#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখনীতে, #AbiarMaria#৯
আসিফ আর প্রিয়ন্তির একান্ত সময়টুকু খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হওয়ার সুযোগ পেলো না।কে যেন দরজাতে জোরে জোরে ধাক্কা দিতে শুরু করেছে।শব্দটা কানে আসতেই প্রিয়ন্তি এমনভাবে লাফিয়ে আসিফের কাছ থেকে সরে যায় যে আসিফের কাছে মনে হয়,এই মুহূর্তে কেউ ওদের বিদ্যুৎস্পৃষ্ট করেছে।প্রিয়ন্তি ছিটকে সরে গিয়ে এমনভাবে চারপাশটা দেখে যেন আসিফ ওর ইজ্জত লুটে নিয়েছে।আসিফ বেশ অপ্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।
ওদিকে প্রিয়ন্তি দ্রুত পায়ে দরজা খুলে দেয়।দুরুদুর বুকে দেখে,ওর ছোট দুইবোন ধাক্কাধাক্কি করে ঘরে ঢুকেই বোনের কাছে একজনের বিরুদ্ধে আরেকজন অভিযোগ করতে শুরু করেছে।প্রিয়ন্তি আসিফের সামনে ওদের বকতেও পারছে না।তাই দুটোর কান ধরে টেনে বাইরে নিয়ে আসে।জমজ এবং দেখতে এক রকম হলেও দুই বোনের মাঝে মিলের চাইতে অমিলই বেশি।
রাত ৯টা বেজে গেল সবার খাওয়া শেষে গাড়িতে উঠে বসতে বসতে।সবার কাছ বিদায় নিয়ে এবং বাসায় আসার দাওয়াত দিয়ে গাড়ি যতক্ষণ সময় নিয়ে ছাড়ল,ততক্ষণ প্রিয়ন্তি ওদের বারান্দায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আসিফকে উপর থেকে দেখলো।আসিফ একটু পর পর না চাইতেও চোখ চলে যাচ্ছিল উপরে। যতবার প্রিয়ন্তির দিকে চোখ পড়ে,ততবার ওর মনে একটা ঠান্ডা হাওয়ার পরশ লাগে যেন।আসিফ অনুভব করে,বারান্দার গ্রিল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা অপ্সরী নারীটি এখন থেকে ওর,শুধু ওর।আর কিছুদিন অপেক্ষার পরই হয়ত একেবারেই ওর হয়ে যাবে।আসিফদের গাড়িটা যতক্ষণ দেখা যাচ্ছিল,প্রিয়ন্তি ততক্ষণ উপর থেকে দেখছিল।শেষ পর্যন্ত সত্যিই বুঝি ওর জীবনে রাজপুত্র এসে ধরা দিল!
আসিফের মাইক্রো যখন প্রিয়ন্তির বাড়ির সীমানা পেরিয়েছে,তখন থেকেই সবার মন্তব্য শুরু হয়ে যায়।প্রথম প্রথম ইতিবাচক মন্তব্য হতে থাকলেও ধীরে ধীরে তা নেতিবাচক আলোচনার দিকে মোড় নেয়।প্রিয়ন্তির বাসার কে কি বলল,কে কি দিল না,খাবারের আর কি কি আইটেম করা যেত,কোনটা ভালো হয় নি,সেটাকে ভালো করার জন্য আর কি কি করা যেত,এসব কথা চলতে থাকে।আসিফের বাবা মা ছাড়া বাকি সব মুরুব্বিরাই মন্তব্য করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।আসিফের বিরক্ত কন্ঠে বলেন,
"ইসমাইল,তুই এই ছুইট্টা মাইয়াকে আমার বাপের সাথে বিয়া দিতেছিস কেন?আমার বাপটা আরো ভালো যায়গায় গেলে এই মেয়ের সাথে মানাইব?"
"মানাবে কেন আশ্চর্য আপা!"
"ওদের বাড়ি দেখছিস?ওর বাপের টাকা পয়সার অভাব আছে!আর আপ্যায়নের যে ঢক দেখলাম,এমনে জামাই আদর করে সবাই?আমাদের সাথে এদের যায়?"
ইসমাইল সাহেব চোয়াল শক্ত করে বলেন,
"তোমাদের সবার মন্তব্য খুব শুনছি,এখন আর একটা কথাও শুনতে চাই না।আমাদের হাজারটা সমস্যা থাকতে আরেকটা পরিবারের এত সমালোচনা কিসের,হ্যাঁ?!আর রাব্বানী সাহেব অনেক সম্মানী আর ভালো মানুষ।উনার পরিবারের সবাইকেও আমার ভালো লাগছে। আসিফের আম্মার সাথেও ওদের একটা ভালো সম্বন্ধ হয়ে গেছে।এই পরিবারের সাথে সম্বন্ধ করতে কোনো সমস্যা দেখি না আমি!"
"তা দেখবা কেন?ঐ পরিবার তোমার মগজ ধোলাই করছে তো!"
VOCÊ ESTÁ LENDO
অপরিণত নিকাহনামা (Complete)
Romanceআসিফের সামনে বিয়ে।বাবার চড় খাওয়ার পর বিয়েতে মানা করার আর কোন উপায়ও নেই।বাবাকে নানাভাবে চেষ্টা করেও এই বিয়ে থামানো যাচ্ছে না। কেন বিয়ে থামাতে হবে?বিয়ে তো আসিফের ছয় মাসের প্রেমিকা প্রিয়ন্তির সাথেই।তবে কেন আসিফ এই বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছে? কারণ প্রিয়ন্তি...