#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখা #AbiarMaria#২২
প্রিয়ন্তি সারারাতে আর একবারও আসিফকে কল দেয়ার সাহস পেল না।প্রতিবার লজ্জায় ওর মাথা ধরে যাচ্ছে।কি হলো সন্ধ্যার দিকে ছাদে এটা!অনেক দিন পর আসিফ ওর এত কাছে এসেছে।আসিফের হার্ট এত জোরে জোরে বিট করছিল যে প্রিয়ন্তি ওর বুকে কান না ঠেকিয়েও টের পাচ্ছিল।কিন্তু এটা কি ঠিক হলো?নাহ,বিয়েটা করেই ফেলা দরকার ছিল,সত্যিই! ইশ, এত লজ্জার পরেও আসিফের ছোঁয়া পাওয়ার জন্য ওর সারা শরীর ছটফট করছে।রাতের ভাত কোনো রকমে খেয়ে নিজের ঘরে এসে ধপাস করে শুয়ে পড়ল।তারপর বালিশ নিয়ে লজ্জায় মুখ লুকিয়ে খিলখিল করে হাসলো।প্রিয়ন্তি এতদিনে টের পাচ্ছে,প্রেমে পাগল হওয়া কাকে বলে।এখনও মনে হচ্ছে যে,ওকে আসিফ বুকে চেপে রেখেছে।আসিফের বুকে এত শান্তি জানলে সেদিন আংটি বদল না,জোর করে বিয়েটাই করে নিত।
রাত সাড়ে দশটার দিকে আসিফ প্রিয়ন্তির ফোনে কল করল,কিন্তু ওর তা রিসিভের সাহস হলো না।চুপ করে তাকিয়ে তাকিয়ে ওর নাম দেখে শুধু হাসলো।আসিফের ফোন রিসিভ করলে যদি আবার ও রোমান্টিক কথা বলে?এমনিতেই ও নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না,তার উপর আসিফের কন্ঠ শুনলে আবারও কাছে যেতে ইচ্ছা করবে।প্রিয়ন্তি আসিফের স্বপ্নে টুপ করে ডুব দিল।আসিফ কোনো একটা ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়ে গেলে ঠিক ঠিক বিয়ে হয়ে যাবে।তারপর শুরু হবে ওদের সোনালী প্রেমের দিন গুলি। মাঝে মাঝেই ঘুরতে বেরুবে,ভালোবাসাবাসি হবে, সুখের মুহূর্তের বিনিময় হবে,চারপাশে ভালোবাসা আর সুখের ছড়াছড়ি থাকবে।দিন রাত ওদের ভালোবাসার চাদরে মোড়ানো থাকবে! প্রিয়ন্তির সুখে দম আটকে আসে।
সকালে ঘুম ভেঙে ও ঘোর লাগানো চোখে দেখে আসফ ওর পাশেই শুয়ে আছে।প্রিয়ন্তি সব লজ্জা ভেঙে আসিফকে জড়িয়ে ধরে গালে চুমু খায়।একটা গভীর চুমু খাওয়া অবস্থাতেই আসিফ ওকে ধাক্কা দেয়।আশ্চর্য, ছেলেটা আমাকে ধাক্কাচ্ছে কেন! বিরক্তি নিয়ে চোখ খুলে তাকাতেই অবন্তি ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে বলে,
"আপু,তোমা কি হইছে? তোমার মুখ থেকে গন্ধ আসতেছে!মুখ সরাও!"
STAI LEGGENDO
অপরিণত নিকাহনামা (Complete)
Storie d'amoreআসিফের সামনে বিয়ে।বাবার চড় খাওয়ার পর বিয়েতে মানা করার আর কোন উপায়ও নেই।বাবাকে নানাভাবে চেষ্টা করেও এই বিয়ে থামানো যাচ্ছে না। কেন বিয়ে থামাতে হবে?বিয়ে তো আসিফের ছয় মাসের প্রেমিকা প্রিয়ন্তির সাথেই।তবে কেন আসিফ এই বিয়ে ভাঙার চেষ্টা করছে? কারণ প্রিয়ন্তি...