Mother of co-incidence

395 33 14
                                    

"So basically, আমাদের সমু এখন অফিসিয়ালি Non - vergin"
নিশার কথায় সমু বলে "ওহ shut up নিশা দি... "
"You shut up bloody ছুপা রুস্তম.. কতদিন পরে আমরা এরকম মশলাদার একটা খবর পেলাম । আমার তো হেব্বি মজা লাগছে ... এই শোননা.. SG মাসিমোর মত wild ? "
সমৃদ্ধি ভ্রু কুঁচকে বাঁকা চোখে তাকাল নিশা বলে "আরে dont worry... Imagine করছি না আমি , জাস্ট ask করছি... , "
সমৃদ্ধির গাল দুটো লাল হয়ে যায় , লজ্জায় কুঁকড়ে গিয়ে বলে "মাসিমোর মত কিনা কি করে বলবো , But ও ওর মতো ... He is soo caring.. "
নিশা আর ঋতজা একসাথে বলে "ওহো... মেয়ে ব্লাশ করছে । টা caring সেটা তো আমরা জানি । দেখেছি আমরা... "
সমু চমকে গিয়ে বলে "কি দেখেছো ? "
ঋতজা বলে "আর ভয় পাসনা , আমরা SG এর কেয়ারের কথা বললাম । অন্য কিছু নয় , ভরা রাস্তার মাঝে তোর জুতোর ফিতে বেঁধে দিচ্ছিল দেখেছি আমরা ।  "
সমু আরো অবাক হয়ে বলে "তোমরা কি করে দেখলে ? "
"খাবার কিনতে বেরিয়েছিলাম , তখন দেখলাম.... "
"তোমরা দেখেও ওর সাথে দেখা করতে এলে না । শুনলে খুব রাগ করবে ও । "
ঋতজা বলে "তোদের ওই মোমেন্টটা নষ্ট করতে চাইনি । জুতো বেঁধে দেয়ার পরে তুই যেভাবে SG কে জড়িয়ে ধরলি.. That was so cute.. "
নিশা ওর ফোনটা এগিয়ে দিয়ে বলে "এই দেখ..."
সমু দেখে ওর জুতোর ফিটতে বেঁধে দেওয়া থেকে স্পন্দনকে জড়িয়ে ধরা অবধি প্রায় সাত আটখানা ছবি তুলেছে নিশা । ওর  চোখগুলো উজ্জ্বল হয়ে ওঠে , নিশাকে বলে "ছবিগুলো আমাকে send করে দিও pls.."
নিশা বলে "দেবো না , কি খাওয়াবি বল আগে ? "
সমৃদ্ধি মুচকি হেসে বলে "সুধীরদার দোকানের বাটার চিকেট আর নান চলবে ? "
নিশা হেসে বলে "You hit the right spot babe..  পাঠিয়ে দেবো... না খাওয়ালেও পাঠাতাম হিহি..  এখন খেতেও পাবো । "
ঋতজা ডানদিকে তাকিয়ে বলে "হাঁটতে হাঁটতে Ocean Mall চলেই এসেছি । চল না ঢুকি একবার .."
সমু বলে "এত বইপত্র নিয়ে কিভাবে ঘুরবো ? "
"এত কোথায় ? তিনটে তো ... চলনা বাবু যাই.. "
"আচ্ছা বেশ চলো ..."

