Families...

369 24 9
                                    

"আন্টি.... আন্টি.... "
"আরে, লিয়া যে ..  "
লিয়া এসে অপরাজিতাকে জড়িয়ে ধরে বলে "গুড মর্নিং আন্টি । "
"গুড মর্নিং.... "
বলে একটা মিষ্টি হাসি দেন স্পন্দনের মা।  ড্রয়িং রুমের সোফায় বসে নতুন আউটলেটের পেপারগুলো ঠিক করছিলেন উনি ।
লিয়া ওনার পাশে বসে বলে "আংকেল কোথায় ? "
"ম্যানেজার এর সাথে একটু সাইট ভিজিটে বেরিয়েছেন ।  তোমার কি খবর ? ইউনিভার্সিটি শেষ তো এবার ? "
"Yes আন্টি , এটাই লাস্ট year ... তারপরে india ফিরবো । "
"বাহ.. খুব ভালো ... India তেই সেটেল করবে তো ? "
লিয়া মাথা নেড়ে বলে "No আন্টি.. এটা আমার দ্বারা possibleই না , আমি US ছেড়ে ইন্ডিয়াতে গিয়ে থাকতেই পারবো না । "
অপরাজিতা মলিন হেসে বলেন "ওহহ... "
"আচ্ছা আন্টি , SG তোমাকে ফোন করেছিল ? "
"হ্যাঁ , এই half an hour আগে করেছিল । কথা বলতে বলতেই ঘুমিয়ে পড়েছে । "
"তোমার ছেলেটা আমার ফোন ধরেনা কেনো বলোতো ? কত ট্রাই করি ফোনে , কখনও রিসিভ করেনা , কল ব্যাকও করেনা । ওর ওখানে daytime থাকবে বলে আমি midnight অবধি জেগে থাকি ওকে কল করবো বলে , তবুও ফোন রিসিভ করে না । "
অপরাজিতা বলেন "ওকে অনেক বড় একটা দায়িত্ব দিয়ে আমরা চলে এসেছি তো , তাই ও খুব ব্যস্ত থাকে । আসলে কি বলোতো মা , বাবুর তো এইসবে  অভ্যেস নেই , ও বিজনেস জয়েন করতেও চায়না।  আমরা নেই তাই চাপে পরে ওকে দুবেলা অফিস ছুটতে হয় । তাই হয়তো পেরে ওঠে না।  "
"আচ্ছা আন্টি , তুমি এখানকার outlet টা SGর জন্য বানাচ্ছ তাই না ? I mean PearlX এর এখানকার outletটা তো ওই সামলাবে ? "
লিয়ার এরকম প্রশ্নে খানিক অবাক হয় অপরাজিতা , তবুও ঠোঁটে একটা হাসি নিয়ে বলে "ও যদি আসতে চায় তো আসবে , তাছাড়া এখানকার outlet হোক , কলকাতার হোক বা মুম্বাইয়ের সবটাই তো ওর .. আমাদের আর কে আছে ? কিন্তু আমার মনে হয়না ও আর দেশ ছেড়ে এখানে আসবে বলে । He is happy there..."
"তোমার ছেলেটা এরকম কেনো গো ? দুই বছর USA থাকার পরেও কারোর ইন্ডিয়া কি করে ভালো লাগতে পারে ? India তে কি আছে ওর ? "
তখনই দরজার কাছ থেকে উত্তর আসে "ইন্ডিয়াতে ওর নিজের ভাষা আছে , নিজের লোকেরা আছে , ওর বন্ধুরা আছে .. ওর ছেলেবেলা আছে ...USA তে দু বছর থাকলেও তার আগের তেইশটা বছর ওর ইন্ডিয়াতেই আছে । আর সবচেয়ে বড় কথা এখানকার কাজ শেষ হয়ে গেলে ওর বাবা মাও ইন্ডিয়াতেই থাকবে । "
স্পন্দনের বাবাকে আসতে দেখে লিয়া গিয়ে ওনাকে হাগ করে বলে "How are you uncle.. "
"I'm fine ... What about you ? "
"All good.. "
স্পন্দনের বাবা এসে সোফাতে বসতেই স্পন্দনের মা ওনার হাত থেকে ব্লেজারটা নিয়ে বলেন "সব ঠিক আছে .. "
"হ্যাঁ ভালই চলছে সব .. কোনো প্রবলেম নেই । "
"তুমি এমন ঘামছ কেনো ? ওষুধ খেয়েছো  ? "
"ভুলে যাওয়ার জো রেখেছ তুমি ? ফোনে রিমাইন্ডার লাগিয়ে দিয়েছ , এলিসকেও বলে রেখেছ , নিজে ফোন করেছ কি করে ভুলবো ? "
"শার্টের ওপরের বোতামদুটো খুলে দাও .. আমি বললাম তোমাকে যেতে হবে না তবু তুমি গেলে । "
লিয়া এসব দেখে বলে "আন্টি এখন তবে আমি আসছি ,আমি পরে আসবো । তুমি প্লিজ SG কে বোলো আমার ফোনটা যেনো রিসিভ করে নাহলে নিজে কল করে । "
"আচ্ছা .. "
লিয়া চলে যায় ।
অপরাজিতা স্বামীর পাশে বসে বলে "তোমার কি শরীরটা খারাপ লাগছে .. "
"আরে না , আমি ঠিক আছি । এত প্যানিক কোরো না মুক্তা । লিয়া কি বলছিল ? "
"বাবু ওর ফোন রিসিভ করেনা সেটাই বলছিল আমি যেনো ওকে বলি । "
"লিয়ার মনে একটা এক্সপেক্টেশন তৈরী হচ্ছে মুক্তা , আর ওর বাবারও একই এক্সপেক্টেশন.., ছেলেবেলার বন্ধু তো ওরা ।  "
"কিন্তু স্পন্দন লিয়াকে বন্ধুর অতিরিক্ত কিছু ভাবে না । যদি ভাবতো আমি আমার ছেলের চোখ দেখে বুঝতে পারতাম । তুমি এসব নিয়ে ভেবো না । তুমি ঘরে গিয়ে চেঞ্জ করে একটু রেস্ট নাও আমি কিছু বানিয়ে আনছি । "
স্পন্দনের বাবা স্ত্রীয়ের হাত ধরে বলেন "আমার ছেলের জীবনে আমি তোমার মত কাউকে চাই মুক্তা।  ছেলেটা বড্ড সাদামাটা আমার , লিয়া ওকে বুঝতে পারবে না । "
"তুমি এখনই এসব নিয়ে এত ভেবো না , তোমার ছেলে বড় হয়েছে .. ওর কিসে ভালো হবে সেটা ও বোঝে , আর তারপরে তো আমি আর তুমি আছি তাই না ।  ওঠো তো , যাও ঘরে গিয়ে চেঞ্জ করে নাও । "

প্রেমিক Where stories live. Discover now