আলিজা জোর করে এরিকের হাত ছাড়িয়ে বলল, "তুমি এমন কেন !"
এরিক বলল, "প্রথম থেকেই তুমি জানো ! আমি এমনই |"
আলিজা ঘুরে দাঁড়াতেই এরিক আবার পিছন থেকে জড়িয়ে ধরল দুহাতে, বলল, "আমার জানতে ইচ্ছা করে তুমি এমন কেন ! তুমি বাধা দিলে আমার আরো বেশি তোমাকে আদর করতে ইচ্ছা করে !"
আলিজা অস্বস্তির সাথে বলল, "ছি এরিক ! ভাইয়ার সামনে এসব কি বলছো তুমি ! তোমার একটুও সংকোচ নেই |"
"না নেই !"
আলিজা ব্যস্তভাবে নিজেকে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল, বলল, "ছাড়ো তো ! আমার শাড়ির ভাঁজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে |"
"লিজ ধস্তাধস্তি করে লাভ নেই কিন্তু | আমি না ছাড়লে তুমি যেতে পারবে না !"
আলিজা হাল ছেড়ে দিল, এরিকের জোরের সাথে তার পেরে ওঠা সম্ভবও না |
আইলান সিগারেট ধরিয়ে বলল, "আচ্ছা আমরা তিনজনেই তো উপরে চলে এলাম ওদিকে বাচ্চাদের দেখবে কে ? এরিক ম্যাডিসন কই ? ওকে সাবধানে রেখে এসেছো তো ?"
এরিক আলিজার খোঁপায় নাক ঘষে বলল, "ব্রিটিশ লেইডির কাছে বসে আছে ও ! তাছাড়া ড্যাড আছে আর তোমার বাবাও আছে |"
আইলান সিগারেটে লম্বা টান দিয়ে বলল, "বাহ্ ! বাপকে বেবীসিটার বানিয়ে তুমি এখানে এসে রোমান্স করছো ! আর নিচে গেলে সবাই দুষবে আমার বোনকে !"
এরিক আলিজার মাথার উপর থুতনিটা রেখে বলল, "তুমি আমার ড্যাডকে জানোনা এলান ! সে খুব ভালো একজন 'ম্যানি' !"
আলিজা এরিকের হাতের উপর চাপড় দিয়ে বলল, "এরিক ! তুমি ড্যাডকে ম্যানি বলছো ?"
আইলান অবাক হয়ে বলল, "ম্যানি কি ?"
এরিক বলল, "ন্যানির ( শিশুপালনকারিণী ধাত্রী ) পুরুষ ভার্সন হল ম্যানি !"
আলিজা আবার প্রতিবাদের সাথে বলল, "এরিক ! কি কথাবার্তা এসব !"
এরিক বলল, "সুইটহার্ট ড্যাড কিন্তু সত্যিই বাচ্চাদের সঙ্গে চমৎকার !"
"আমি জানি | কিন্তু উনি তোমার বাবা, আমারও বাবার মত আর আর আমার ছেলেমেদের দাদা ! তুমি তাকে ম্যানি কেন বলছো !"