Ocean mall er entrance এর বাইরে তো পুরো পার্কের মত ।সুন্দর সুন্দর গাছলাগানো । মলের গ্লাসের দেয়ালের  ভেতরে ম্যানিকুইন্স  গুলো দেখা যাচ্ছে । দেয়ালের লাগোয়া  সিমেন্টের বসার জায়গা    । অনেকে বসে বসে আইস ক্রিম খাচ্ছে । Pantaloons এর অ্যাড দেওয়া , Zara এর অ্যাড দেওয়া , আর একটু পরেই PearlX এর অ্যাড দেওয়া... ।
নিশা আঙ্গুল দেখিয়ে বলে "সমু , তোর শ্বাশুরির কোম্পানি..  "
সমৃদ্ধি দাঁত চিবিয়ে বলে "চুপ করো নিশা দি । "
"ভাইরে ভাই , Ocean Mall এও তাদের সেকশন আছে ... আগে তো লক্ষ্য করিনি । "
"এখনো কোরো না । চলো ... "
সমু নিশার হাত ধরে টানতে টানতে এন্ট্রান্স এর দিকে নিয়ে যেতে যেতে দেখে এক্সিট গেটের বাইরে বসার জায়গাটায় দেয়ালে ঠেস দিয়ে একজন ভদ্রলোক প্রায় নেতিয়ে পড়ছেন ,হাতে অনেকগুলো ব্যাগ । ওনাকে এক ঝলক দেখেই সমু মনে মনে বলে "ভদ্রলোককে কোথায় যেনো দেখেছি । "
ও মনে করতে পারে না ,লোকটা প্রচণ্ড হাঁসফাঁস করছে .. চোখ খুলতে পারছে না ।
সমৃদ্ধি নিশাকে ডাকে "নিশাদি দেখো ..."
নিশা তাকানোর পরে বলে "ওনার বোধ হয় শরীর খারাপ .. "
ভদ্রলোক এতক্ষণ বসে হাঁসফাঁস করছিলেন ,এবার আর বসে থাকতে পারছেন না । ক্রমেই একদিকে নেতিয়ে পড়ছেন , উনি নেতিয়ে প্রায় পরে যাওয়ার আগেই সমু দৌড়ে গিয়ে ওনাকে ধরে নিয়ে সোজা করে বসিয়ে বলে "আংকেল.... আংকেল কি হয়েছে আপনার ? "
ভদ্রলোক কথা বলতে পারছেন না । "আংকেল  , কথা বলুন । আপনার সঙ্গে কেউ এসেছে ? "
উনি অনেক কষ্ট দুদিকে মাথা নেড়ে না বলেন । অর্থাৎ ওনার সাথে কেউ আসেনি । নিশা ঋতজার কানে কানে বলে "আংকেলের হাতে রোলেক্সের ঘড়ি , আংকেল বেশ বড়লোক .. "
ঋতজা বলে "এখানে বড়লোকরাই বাজার করতে আসে , আমাদের মত পাবলিক শুধু ঘুরতে আসে । "
সমৃদ্ধি কোনরকমে ভদ্রলোককে ধরে মনে মনে বলে "এত চেনা কেনো লাগছে আমার ? কোথায় দেখেছি ? "
আর মুখে বলে "ঋতদি.. জল দাও না প্লিজ..  ..."
সমৃদ্ধি ভদ্রলোককে আগলে ধরে আছে , ঋতজা জল খাইয়ে দেয় । সমৃদ্ধি ওনাকে জিজ্ঞেস করে "আংকেল.. আংকেল প্লিজ বলুন না আপনার কি অসুবিধা হচ্ছে । আপনার কি কোন অসুস্থতা আছে । "
উনি অস্ফুটে বলেন "সুগার... মি .. মিষ্টি..."
