পর্ব ১১

613 31 2
                                    

#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখনীতে, #AbiarMaria

#১১

আসিফ কি এখন ধ্রুবকে মারবে,নাকি প্রিয়ন্তিকে সামলাবে,সেটাই সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না।তার উপর পরিবারের মানুষ যদি এতে যোগ দেয়,তাহলে তো দুই বাসায় রীতিমতো টর্নেডো,সুনামি হয়ে যাবে।মোবারক,রাতুল, আসাদ,সামির সবার দিকে ও এক এক করে চোখ বুলায়।
"আমি কি করব এখন বল? প্রিয়ন্তিকে কি বলছে আল্লাহ জানে!আমার তো মন চাচ্ছে ধ্রুব আর ঐ দুই ছেমড়িকে মাটির সাথে গাইড়া ফেলি!"
রাতুল মাথা নাড়ায়,
"ধ্রুবকে বেশি কিছু করতে পারবি না।গায়ের জোরে লাগতে গেলে ওর বাপ ভাই নিয়ে তোর পিছে লাগবে।আর আংকেলকে তো আমি চিনি।উনি তোকে সাপোর্ট না করে একেবারে প্যাঁদানি দিবে তোকে"
সামির আসিফের কাঁধে হাত রাখে।
"মাম্মা,তুই চিন্তা করিস না।ধ্রুবকে আমরা সবাই মিল্লা বাঁশবাগানে নিয়ে ফেলমু।কিন্তু প্রিয়ন্তি যদি ভেজাল পাকায়,তাইলে আর কোনো যায়গা পাবি না পালানোর।আগে মনে হয় ওরেই সামলানো দরকার"
সামির দাঁত খুটতে খুটতে বলে,
"মাইয়া মানুষ সবসময় একটু বেশি বুঝে।তুই গিয়ে আগে ভাবীরে সামলা।আমরা এইদিকটা দেখমু।কালকে ধ্রুবরে ধুইয়া দিমু"
মোবারক আসিফের কাঁধে চাপড় দেয়।
"বাসায় যাও মাম্মা।বাসায় গিয়া ভাবীর সাথে কথা ক।যাহ!"

আসিফ রাস্তার অপর দিকে দেখে,ধ্রুব তার সাঙ্গপাঙ্গ  নিয়ে চলে গেছে।ও বন্ধুদের কাছ থেকে চলে আসে।আজ প্রিয়ন্তি নিশ্চয়ই ওকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছিল কারণ গতরাতে ও অনেকবার বলেছে যে প্রিয়ন্তিকে দেখতে ইচ্ছা করছে।প্রিয়ন্তি এজন্যই ওকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছে।অথচ এখন ও নিজেই উল্টো সারপ্রাইজড হয়ে গেল।আসিফ ফোন বের করে প্রিয়ন্তির নাম্নারে ডায়াল করে।প্রতিবারই ওপাশ থেকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভদ্র এবং বিরক্তিকর নারীকন্ঠ জানায় যে নাম্বারটি বন্ধ আছে।আসিফ ধ্যাত বলে ফোন পকেটে ঢুকায়।নিজের উপর নিজেরই রাগ হচ্ছে,ইচ্ছে করছে চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলতে।অনেকবার ভেবেছিল প্রিয়ন্তিকে আগের মেয়েগুলোর কথা বলবে।পরে আবার মনে হলো,এই পিচ্চি মেয়ে যদি না বুঝে? তারপর তো কোথা থেকে ওর আব্বা হুজুর হাজির হয়ে ওদের ধরে আংটি বদল করে দিল।অথচ এখনই কিনা এমন একটা বাঁশডলা খেতে হলো ওর? একবার মনে হচ্ছে ধ্রুবকে ধরে পিটায়,আরেকবার মনে হচ্ছে নিজের মাথা নিজে ভাঙে।না জানি প্রিয়ন্তি এতক্ষণে কি কি সিনক্রিয়েট করে বসে আছে!

অপরিণত নিকাহনামা (Complete)Kde žijí příběhy. Začni objevovat