Unknown Insecurities..

469 23 7
                                    

"দি , নিশা দি তোর সাথে কথা বলবে । "
সমৃদ্ধি ফোনটা সম্প্রীতির দিকে এগিয়ে দেয় । সম্প্রীতি ফোনটা নিয়ে বলে "হ্যাঁ নিশা বলো । "
নিশা আর সম্প্রীতি প্রায় সমবয়সী , ওরা একে অপরের নাম ধরেই ডাকে , কিন্তু তুমি তুমি করে ।
"সম্প্রীতি , বলছিলাম কি সমুকে একবার একটু হোস্টেলে আসতে হবে । হোস্টেলের  renovation এর কাজ হবে তো । তাই বোর্ডার্সদের সবার সিগনেচার লাগবে।  ম্যামের সামনে দাঁড়িয়ে করতে সিগনেচার হবে তো । নাহলে আমরা ওর সইটা নকল করে দিতে পারতাম । "
"ওহহ আচ্ছা , বেশ কখন যেতে হবে বলো । সমু যাবে .. আমিও যেতাম কিন্তু  আজকে আমাদের একটু দক্ষিণেশ্বর যাওয়ার প্ল্যান ছিল । মা অনেক করে যেতে চাইছে । সমু আগে ঘুরে এসেছে বলে এমনিতেও যেতে চাইছিল  না ..., ভালই হলো ও  তাহলে হোস্টেল থেকে ঘুরে আসুক একবার । বেশ ঠিক আছে .. আমি ওকে বলছি ও চলে যাবে ।"

"দাদা , মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটাল  ক্যাম্পাসের সামনে দাঁড়াবেন । "
অটোওয়ালাকে বড় দেওয়ার পাঁচমিনিট পড়ে অটো এসে দাঁড়ায় ক্যাম্পাসের গেটের বাইরে । সমৃদ্ধি অটো থেকে নেমে দাঁড়াতেই ওর পাশে কেউ একজন এসে দাঁড়াতেই সমৃদ্ধি পাশে তাকিয়ে দেখে স্পন্দন ।
ও অবাক হয়ে বলে "প্রাণ তুমি ? "
"গাড়ি wrong সাইডে পার্ক করা আছে তাড়াতাড়ি চলো ..  । "
সমৃদ্ধি বিস্ময় নিয়ে বলে "চলো মানে ? হোস্টেলে কাজ আছে আমার ... আর তুমি কি করে জানলে আমি আসছি ।  আমি তো বলিনি ...  "
স্পন্দন ওর হাতটা ধরে বলে "তোমার কোনো কাজ নেই হোস্টেলে ঋদি ... নিশা আনার কথাতে ফোন করেছিল তোমায় । "
সমৃদ্ধি খুশি হবে না অবাক হবে বুঝতে পারে না।  স্পন্দন ওর হাত ধরে ওকে রাস্তা পার করিয়ে গাড়িতে উঠিয়ে সমৃদ্ধির সিটবেল্ট নিজে লাগিয়ে দিতে দিতে বলে "I know আমাকে ছেড়ে একমাস থেকে যেতেও তোমার কোনো প্রবলেম হবে না । But এই  তিনদিন তোমার সাথে মন খুলে কথা না বলতে পেরে  আমার suffocation হচ্ছিল , আমি থাকতে পারছিলাম না । তুমি আমার কাছে মেডিসিনের ডেইলি ডোজের মত হয়ে গিয়েছ।  একদিন কথা না হলে মনে হয় শরীর খারাপ করছে । "
সমৃদ্ধি ওর দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে ।স্পন্দন গাড়ি স্টার্ট দিতে দিতে বলে "হাসছো কি ? বিশ্বাস হচ্ছেনা তাই না আমার কথা ? অবশ্য হবেই বা কি করে , আপনার তো মন টন খারাপ করেনা  আমার জন্য।"
সমৃদ্ধি স্পন্দনের দিকে তাকায় , স্পন্দন একহাতে ড্রাইভ করছে।  সমৃদ্ধি ওর বামহাতেরর  আঙুলের মাঝে ওর নিজের  আঙ্গুলগুলো ঢুকিয়ে স্পন্দনের  হাতে চুমু দিয়ে বলে "এমন অভিমান করছো কেনো প্রাণ , দি সবসময় আমরা সঙ্গে সঙ্গে থাকে । আমি ফোন করতে পারিনা । বাই দা ওয়ে .. আমরা কোথায় যাচ্ছি ?  "
"জানিনা কোথায় যাচ্ছি , তবে ফ্ল্যাটে তো নয় । "
সমৃদ্ধি অবাক হয়ে বলে "জানিনা মানে ? "
"জানিনা মানে হচ্ছে আমি এখন তোমাকে একান্তে কোথাও নিয়ে যাবো না । কোনো রেস্টুরেন্টেই বসবো । "
"কেনো ? একান্তে কোথাও গেলে কি হবে ? "
স্পন্দন বলে "কি হবে ? সেটা তুমি আমাকে জিজ্ঞেস করছ ? "
সমৃদ্ধি মাথা নেড়ে বলে "হ্যাঁ সেটাই তো জিজ্ঞেস করছি।  "
স্পন্দন গাড়িটা স্লো করে বলে "এখান থেকে তুমি যখন তোমার বাবা মায়ের কাছে ফিরে যাবে , তোমার দিদি তোমার কানের নীচে , গলায় , কাঁধে , বুকে যদি আমার দেওয়া চিহ্ন দেখতে পায় তখন কি হবে ? ম্যানেজ করতে পারবে তুমি ?  "
সমৃদ্ধির গালদুটো টমেটোর মত লাল হয়ে যায় , ও ঠোঁটে ঠোঁট চেপে নিজের লাজুক হাসি আড়াল করে নীচের দিকে তাকায় ।
স্পন্দন হিসহিসে  গলায় বলে "আমার দিকে তাকাও ঋদি । এটা কিন্তু ঠিক নয় , নিজেই আমাকে জোর করে আমার মুখ থেকে কথা বের করিয়ে ছাড়বে , আর আমি মুখ খুলে ফেললেই তুমি আর আমার দিকে তাকাও না । এমন হলে আর কিছু বলব না তোমাকে আমি । "
সমৃদ্ধি ওর দিকে তাকিয়ে কোমল স্বরে বলে "সামনের দিকে তাকিয়ে গাড়ি চালাও । "

প্রেমিক Where stories live. Discover now