ঋতজা সিনিয়র হওয়ার দরুন ও বুঝতে পারে একটু একটু , বলে "সমু, আংকেলের মনে হয় সুগার ফল করেছে । মিষ্টি কিছু খাওয়াতে হবে .. "
সমু ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে বলে "আংকেল আপনার diabetes আছে ? "
উনি অনেক কষ্ট মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলেন ।
"সুগার ফল.. "
উনি আবার হ্যাঁ সূচক মাথা নাড়েন । সমৃদ্ধি আর দেরী করে না । ওর ব্যাগে একটা কিটক্যাট ছিল । সেটা তাড়াতাড়ি বের করে বলে "আংকেল আপনি এটা খান প্লিজ..  আপনি ঠিক হয়ে যাবেন ..  "
কিটক্যাটটা একটু একটু করে ভদ্রলোককে খাইয়ে দেয় সমু । নিশার দিকে তাকিয়ে বলে
"এই টুকুতে হবে ? "
নিশা বলে "একটু অপেক্ষা করি ,নাহলে দোকান থেকে কিছু কিনে আনবো । "
ভদ্রলোক চোখ বন্ধ করে দেয়ালে ঠেস দিয়ে বসে থাকেন কিছুক্ষন , উনি একটু ধাতস্থ হলে সমু জিজ্ঞেস করে "আংকেল আপনার ঠিক লাগছে একটু ? আরো মিষ্টি কিছু দেবো ? "
উনি সমৃদ্ধির হাত ধরে চোখ না খুলেই বলেন "না মা ... আমি ঠিক আছি । "
সমৃদ্ধি দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে "থ্যাংক ইউ বাপ্পা... "
ভদ্রলোক চোখ খুলে এতক্ষণে সমৃদ্ধিকে ভালো করে দেখেন । উনি অবাক হাইট সমৃদ্ধির মুখের দিকে তাকিয়েই আছেন । সমৃদ্ধি মৃদুস্বরে জিজ্ঞেস করে "আংকেল আপনি ঠিক আছেন এখন .. "
উনি তবুও নিস্পলক তাকিয়ে আছেন সমুর মুখের দিকে , সমু আবার জিজ্ঞেস করে "আংকেল... "
উনি অস্ফুটে বলেন "হ্যাঁ মা , ঠিক আছি আমি । তোমরা মা দুর্গার মত এসে বাঁচিয়ে নিয়েছ আমায় । থ্যাঙ্ক ইউ , থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ... তোমাদের নাম কি ? কোথায় থাকো তোমরা ? "
ওটা তিনজন একে একে নিজেদের নাম বলে তারপরে জানায় ওরা মেডিক্যাল কলেজে কোন কোন ক্লাসে পড়ছে । ভদ্রলোক মলিন হেসে বলেন "ওহহ... হবু ডাক্তার... । তাই তোমাদের মধ্যে ভরপুর মাতৃস্নেহ.., তোমরা একদিন খুব ভালো ডাক্তার হবে তোমরা দেখো । "
তিনজনে হেসে বলে "থ্যাঙ্ক ইউ আংকেল .."
সমৃদ্ধির গালের টোলটার দিকে তাকিয়ে উনি মনে মনে বলেন "এতো যেনো ছায়ারূপ.. আমি কি অসুস্থতার জন্য ভুল দেখছি । নাকি সত্যই একই চেহারার মানুষ পৃথিবীতে সাতটা থাকে । "
উনি এইসব ভাবতে ভাবতেই সমৃদ্ধি বলে "আংকেল ... আপনি এত অসুস্থ , তবু এই ট্রলি .. এতসব ব্যাগপত্র নিয়ে একা একা মলে এসেছেন কেনো । এখনি তো বিপদ হতে পারত । "
উনি মৃদু হেসে বলেন "এত ব্যাগ নিয়ে আসিনি মা । শুধু ট্রলিটাই সঙ্গে এনেছিলাম । এগুলো এখান থেকেই কেনা । বাড়ির লোকের জন্য কিছু গিফট নিয়েছি । "
সমু বলে "ওহহ.. আচ্ছা । আপনি বাড়ি কিভাবে যাবেন ? গাড়ি আছে সঙ্গে ? "
"ক্যাবে চলে যাব । "
"চলুন তাহলে আপনাকে ক্যাবে তুলে দি । এত ব্যাগ নিয়ে আপনি এই অসুস্থ শরীরে যেতে পারবেন না । "
"না না আমি পেরে যাবো , তোমাদের আর অত কষ্ট করতে হবে না । "
সমৃদ্ধি বলে "কষ্ট কিসের আংকেল । আমার বাবাও তো আপনার বয়সী , আমার বাবা হলে কি আপনাকে এইভাবে একা ছেড়ে দিতাম । ক্যাব বুক করতে হবে তো ..  "
সমৃদ্ধি কথা বলছে , আর ভদ্রলোক ওর মুখের দিকে তাকিয়েই আছেন ।
"কেনো ? কেনো শুধু তোমাকেই দেখতে পাচ্ছি এই মেয়েটার মধ্যে ... এত মিল.... কেনো ? "
ভদ্রলোক নিজের ফোন বের করে ক্যাব বুক করে । ব্যাগ থেকে একটা চকলেটের বক্স বের করে সমৃদ্ধির হাতে দিয়ে বলেন "এটা তোমাদের তিনজনের থ্যাঙ্ক ইউ গিফট..."
