Munda kukkad kamal da

395 35 9
                                    

(Doctor বলেছে যেটা করতে ভালো লাগে, যা করলে ভালো থাকবো সেটা করতে , so...Here I am... . আমার পরীক্ষা এখনও শেষ হয়নি 24 তারিখ আর একটা পরীক্ষা আছে । )

একটা ঢিলেঢালা টি শার্ট আর 6 টা পকেট ওয়ালা কার্গো স্টাইল প্যান্ট পরে স্পন্দন ফ্রেশ টেস হয়ে নীচে আসে । আজ জিম অফ.. , মায়েরও কাজ নেই মা বাড়িতেই , একমাত্র বাবা অফিসে যাবে ।
স্পন্দনের মা আর রাধা ব্রেকফাস্ট রেডী করার জন্য কিচেনে ।
স্পন্দন সোজা কিচেনে গিয়ে সিঙ্ক থেকে কুকিজ নিয়ে মায়ের গালে চুমু দিয়ে বলে "গুড মর্নিং"
অপরাজিতা মৃদু হেসে বলে "গুড মর্নিং ..."
স্পন্দন রাধার দিকে তাকিয়ে বলে "গুড মর্নিং আন্টি .. "
"গুড মর্নিং ছোটুবাবা.. "
বলে রাধা স্পন্দনের দিকে তাকায় । স্পন্দন কুকিজ খেতে খেতে কিচেনের বাইরে চলে গিয়েছে। রাধা কিছুক্ষন ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকার পর বলে "আজকালকার ছেলেমেয়েরা কেমন যেনো হয়ে যাচ্ছে দিনদিন .. "
অপরাজিতা হেসে বলে "কেনো রাধা.. কি হলো ? "
"দেখুন না ম্যাডাম .. , কদিন আগেই যখন ছোটু বাবার জামাকাপড় মেলেছিলাম ওই ফ্ল্যাটে , এতটুকু একটা গেঞ্জি , আর একটা ফুলপ্যান্ট.. ফুলপ্যান্ট না বারমুডা ভগবান জানে .. আমার তো মনে হয়না ওই প্যান্ট ছোটুবাবার হাঁটুর নিচে অবধিও যায় বলে কিন্তু দেখতে একদম ফুলপ্যান্ট এর মত । জিজ্ঞেস করলাম বললো , ছোট পরা নাকি এখনকার ফ্যাশন .. আবার আজ দেখি আলখাল্লার মত একটা গেঞ্জি পরেছে , ওর মধ্যে তো আরেকটা ছোটুবাবা ঢুকে যাবে । ছোট পরা ফ্যাশন নাকি এরকম বড় বড় ফ্যাশন কি জানে বাপু... "
রাধার কথায় অপরাজিতা একটু ভাবনার ডুবে যায় । স্পন্দন সোফায় বসে ফোন খুচাচ্ছে , মুখের মধ্যে মনে হয় কুকিজ চিবাচ্ছে। রান্নাঘর থেকে হলের সোফা দেখা যায়, অপরাজিতা ছেলের দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে "আর দেরী করা চলবে না । ওর জন্মদিনের আগেই আমাকে সমৃদ্ধির সাথে দেখা করতেই হবে । " ।

অপরাজিতা কয়েকটা ডিজাইন নিয়ে বসেছে , হলের সোফাতেই। স্পন্দন ল্যাপটপে এডভার্টাইজিং এর জন্য এনিমেশন করছে । এনিমেশন এর দিক দিয়ে ওর দক্ষ হাত । বেশ কিছুক্ষণ ধরে দুজনেই সাইলেন্ট ছিল , স্পন্দন মৌনতা ভেঙে বলে "Mummy ji... "
"Yes... "
"ঋদি কে বলে দি তোমরা চলে এসেছ । ওর থেকে আড়াল করে রাখতে পারছি না তো । "
অপরাজিতা ঠোঁটের হাসিটা লুকিয়ে বলে "সে তোমার জীবনে এসেছে সেকথাটা এতগুলো মাস আড়াল করে রাখতে পারলে আমাদের থেকে , আর আমরা India ফিরেছি এই কথাটা তার থেকে কয়েকটা দিন আড়াল করতে পারছ না । "
বেচারা স্পন্দন আর কি বলবে .., চুপ থাকে । দোষটা তো ওরই ।
অপরাজিতা ছেলের গিল্টি মুখটা দেখে মুচকি হেসে আবার গাম্ভীর্যের নাটক করে বলে "কবে যেনো ওর hospital duty থাকে বলছিলি । "
"Friday first হাফ... "
"ওইদিন আমাকে একটু মেডিক্যাল কলেজে রেখে আসবি তো ।"
স্পন্দনের কোল থেকে প্রায় ল্যাপটপটা পরে যাওয়ার যোগাড় । অবাক হয়ে মায়ের দিকে তাকায় , "তুমি মেডিক্যালে কেনো যাবে ? তুমি কি সোজা ওর সামনাসামনি গিয়ে দাঁড়াবে । ও হার্টফেল করে ফেলবে তো... "
"কেনো আমি কি হার্টফেল করার মতো দেখতে ? "
"সে তোমাকে দেখলে বাবার হার্ট বেরিয়ে আসার মত অবস্থা হয়ে যায় , সেটা অন্য কথা । আমি অন্য সেন্সে বললাম । ঘাবড়ে যাবে মা । "
"যাতে না ঘাবরায় সেই ব্যবস্থা আমি করব । কোন ডিপার্টমেন্টে দুটি করছে সেটা জেনে নেবার দায়িত্ব আর আমাকে ওখানে রেখে আসার দায়িত্ব .. দুটোই তোর । আচ্ছা সেসব ছাড়ো , তোকে যেই কাজটা করতে বলেছি সেটা কবে করবি । "
"আজ একটু পরেই বেরোবো । "
"অয়ন কে বলেছি ও তোর সঙ্গে যাবে । "
"আচ্ছা । "
স্পন্দন মনে মনে বলে "আজ ঋদিকে সারপ্রাইজ দেওয়া যাবে । "

প্রেমিক Where stories live. Discover now