপ দিতেই সমুর শরীরটা নড়ে ওঠে । হাতের চাপ বাড়ে , সমৃদ্ধি উত্তেজনায় স্পন্দনের জিভে কামড় দেয় । ঠোঁট ছেড়ে দিয়ে সমুর গালে , থুতনিতে ভেজা ঠোঁটের স্পর্শ দেয় স্পন্দন , সমৃদ্ধি আবেশে প্রেমিকের মাথার চুল খামচে ধরে । থুতনি থেকে গলায় নেমে আসে , গলায় চুমু দিতে দিতে দিতে টি শার্টের শেষ প্রান্ত ধরে ওপরে তুলে দেয় । সমৃদ্ধি বিছানা থেকে মাথাটা তুলে মাথা গলিয়ে টি শার্টটা শরীর থেকে আলাদা করে দেয় । কম আলোতেও দুজনের চোখ অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। একে অপরকে দেখতে পাচ্ছে ভালো মতোই । ঘামে স্পন্দনের মুখ চিকচিক করছে , সমৃদ্ধি মনে মনে বলে "এই ষোলো ডিগ্রী টেম্পারেচারেও কেউ এভাবে ঘামে ? "
স্পন্দনের চাহনি দেখে সমৃদ্ধিকে একরাশ লজ্জা এসে ঘিরে ধরে । ও ঠোঁট কামড়ে ডানদিকে মুখ ঘুরতে নেয় ।
স্পন্দন হাস্কি ভয়েসে বলে "Now I am loosing my control over myself ... "
এই বলে সমৃদ্ধির মেদহীন পেটে হাত রাখে । পেট থেকে হাতটা ওপরে ওঠাতে থাকে , সমৃদ্ধি বিছানার চাদর খামছে ধরে নিজেকে সামলায় । স্পন্দনের হাত ওপরে উঠতে উঠতে প্রেয়সীর আভরণহীন দুই বক্ষচূড়ার ওপরে এসে থামে । সমৃদ্ধিকে জ্বালাতন করার জন্য বৃন্ত দুটিকে দুই আঙ্গুলের মাঝে চেপে ধরতেই সমৃদ্ধি "ওহ... " করে শীৎকার দিয়ে ওঠে ওঠে। সমৃদ্ধির ধবধবে ফর্সা মেদহীন পেটে যেনো ঢেউ খেলা করছে ।
স্পন্দন জানে , এই মুহূর্তে ওর ঋদি কি চায় , কিন্তু সে তার ঋদিকে টিজ করার জন্য শুধু আলতো করে হাত বুলাচ্ছে প্রেয়সীর স্তনদ্বয়ে ।
সমৃদ্ধির মুখের অভিব্যক্তি দেখে স্পন্দন মুচকি হেসে বলে "এই ভাবেই ছটফট করবে তবুও মুখ ফুটে বলবে না যে বেবি প্রেস করো তাই তো ? মিস হিলিয়াম... "
সমৃদ্ধি তিরিং করে চোখ খুলে বলে "আমি হিলিয়াম.. ? "
"তা নয়তো কি ? চাইছো এক জিনিস , কিন্তু মুখ ফুটে বলবে না । হিলিয়াম বলবো না তো কি বলবো ? "
"আমি কি চাইছি তুমি জানো ? "
"তো আমি জানিনা তো কে জানবে ? "
"তুমি এখনও আমার সাথে ঝগড়া করবে প্রাণ ? " এই বলে সমৃদ্ধি মুখ ফোলায় । স্পন্দন দুষ্টু হেসে সমৃদ্ধির মুখের ওপরে ঝুঁকে বলে "বাপরে.... আমার বেবির তো দেখি তোর সইছে না । "
সমৃদ্ধি কিছু বলে না , ঠোঁট চেপে হাসে । স্পন্দন ওর ঠোঁটে আলতো করে জিভ বুলিয়ে বলে "তুমি কি চাও সেটা তোমার চেয়ে ভালো আমি জানি । দেখবে তুমি কি চাও ? "
সমৃদ্ধি অস্ফুটে বলে "কি? "
স্পন্দন এক মুহুর্ত দেরি না করে নিচ হয়ে সমৃদ্ধির একদিকের স্তনে মুখ ডুবিয়ে দেয় , অন্যদিকের টিকে মুঠো করে চেপে ধরে । সমৃদ্ধি আবেশে "আহ্হঃ, আমম " শিৎকার করে ওঠে ।
(ক্রমশ....)