সমু অবাক হয়ে বলে "এমা না না , এটা কি করছেন আপনি আংকেল । আপনার বাড়ির লোকের জন্য কেনা গিফট আমাদের কেনো ? এমনটা করবেন না আংকেল । "
"নাও না মা , তুমি তো বললে আমি তোমার বাবার মতন । আরো রয়েছে ব্যাগে । ভেবে নাক তোমাদের বাবাই দিচ্ছেন । না কোরো না প্লিজ... "
ঋতজা বলে "আংকেল ... এটা তো আপনার বাড়ির লোকের জন্য কিনেছিলেন , আমরা কিভাবে । "
"তোমরা আমাকে বাঁচিয়ে দিয়েছ আমি আমার বাড়ির লোককে কিনে দেওয়ার আরো অনেক সুযোগ পাবো । আংকেলের ভালোবাসা হিসেবে নিয়ে নাও মা । "
সমৃদ্ধি মলিন হেসে বলে "ওকে"
উনি বলেন "তোমরা যেই চকলেট খেতে পছন্দ করে এটা হয়তো তেমন খেতে নয় । সুগার ফ্রী ডায়েট ফ্রেন্ডলি চকলেট তো । আমার কাছে এখন এটাই ছিল .. কিছু মনে কোরো না মা । "
সমৃদ্ধি ওনার হাত ধরে বলেন "কিছু মনে করব না আংকেল । আপনি আমাদের নিজের মেয়ের মতো ভেবে দিয়েছেন আমাদের নিশ্চয় পছন্দ হবে । "
একটা ক্যাব এসেছে , নম্বরটা দেখে ভদ্রলোক বলেন "ওই আমার ক্যাব চলে এসেছে । "
ওরা তিনজনে ভদ্রলোকের ব্যাগগুলো ক্যাবে তুলতে সাহায্য করে , সমৃদ্ধি ওনাকে ধরে ধরে ক্যাবে বসিয়ে দিয়ে বলেন "নিজের শরীরের খেয়াল রাখবেন । এই শরীরে একা এক কোথাও যাবেন না । "
উনি স্নেহভরা একটা হাসি দিয়ে বলেন "এইযে তিনটে ডাক্তার পেলাম । কয়েক বছর পর থেকে তাদের কাছেই চিকিৎসা করাবো আমি । "
ওরা হাসে । লোকটা হাত নেড়ে বলে "আসছি তবে মায়েরা । "
ওরা মাথা নেড়ে বলে "সাবধানে যাবেন আংকেল । "
ক্যাব এগিয়ে যায় । নিশা বলে "লোকটা ভালো মানুষ  ছিল কিন্তু .. "
সমু বলে "হুমম... বড্ড চেনা চেনা লাগলো । "
নিশা চকলেটের বক্সটা দেখে বলে "এত ইজিলি এত বড় একটা চকলেটের বক্স দিয়ে চলে গেলো । ডায়েট ফ্রেন্ডলি না কি যেনো বলে গেলো । এবার যদি খেতে ভালো না হয় । "
ঋতজা বলে "তাহলেও তোকে জোর করে খাওয়াবো চল এবার আর মল ঘুরতে হবে না ।  "
সমু বলে "সেটাই ভালো । হোস্টেল ফিরে চলো । "
ওখানে অনেক ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে ছিল । ওরা তিনজন একটা ট্যাক্সিতে উঠে পড়ে ।

দরজা খুলেই বাবাকে দেখে জড়িয়ে ধরে স্পন্দন "কোথায় ছিলে বাবা , কখন থেকে ওয়েট করছি । "
"মলে দেরি হয়ে গেলো, তার ওপরে ট্রাফিক..  । "
