Wait is not over yet

418 32 14
                                    

সমৃদ্ধি স্নান করে ঘরের বাইরে এসে দেখে রাজ , অভয় আর রাকেশ প্রায় রেডি হয়ে বসে আছে । যেনো ওর জন্যই অপেক্ষা করছিল ও ঘর থেকে বেরোবে আর বলবে "আসি তবে... "
হলও তাই , সমৃদ্ধিকে বেরোতে দেখেই অভয় বলে "তাহলে সমৃদ্ধি , আমরা আসছি তাহলে । "
সমৃদ্ধি অবাক হয়ে বলে "এমা.... তোমরা চলে যাচ্ছ ? ডিনার করে যাবে না ? "
স্পন্দন প্রায় শক  খাওয়ার মত করে সমৃদ্ধির দিকে তাকায় "ডিনার ? কে ডিনার খাবে ?"
"কেনো ? দাদারা..."
" না না কোনো ডিনার হবে না এখানে , সবে সাড়ে সাতটা বাজে । এই তোরা বেরো... "
রাজ বলে "দেখেছো সমৃদ্ধি , এই ছেলেটা খুব খারাপ শুধু তোমার সামনেই ভালো সেজে থাকে । আমাদের সাথে কিভাবে আচরণ করছে দেখছ ... তুমি ডিনারের কথা বলছ আর কেমন তাড়িয়ে দিচ্ছে । "
সমৃদ্ধি বলে "তুমি এমন কেনো গো ? "
স্পন্দন সমৃদ্ধির কাছে গিয়ে ওর দুই গালে হাত দিয়ে বলে "ঋদি .. তুমি শোনো , তুমি চেনোনা ওদের । আগেরবার এসে আমার শখের কিচেন ধ্বংস করে দিয়েছিল ওরা । ওদের ফেসের দিকে যেওনা ওরা একেকটা হারামি । "
রাজ অভয় আর রাকেশ মুচকি মুচকি হাসছে । সমৃদ্ধি বলে "তবুও... এসএমই যখন আছি , দাদাদের না খেয়ে যেতে দেবো না । "
স্পন্দন কপাল চাপড়ে বলে "কে রান্না করবে শুনি ? তুমি পারো রান্না ? "
"আমি পারিনা তো কি হয়েছে , তুমি করবে । "
স্পন্দন বলে "নো ওয়ে.. ওদের জন্য রান্না করতে পারবো না আমি । "
রাজ রাকেশ আর অভয় এগিয়ে এসে বলে "কোনো ব্যাপার না .. আমরা আর সমৃদ্ধি চারজন মিলে করে নেবো । তুই বসে থাকিস । সমৃদ্ধি আমাদের সুপারভাইজার.. "
সমৃদ্ধি মাথা নেড়ে বলে "গুড আইডিয়া..."
স্পদন বলে "ভেরি bad idea.. এই তোরা বেরো তো .. যা বেরো..  "
অভয় রাজ আর রাকেশ তিনজনে গিয়ে সমৃদ্ধির পেছনে দাঁড়িয়ে বলে "তুই বেরোতে বলি তাতে আমাদের বয়েই গেছে।  আজ আমরা টিম সমু... "
সমৃদ্ধি হাততালি দিয়ে বলে ইয়ে... ।
স্পন্দন মনে মনে বলে "কেনো ঋদি কেনো ? কেনো ওদের আটকে দিলে তুমি ... এবার এগারোটা অবধি ওরা কোথাও নড়বে না । তুমি কি বুঝতে পারছ না যে তোমার প্রাণ তোমাকে একটু ভালোভাবে জড়িয়ে ধরার জন্য ছটফট করছে । "
রাজ বলে "আজকে হবে খিচুড়ি আর চিকেন কষা ।  "
স্পন্দন নাক সিটকে  বলে "ইউ.. খিচুড়ি দিয়ে চিকেন কি খায় ? "
অভয় বলে "আমরা... খাবো । "
স্পন্দন বলে "চিকেন নেই বাড়িতে । "
রাকেশ বলে "কোই বাত নেহি ইনস্টামার্ট আছে । 15 মিনিটের মধ্যে চলে আসবে । "
স্পন্দন বলে "ডাল নেই .. "
রাকেশ আবার বলে "ওটাও চলে আসবে বস চাপ নেই । "
স্পন্দন বলে "আমি রুমে যাচ্ছি । তোরা শুধু আমার কিচেনটাকে বাঁচিয়ে রাখিস । জায়গার জিনিস যেনো জায়গায় থাকে । "
এই বলে স্পন্দন ঘরে চলে যায় । সমৃদ্ধি ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলে "রাগটাও তোমার দ্বারা ঠিকঠাক ভাবে হয়না । তাইনা প্রাণ ... আমি জানি তুমি আমাকে একা চাইছো । কিন্তু আমি তোমার বন্ধুদের কোনোদিনও এটা ফিল করতে দেবো না যে আমি তোমাকে ওদের থেকে দূরে করে দিয়েছি । "
