The night is about to end

764 21 15
                                    

স্পন্দন বিছানায় উঠে এসে সমৃদ্ধির খোলা পিঠে চুমু দিয়ে লাইট গুলো সব অফ করে দেয় , সমৃদ্ধি বুকের ওপরে ভোর দিয়ে শুয়ে আছে  । জানালার পর্দা গুলো সরিয়ে দেয় । কাঁচের বাইরে আকাশের চাঁদ দেখা যাচ্ছে । স্পন্দন দেয়ালে দুই তিনটে কুশনের ওপরে ভোর দিয়ে আধশোয়া হয়ে শুয়ে সমৃদ্ধির মাথায় হাত বুলিয়ে বলে "আমার বুকে এসো ... " ।
সমৃদ্ধি উঠে , স্পন্দনের বুকের বাম দিকে মাথা দিয়ে ওকে জড়িয়ে শোয় । স্পন্দন গায়ের ওপরে চাদর দিয়ে ডান হাতটা সমৃদ্ধির মুখের ওপরে বুলিয়ে ওর ঠোঁটে গভীরভাবে চুমু দিয়ে বলে "শরীর খারাপ করছে ? "
সমৃদ্ধি ওর বুকে মুখ ঘষে বলে "উম্ম হুমম.. "
"তাহলে আমি তোমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছি , ঘুমিয়ে যাও । "
সমৃদ্ধি স্পন্দনকে আরো ভালো করে জড়িয়ে বলে "ঘুম আসছে না , ঘুমাবো না । "
সমৃদ্ধির উম্মুক্ত বুকের কোমলতা অনুভব করতে পারছে স্পন্দন । ওর দিকে ঘুরে ওকে  ভালোভাবে বুকের সাথে জড়িয়ে  নিয়ে বলে "কিছু বলতে চাইছো ? "
"হুমম.... "
স্পন্দন সমৃদ্ধির কানের পাশের চুলগুলোতে হাত বোলাতে বোলাতে বলে "আমি তোমাকে পুরোপুরি কবে পাবো প্রাণ ...  "
স্পন্দন সমৃদ্ধির গালে হাত রেখে ওর কপালে চুমু দিয়ে বলে "পাবে তো বেবি , আমি তোমারই ... একটু অপেক্ষা করে যাও ... আমাদের হাতে এখনও সময় আছে । "
অন্ধকারে অভ্যস্ত হয়ে এখন দুজন দুজনের মুখ দেখতে পাচ্ছে হালকা চাঁদের আলোয় ।
সমৃদ্ধি মুখ তুলে বলে "তুই ভয় পাচ্ছো তাই না ? যে copulation এর সময় তোমার ঋদি কষ্ট পাবে । "
স্পন্দন অবাক হয়ে বলে "copulation ? "
"ওইটা মেডিকেল টার্ম ... আমি যেটা জিজ্ঞেস করলাম সেটা বলো , ভয় হয় তাই না তোমার ? আমি কষ্ট পাবো বলে । "
"ভয় তো একটু হবেই তাই না , এই একটু খানি তো তুমি ... তোমাকে কষ্ট দিতে ভয় তো লাগবেই .. আজকের চেয়ে  কয়েকগুণ বেশি কষ্ট হবে যে ... । "
সমৃদ্ধি উঠে বসে বলে "এই কথায় কথায় তুমি আমার হাইট নিয়ে মজা করবে না তো... "
স্পন্দন ওর হাত ধরে ওকে বুকের ওপরে টেনে নিয়ে বলে "মজা কোথায় করলাম বেবি ..  তুমি বলো .. আজ তোমার ব্যাথা লাগেনি ? লেগেছিল তো ? "
"না লাগেনি ... "
"আরে বাপরে .. তাহলে ওরম ছটফট করছিল কে ? "
"প্রাণ ভালো হচ্ছে না কিন্তু ..  "
স্পন্দন ওকে জাপটে ধরে নিজে দেয়ালের দিকে থেকে একটু সরে এসে দেয়াল আর ওর মাঝে সমৃদ্ধিকে ঢুকিয়ে দিয়ে ওকে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে ওর কানে কানে বলে "ফার্স্ট টাইম কতটা কতটা যন্ত্রণা হয় তোমার কোনো আইডিয়া নেই সোনা । "
"আইডিয়া আছে আমার , ছবি  এঁকে এঁকে এইসব নিয়ে পড়তে হয় আমাকে সেই ক্লাস 11 থেকে । First টাইম Hymen ছিঁড়ে যায় , ব্লিডিং হয়  সব জানি আমি । "
