পর্ব ২৫

428 31 5
                                    

#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখা #AbiarMaria

#২৫

আসিফ বেশ কয়েকবার ডায়াল করে ফেলেছে প্রিয়ন্তির নাম্বারে, প্রতিবারই বলছে ফোন বন্ধ। বেশ চিন্তিত হয়ে আরও কয়েকবার চেষ্টা করেও ওর ফোনে কল গেল না। আসিফ এবার বাবার ঘরের দিকে হাঁটা দিল। বাবাকে কিছু একটা জিজ্ঞাসা করতে গিয়ে দেখল, তিনি ফোনে ব্যস্ত। আসিফ ভাবলো, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করি। মিনিট দুয়েক বাবার কনভার্সেশন শুনে বুঝতে পারল তিনি আগামীকাল ককয়েকজনকে দাওয়াত দিচ্ছেন। আচ্ছা, বাবা কি প্রিয়ন্তির বাবাকে এর মাঝে খবরটা দিয়ে দিয়েছে? প্রশ্নটা মনে জাগতে না জাগতেই পেছন থেকে ওর মা ওর কাঁধে হাত রাখলো।
"কাল প্রিয়ন্তি আর তোর ফুফু, মামা,খালাদের দাওয়াত দিছে। তোর চাকরি হইছে শুনার পর সবাইকে না ডাকলে তো হয় না। তুই এখন তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুম দে। সকাল সকাল বাপের সাথে বাজারে যাওয়া লাগবে, যা"

আসিফের কাছে ব্যাপারটা পরিষ্কার হয়ে গেছে । প্রিয়ন্তি বোধহয় প্রচন্ড অভিমান করছে। আসিফ বেশ বিরক্ত হয়ে খেতে বসে। মাঝে মাঝে প্রিয়ন্তির ছেলেমানুষী দেখলে বিরক্ত লাগে ওর। এত পিচ্চি মেয়ের সাথে এখনই প্রেম করাটাও একটা বিরাট পাপ ছিল। ও ক্যারিয়ারের দিকে মনোযোগ দিলেই বলবে, তুমি আমাকে ভালোবাসো না, তুমি আমাকে সময় দাও না, তুমি আমাকে আর চাও না- এজাতীয় আজগুবি কথাবার্তা। আরে ভাই, একটা ছেলে কি এত দায়িত্ববিহীন ভাবে ঘুরে বেড়াতে পারে যে তার কেন্দ্রবিন্দুতে সবসময় একটা মেয়েই থাকবে? টাকা পয়সা, সমাজে বাঁচার জন্য স্টেটাস সব কি বউ নিয়ে পড়ে থাকলেই আসবে? ফোকাস তো সবসময় বউয়ের দিকে রাখলে হবে না! এত খুশির দিনে প্রিয়ন্তির ফোন বন্ধ করে রাখার নাটকটা নিয়ে মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। কোথায় ভেবেছিল প্রিয়ন্তির সাথে আনন্দটা ভাগ করে নিবে, তা আর হচ্ছে না। প্রথম বারেই আর্মিতে সুযোগ পায় কয়টা ছেলে? ওর সাথে গ্রিনকার্ড পাওয়া সবগুলো ছেলেই ছিল দ্বিতীয়, তৃতীয় বা চতুর্থ বারের চেষ্টায় আসা। আসিফকে নিঃসন্দেহে লাকিই বলতে হবে। এবারই গ্রিনকার্ড না পেলে ওর বাবা ওকে ভার্সিটির জন্য চেপেচুপে ভর্তি করিয়ে দিত। আসিফ ভাত মুখে পুরে সেটা চিবুতে চিবুতে ভাবতে থাকে। আসিফের ভাগ্য ভালো হলেও প্রিয়ন্তির কারণে হয়ত শান্তি পাবেও না এতটা। এখনই এমন করলে যখন ওদের মাসের পর মাস কথা হবে না, তা কি করে সামলাবে মেয়েটা? একটু বেশিই ইম্মেচ্যুর!

অপরিণত নিকাহনামা (Complete)Where stories live. Discover now