হৃদয় বাবু মনে মনে বলেন "শরীর খারাপের কথা শুনলে মা আর ছেলে কোনোদিন আমাকে একা ছাড়বে না । আর আমার বউটা তো টেনশন করে করে কপালে ভাঁজ ফেলে দেবে  । থাক বলার দরকার নেই । "
স্পন্দন বাবার হাত থেকে ব্যাগগুলো নিয়ে ঘরে ঢোকে , আর বলে "রাস্তায় অসুবিধে হয়নি তো । আমাকে কেনো জানাওনি বলোতো তোমরা । আমি নিতে যেতাম এয়ারপোর্ট.. । "
হৃদয়বাবু  বলেন "আগে জানালে তোকে সারপ্রাইজ দেওয়া হতো নাকি ? "
অপরাজিতা ফল কাটছিল , ফল কাটতে কাটতে বলে "হ্যাঁ আর আমিও সারপ্রাইজটাও পেতাম না ।  "
স্পন্দন বেচারার মত করে মায়ের দিকে তাকায় । হৃদয়বাবু বলেন "তুমি আবার কি সারপ্রাইজ পেলে ? "
মা এবার যখন তখন স্পন্দনকে একটা করে মিনি হার্ট এটাক দেবে সেটা স্পন্দনের জানা , অপরাজিতা বলে "সেরকম কিছু না ,দুপুর সাড়ে তিনটার সময় এসে দেখি তোমার ছেলে ঘুমাচ্ছে । "
হৃদয়বাবু হেসে বলেন "মাঝে মাঝে টায়ার্ড হয়ে গেলে ওরকম হয় । "
অপরাজিতা স্বামীর দিকে তাকিয়ে বলে "বাথরুমে জামাকাপড় সব দিয়ে এসেছি ফ্রেশ হয়ে নাও । তারপরে টেস্ট নেবে একটু । "
হৃদয়বাবু স্পন্দনের গালে হাত দিয়ে বলেন "চকলেট একটাই পেয়েছি । বাকি পরে এনে দেবো । "
স্পন্দন ঠোঁট উল্টে বলে "Ocean এও আউট অফ স্টক.. কদিন পরে মনে হয় কলকাতাতেই পাওয়া যাবে না । "
"কেনো যাবে না , অবশ্যই যাবে । আমি কালই গিয়ে নিয়ে আসবো আর তোর জন্য । "
স্পন্দন বাচ্চা ছেলের মত বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলে "Thank you baba .. "
স্পন্দন ওর চকলেট নিয়ে ফ্রিজে রাখতে চলে যায় ।
হৃদয়বাবু দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেন "চাইলেই নিজে কিনে এনে খেতে পারে । অথচ আমি এনে দিলে এমনভাবে খুশি হয়ে যায় ...।  "
অপরাজিতা স্বামীর মুখে একটুকরো আপেল দিয়ে বলে "বাপ কা বেটা.. সিপাহী কা ঘোড়া.. কুছ নেহি তো থোরা থোরা.. আপনিও তো চাইলেই নিজে থেকেই ওষুধটা খেতে পারেন । কিন্তু আমাকেই জোর করতে হবে ।  "
হৃদয়বাবু স্ত্রীয়ের গালে চুমু দিয়ে বলে "সেটাতে তো আমার বউয়ের ভালোবাসা থাকে । "
অপরাজিতা বলে "আর সেটাতে থাকে স্পন্দনের প্রতি ওর বাবার ভালোবাসা.. বুঝলেন মিস্টার ..."
হৃদয়বাবু  মৃদু হেসে বলেন "বুঝেছি মিসেস.."।
এই বলে দুজনেই হেসে ওঠে ।






(ক্রমশ..)

প্রেমিক Where stories live. Discover now