অভয় রাজের কানে কানে বলে "সমৃদ্ধি প্রায় আট দশদিন পরে SG র কাছে এসেছে । আমাদের কি থেকে যাওয়াটা ঠিক হলো ? "
রাজ বলে "ওকে জ্বালানোর জন্যই তো থাকলাম .. যত সময় যাবে এসজি অধৈর্য হয়ে পড়বে । আর ওর অধৈর্য হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে আমার এত মজা লাগে ..  "
অভয় ভ্রু কুচকে বলে "অধৈর্য হয়ে যাওয়া মুখ মানে ? তুই আগে দেখেছিস নাকি ? এই শালা তুই মেয়ে নাকি ? "
রাজ নাক সিটকে বলে "ইস.. কি ভাবনাচিন্তা .. তোরা আমাকে নোংরা বলিস তোরা কি বে ? আমি অধৈর্য বলতে যেকোনো সিচুয়েশনে অধৈর্য হয়ে যাওয়ার কথা বলেছি । যেমন ওর খিদে পেলে ও খিদে সহ্য করতে পারে না । কোথাও ঘুরতে যাওয়ার ইচ্ছে করলে তখন না সেই জায়গায় গিয়ে পৌঁছাচ্ছে শান্তি পায়না । USA তে থাকতে এমন একটা দিন নেই যে ফোন করে বলেনি ভাই ভাল্লাগছে না দেশে যাবো । "
অভয় বলে "সেতো আমাকেও বলতো । "
রাজ বলে "তাহলে ? সবসময় নেগেটিভটাই আসে কেনো তোর মাথায় ? "
অভয় ওর দিকে তাকিয়ে বলে "তোর সাথে সাথে থাকার ফল । "
রাকেশ ফিক করে হেসে ফেলে । সমৃদ্ধি এতক্ষণ ভাবনার জগতে ছিল । বাস্তবে ফিরে বলে "রাকেশদা চিকেন আর ডাল কতক্ষণ ? "
"আর দশ মিনিট । "
"আচ্ছা । "
রাজ বলে "সমৃদ্ধি , তোমাকে কিছু করতে হবে না । তুমি শুধু আমাদের ওপরে ছড়ি ঘুরাবে কেমন ? "
সমৃদ্ধি হেসে বলে "আমি তো এমনিতেও ম্যাগি , চাউমিন  আর ওমলেট ছাড়া সেরকম  কিচ্ছু পারিনা । আচ্ছা শোনো না , তোমরা তো আমার দাদার মত , তোমরা আমাকে সমু বলেই ডেকো । "
তিনজনে একসাথে মাথা নেড়ে বলে "আচ্ছা সমু।"
সমৃদ্ধি হাসে । মনে মনে বলে "কি ভালো এরা । "
ওরা তিনজনে দলবেঁধে কিচেনে ঢোকে । সমৃদ্ধি মনে মনে বলে "দেখি তো , ছেলেটা কি করছে । "
সমৃদ্ধি ঘরে এসে দেখে স্পন্দন খাতে বসে এটা ইংলিশ নভেল খুলে বসেছে । সমৃদ্ধি মৃদু হেসে পেছন থেকে স্পন্দনের গলা জড়িয়ে ওর গালে গাল ঠেকিয়ে বলে "কি করছে আমার প্রাণটা..  "
স্পন্দন গম্ভীর হয়ে বলে "সেটা তুমি জেনে কি করবে ? যাও না রান্না করো গিয়ে।  "
সমৃদ্ধি ঠোঁট উল্টে বলে "ও খুব রাগ হয়ে গিয়েছে .. রাগে আমার হট প্রাণের মাথাটা আরো হট হয়ে গিয়েছে । "
স্পন্দন মনে মনে বলে "ঋদি কি করছে এটা , এটা কেমন করে কথা বলছে .. কি কিউট লাগছে শুনতে। কিন্তু না.. গলে  গেলে চলবে না স্পন্দন , তুই রেগে আছিস । "
সমৃদ্ধি পেছন থেকে স্পন্দনের গলা জড়িয়ে ওর গালে গভীরভাবে চুমু দিয়ে বলে "কফি খাবে ? "
"নাহ..  "
"জল খাবে ? "
"না .. "
"পাস্তা ? "
" না "
"খিচুড়ি "
"না... "
"চুমু খাবে ? "
স্পন্দন না বলে বলে এবারেও বলে ফেলে "না "
সমৃদ্ধি হেসে ওর গলা ছেড়ে দিয়ে বলে "বেশ .. খেতে হবে না । আমি গেলাম কিচেনে । "
স্পন্দন পেছন ঘুরে যেই  কিছু বলতে যাবে  । সমৃদ্ধি দরজার কাছে গিয়ে বলে "একবার না বলে দিয়েছ আর পাবে না । এখন বসে বসে খিচুড়ির জন্য ওয়েট করো বাইইই... "।
সমৃদ্ধি চলে যায় স্পন্দন ক্যাবলার মত ওখানেই বসে থাকে ।

(সত্যি কথা বলতে , গল্প আর কেউ আগের মত রেসপন্ড করে না । তাই আমিও আর লেখার পজিটিভ এনার্জিটা পাচ্ছি না।  আমি শুধু কমেন্ট পড়ার লোভেই গল্প লিখি 😞😰)

প্রেমিক Where stories live. Discover now