স্পন্দন ওর গালে মুখ ঘষতে ঘষতে বলে "ওলে বাবালে , সব জানে আমার বেবিটা... But আমি যে জানিনা hymen কি জিনিস... আমার তো বায়ো ছিল না , maths ছিল আমার 11 এ.. "
"যেটাকে তোমরা ভার্জিনিটির পর্দা বলো , সেটার নামই hymen.. কিছু অল্প শিক্ষিত লোকজন ভাবে মেয়েদের hymen আগেই break করে যাওয়া মানে মেয়েটা ভার্জিন নয়।  কিন্তু আদোতও তা নয় , মেয়েরা সাইক্লিং করলে , সুইমিং করলে , বেশি খেলাধুলা করলে penetrative intercourse এ involve হওয়ার আগেই তাদের hymen break করে যায় , তাই ফার্স্ট টাইম এও তাদের ব্লিডিং হয়না । "
স্পন্দন বলে "এই বিষয়টা আমি জানি , কিন্তু নামটা জানতাম না।  "
সমৃদ্ধি স্পন্দনের দিকে ঘুরে বলে "এটা নিয়ে জানো কি হয়েছে ... "
স্পন্দন বলে "কি হয়েছে গো .. "
"খুব বাজে একটা বিষয় হয়েছে , কেনো যে মানুষ অল্প জেনে এরকম করে আমার খুব খারাপ লেগেছিল , আমি তখন xii দেওয়ার পর neet এর প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম।  কেউ আমার কথা শোনেনি । দিদি আমাকে মুখ খুলতে দেয়নি।  "
"হয়েছিলটা কি ? "
"পুনে তে আমাদের বাড়ির পাশে একটা কাকুর নতুন বিয়ে হয়েছিল , কাকুটার বয়স কম ছিল  মানে ওই 27 - 28 ।  তো বৌভাতের পরের দিন থেকেই ওদের বাড়িতে ঝামেলা শুরু হয় , এইভাবে ঝামেলা হতে হতে একদিন শোনা যায় কাকুটা ওর বউকে ডিভোর্স দিচ্ছে । দিদি আমাকে সব বলে , দিদিটার কাছে জানতে পারি ফুলশয্যার সময় নাকি কাকুটার বউয়ের ব্লিডিং হয়নি বলে কাকুটা নতুন বউকে সন্দেহ করছে যে সে ভার্জিন নয় , তাকে বেশ্যা জাতীয় নানান গালিগালাচ করে ঝগড়া করে করে ডিভোর্স দিচ্ছে।  কাকিমাটা খুব সাধারণ ফ্যামিলির মেয়ে , খুব কান্নাকাটি করছিল যে আমি বিয়ের আগে কোনো ভুল করিনি ... আমার খুব খারাপ লেগেছিল জানো .. "
সব শুনে স্পন্দন বলে "ইস জানোয়ার মানুষ তো ..  "
"শেষমেষ লোকটা ডিভোর্স দিয়েই ছাড়ল । "
"ওরকম লোকের সাথে না থাকাই ভালো "
সমৃদ্ধি বলে "তবে ডিভোর্সের কিছুদিন পরেই ওই কাকিমাটার আবার বিয়ে হয়ে গেছে , সে এখন খুব হ্যাপী।  আর কাকুটা এখনও বিয়ে করতে পারেনি । "
স্পন্দন বলে "গুড...  দারুন ব্যাপার .. "
[ওপরের ঘটনাটি লেখিকার গ্রামের সত্য ঘটনা থেকে নেওয়া ]
সমৃদ্ধি স্পন্দনের বুকে মুখ ঘষে বলে "সেই জন্যেই আমি ঠিক করে নিয়েছিলাম ,অ্যারেঞ্জ ম্যারেজ আমি করবো না । অল্পশিক্ষিত ছেলেগুলোকে নিয়ে খুব জ্বালা..., করলে লাভ মারেজই করবো। "
স্পন্দন বলে "আচ্ছা , তাহলে আমি কেমন ... "
"তুমি তো রোমান্সের PHD স্কলার..  "
স্পন্দন ওর নাকে নাক ঘষে বলে "তাই ? "
সমৃদ্ধি ওর গলার কাছে আলতো করে কামড় দিয়ে বলে "ইয়েস... "
এইভাবে ওরা গল্প করতে করতে  কখন ঘুমিয়ে পড়ে দুজনের কেউই টের পায় না ।

সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে সমৃদ্ধি দেখে স্পন্দন তখনও ঘুমাচ্ছে।  ও ঘুমন্ত স্পন্দনের গালে চুমু দিয়ে নিজের জামাকাপড় পরে নেয়।  বিছানা থেকে পা ঝুলিয়ে গালে হাত দিয়ে ভাবতে থাকে "এই গাড়িটা থামবে কোথায় ? "
স্পন্দন পিটপিট করে চোখ খুলে দেখে সমৃদ্ধি বসে আছে , ও ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলে "কি হয়েছে ঋদি? উঠে বসে আছো কেনো ? "
"এই গাড়িটা কখন থামবে ? "
"এখন কটা বাজে ? "
"সাড়ে পাঁচটা । "
"এখনও তিনঘন্টা দেরী , বারো ঘণ্টার জন্য নিয়েছি , সাড়ে আটটার সময় আমাদের বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়াবে । কেনো গো ? "
সমৃদ্ধি মুখটাকে কিউট করে বলে "ওয়াশরুম যেতাম যে .. "
স্পন্দন একলাফে উঠে বলে "এই যা , আমরা এখন কোথায় কে জানে । দাঁড়াও আমি ফোন করি ... "
স্পন্দন ড্রাইভারকে ফোন করে ,ড্রাইভার জানায় এখান থেকে পনেরো মিনিট দূরে একটা পাঞ্জাবি ধাবা মত আছে ।
স্পন্দন সমৃদ্ধির দিকে তাকিয়ে বলে "পনেরো মিনিট পরেই ওয়াশরুম পাবো.. তোমার কি খুব কষ্ট হচ্ছে ? "
"না না আমি ঠিক আছি । পনেরো মিনিট অপেক্ষা করাই যায় । "

সমৃদ্ধি ওয়াশরুমে স্পন্দন বাইরে দাঁড়িয়ে আছে।  ওদিকে ড্রাইভার চা খাচ্ছে।  সমৃদ্ধি বেরিয়ে আসতেই স্পন্দন ওর দিকে রুমাল এগিয়ে দিয়ে বলে "ঠিক আছো ? "
সমৃদ্ধি কটমট করে তাকিয়ে বলে "আজব ক্যাটাগরির ছেলে তো তুমি , সুসু করতে গিয়েছিলাম যুদ্ধ করতে যায়নি যে আহত হয়ে ফিরে আসবো । "
স্পন্দন হেসে ওকে একহাতে জড়িয়ে নিয়ে ওর মাথায় চুমু দিয়ে মনে মনে  বলে "আমার টেনশন তুমি  কি বুঝবে । "
আর মুখে বলে "চা খাবো চলো .. "
"আগে তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও .. "
"ও হ্যাঁ.. ভুলে গিয়েছিলাম।  তুমি  ওখানে একটা চেয়ারে বসো । আমি এক্ষুনি আসছি । "

দুজনে মিলে ধাবায় বসে চা খায় , তারপরে আবার গাড়িতে উঠে রওনা দেয় কলকাতায় ওদের আস্তানার উদ্যেশ্যে ।



ক্রমশ...

প্রেমিক Where stories live. Discover now