He belongs to someone else

679 36 15
                                    

ডিনের অফিস থেকে বেরোতে বেরোতে স্পন্দন অয়নকে বলে "তুমি কাগজপত্রগুলো নিয়ে সোজা অফিসে চলে যাবে । ওখানে কাগজগুলো বাবাকে দিয়ে দিও । আর বাবা কিছু জিজ্ঞেস করলে বলবে আমি একটু friends দের কাছে গিয়েছি  । "
অয়ন মাথা নেড়ে বলে "ওকে স্যার I got it..."
দরজা দিয়ে বেরিয়ে এতোজনকে করিডোরে  দেখে স্পন্দন একটু ঘাবড়ে যায় , কারণ আসার সময় করিডোর একদম ফাঁকা ছিল । স্পন্দন অয়নের দিকে তাকিয়ে বলে "কি ব্যাপার বলোতো ? "
"এখন ওদের ব্রেক টাইম স্যার , তাই হয়তো । আর একটা কারণ হতে পারে আপনি এসেছেন তাই .. আপনি তো জানেন যে আপনি যেখানেই যান সেখানে মেয়েরা... "
স্পন্দন মুচকি হেসে বলে "Nothing like that অয়ন... ব্রেক টাইমের জন্যই হয়তো ।"
আর মনে মনে বলে "আমার কুইন ভিক্টোরিয়াটা কোথায় ? নিশা তো বললো এই ফ্লোরেই ওর ক্লাস..."
নির্ভীক একটু এগিয়ে আসতেই দুজন মেয়ে এসে বলে "এক্সকিউজ মি স্যার... If you don't mind একটা কথা জিজ্ঞেস করবো ? "
স্পন্দন বলে "ইয়েস অফ কোর্স..."
"আপনি স্পন্দন গাঙ্গুলি না ? অপরাজিতা গাঙ্গুলির ছেলে তাই না ?"
স্পন্দন গর্বের সাথে বলে "হ্যাঁ.... "
মেয়েদুটো একসাইটেড হয়ে বলে "wow স্যার... আমরা বিশ্বাসী করতে পারছিনা আপনার সাথে দেখা হচ্ছে আমাদের । আমরা লাস্ট কনটেস্ট এর সময় আপনাকে দেখেছি লাইভে..  । বিশ্বাস করুন স্যার আমরা অপরাজিতা ম্যামের ডিজাইনের খুব বড় ফ্যান ... "
স্পন্দন হেসে বলে "থ্যাঙ্ক ইউ সো মাচ... Keep loving my mother... "
"আমরা কি একটা selfie নিতে পারি আপনার সাথে । "
অয়ন হাসছে , স্পন্দন হেসে বলে "কিন্তু ডিজাইনার আমি নই.. আমার মা.... "
একটা মেয়ে বলে "সে যায় হোক , আপনার সাথে ছবি তোলা , আপনার মায়ের সাথে তোলা একই ব্যাপার । প্লিজ স্যার এটা আমাদের একটা ছোট্ট রিকোয়েস্ট । লাস্ট টাইম আপনাকে স্টেজে award নিতে দেখার পরে আপনিও PearlX লাভার দের কাছে একজন সেলিব্রেটি.. "
স্পন্দন একটু awkward ফিল করলেও অবশেষে রাজি হয় । "আচ্ছা ওকে...." ।
মেয়েগুলো একসাইটেড হয়ে ফোন নিয়ে আসে । সবাই মিলে স্পন্দনের দুইপাশে দাঁড়িয়ে selfie তুলতে যাবে , স্পন্দনের চোখ যায় সামনে দাঁড়িয়ে রাগে হাতের মুঠি শক্ত করে মুখ ফুলিয়ে থাকা মিস সমৃদ্ধি শুক্লার দিকে ।
স্পন্দন মনে মনে বলে "এইরে সব শেষ..."
তখনই একজন বলে "স্যার প্লিজ ক্যামেরার দিকে তাকান । "
স্পন্দন বেচারা পড়েছে পাকের মধ্যে ।
সমৃদ্ধি ওকে দেখে নিশাকে বলে "নিশাদি... সেলিব্রিটি মানুষদের কাছে ঘেষার সুযোগ আমাদের আসবে বলে মনে হয় না । আমি ক্লাসে গেলাম , ব্রেক শেষ হতে আর 10 মিনিট বাকি মাত্র ... । "
সমৃদ্ধি ঘুরে ক্লাসের দিকে হাঁটতে শুরু করে .. ।
হঠাৎ স্পন্দন জোরে করে হ্যালো বলে ওঠে । সমৃদ্ধি থমকে গিয়ে ঘুরে তাকিয়ে দেখে স্পন্দন কানে ফোন নিয়ে হ্যালো হ্যালো করছে ।
মেয়েগুলোকে এক্সকিউজ মি বলে স্পন্দন  পাশ কাটিয়ে বেরিয়ে আসে । ফোনে কথা বলার নাটক করে বলে "হ্যাঁ বেবি বলো ..."
"প্লিজ ডোন্ট বি angry my love... "
সমৃদ্ধি বুকের কাছে হাত ভাঁজ করে দাঁড়িয়ে ঠোঁট চিপে হাসছে । স্পন্দন কথা গুলো সমৃদ্ধিকেই  বলছে কিন্তু ফোনে কথা বলার নাটক করছে । যারা যারা শিমলা ক্যাম্পে ছিল স্পন্দনকে সবাই দেখেছে । তবে সমৃদ্ধি আর স্পন্দনের ব্যাপারটা শুধু ওরা চারজন অর্থাৎ নিশা আর ঋতজা ছাড়া কেবল রিমি জানে ।
রিমি জানতোনা যেই ছেলেটাকে ও দেখতে যাচ্ছে সে আসলে স্পন্দন । স্পন্দনকে দেখার পরে ও সরে আসে । স্পন্দনকে ফোন বেবি বেবি করে কথা বলতে দেখে বাকি মেয়েগুলো নিরাশ হয়ে বলে "ওওওও.. এনগেজড, এত ভালো ছেলে ফাঁকা থাকবেই বা কেনো ? কোন লাকী গার্ল এর কপালে আছে কে জানে । "
স্পন্দনের নাটক দেখে নিশা , সমৃদ্ধি রিমি , ঋতজা সবাই মুচকি মুচকি হাসছে।
স্পন্দন ফোনে কথা বলার অভিনয় সমৃদ্ধির চোখের দিকে তাকিয়ে বলে "I missed you.... তুমি আমার ওপরে রাগ করলে কি করে চলবে ... । "
সমৃদ্ধি  সবার চোখের আড়ালে মুখ ফুলিয়ে ঠোঁট বেকায় । পেছন থেকে মেয়েরা নিজেদের মধ্যে বলাবলি করে "হায়ে... একে তো এত হ্যান্ডসাম তার ওপরে গ্রিন ফ্ল্যাগ... "
অয়ন আগেই চলে গিয়েছে । হলে এত ভিট দেখে পিয়ন বলে "ব্রেক টাইম শেষ সবাই নিজের নিজের ক্লাসে যাও...। "
সমৃদ্ধি চলে যাওয়ার আগে ঘুরে স্পন্দনের দিকে তাকায় । স্পন্দন "বাই" বলে ফোনটা কেটে দেওয়ার অভ8নয় করে ফোন পকেটে পুরে লিফটের দিকে হাঁটতে শুরু করে ।

