অধ্যায় ৪৩

77 4 0
                                    

লিফট আমার অফিসরুমের ফ্লোরে এসে দাঁড়ালো। আমি লিফট থেকে নেমে আমার রুমের দিকে হাঁটা লাগলাম। চারিদিক অদ্ভুত নিস্তব্ধতা, নীচে যে party হচ্ছে তার হালকা আওয়াজ পর্যন্তও শোনা যাচ্ছে না।

কিন্তু অফিসের এত security ভেঙে, এত লোকজনের চোখ এড়িয়ে কে আমার রুমে ঢুকতে পারে। আর ওখানে ঢুকলেও আমাদের অফিসের private mail serverএ ঢোকা কম বড় কথা নয়।

নিজের রুমের সামনে এসে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লাম। আমার কি একটা mailএর উপর ভিত্তি করে উপরে আসাটা উচিত হলো? কাউকে জানিয়েও আসা হয় নি। কিন্তু সত্যিই আমার উপর ওরা যদি নজর রেখে থাকে তবে আমি কাউকে জানাতে গেলে তো অফিসের সমস্ত dataএর security নিয়ে গাফিলতি করা হয়ে যেত। আমি বাবাকে promise করেছিলাম জানে বুঝে এই businessএর কোনো ক্ষতি আমি হতে দেবো না।

একটা দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে দরজার হাতল ঘোরাতেই খুট করে আওয়াজ করে দরজা খুলে গেল। ভেতরে ঢুকে অন্ধকার ছাড়া আমার চোখে আর কিছুই ধরা পড়লো না। আমি দরজার পাশেই থাকা লাইটের সুইচটা হাত বাড়িয়ে On করলাম। সামনের দিকে তাকিয়ে দেখি Sophia আমার personal চেয়ারে বসে আছে।

আমি অবাক হয়ে বললাম,"Sophia, তুমি এখানে?"

Sophia:- কি অবাক হলে মনে হয়?

আমি হাতের ফোনটা টেবিলে রেখে, ওর মুখোমুখি একটা চেয়ার টেনে বসে বললাম,"তা কি দরকারে আমাকে ডেকে পাঠালে? কি চাও তুমি Sensationএর কাছে?"

Sophia আমার দিকে ঝুঁকে বললো,"যা চাইবো দিতে পারবে?"

আমি কোনো জবাব দিলাম না।

Sophia বাঁকা হাসি হেসে বলল, "Namjoonএর জীবন থেকে সরে যাও।"

আমি:- কেন সরে যাবো?

Sophia:- নিজেকে বাঁচাতে!

ওর মুখের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথেই আমার মাথার পেছনে কেউ যেন খুব জোরে আঘাত করলো। আমি চেয়ার থেকে পড়ে গেলাম।

মাথার পেছন দিকে এক অসহ্য যন্ত্রণার অনুভূতি পেলাম। দৃষ্টিশক্তি ঝাপসা হয়ে আসছে।

Sophia উঠে এসে আমার মুখের সামনে ঝুঁকে বললো,"আমি জানি তুমি কোনোদিন Namjoonএর জীবন থেকে নিজের ইচ্ছায় সরে যাবে না। তাই আমি তোমাকে permanently ওর জীবন থেকে সরানোর ব্যবস্থা করতে এসেছি।"

প্রাক্তনWo Geschichten leben. Entdecke jetzt