সমৃদ্ধি ক্লাসে এসে নিজের খাতায় দাগ কাটতে কাটতে মনে  বলে "কি ভেবেছে ? মিষ্টি মিষ্টি কথায় ভুলে যাবো আমি ..  আমি গলছি না । গোপীদের মাঝে কৃষ্ণাজির মত দাঁড়িয়ে ছবি তোলা ... এখন যদি আমি অতগুলো ছেলের মাঝে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতাম , তখন তো ওনার রাগ আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে যেতো । আমিও রাগ করেছি ... "
নিজের মনে বিড়বিড় করতে করতেই ক্লাসে টিচার চলে আসে । সমৃদ্ধির ভাবনায় ছেদ পরে ।



ক্লাস থেকে বেরিয়ে হোস্টেল যাওয়ার সময় নিশা সমৃদ্ধির পাশে হাঁটতে হাঁটতে বলে "সমু , তোর ব্যাগটা দে ধরি... "
"আমার ব্যাগ ? আমার ব্যাগ একদম হালকা , ধরতে হবে না । "
নিশা জোর করে ওর ব্যাগে টান দিয়ে বলে "দেনা বাবা , ধরতে চাইছি আমি ..  "
এই বলে টেনে নিয়ে নেয় ওর ব্যাগ । তখনই ওদের  পাশে  হাট করে একটা গাড়ি এসে দাঁড়ায় । গাড়ির দরজা খুলে যেতেই স্পন্দন মুখ বাড়িয়ে বলে "Thank you Nisha..."
সমৃদ্ধি অবাক হয়ে তাকায় , ও কিছু বুঝে ওঠার আগেই স্পন্দন ওর হাত টেনে ওকে গাড়িতে বিষয়ে নিয়ে দরজা লক করে দেয় ।
সমৃদ্ধি দরজার লক ধরে টানাটানি করতে করতে বলে "দরজা খোলো ... আমি বাইরে যাবো ... "
নিশা বলে "সরি বেবি.. আমরা তোমাকে সঙ্গে নেবো না । SG .. এনজয় ইওর কোয়ালিটি টাইম... "
স্পন্দন চোখ মেরে বলে "থ্যাঙ্ক ইউ...এহসান তোলা রইলো । "
এই বলে কাঁচ তুলে দেয় । সমৃদ্ধি দরজার লক নিয়ে টানাটানি করলে স্পন্দন বলে "ওটা ভেঙে গেলে কিন্তু অনেক খরচ , তোমার বয়ফ্রেন্ড কিন্তু বেকার... বাবা মায়ের কাছে হাত পাততে হবে আমাকে । "
সমৃদ্ধি চুপচাপ বসে যায় । স্পন্দন ওর সিটবেল্ট লাগিয়ে দেয় । সমৃদ্ধি মুখ ফুলিয়ে বলে "আমি কোথায় যাব না ... "
স্পন্দন ওর থুতনির তলাটা ধরে ওর গালে গভীরভাবে  চুমু দিয়ে বলে "তোমাকে যেতে হবে না  আমার গার্লফ্রেন্ড গেলেই হবে ..  লেটস গো লাভ... "










(ক্রমশ...)

প্রেমিক Where stories live. Discover now