পর্ব ১৪

562 29 18
                                    

#অপরিণত_নিকাহনামা
লেখনীতে, #AbiarMaria

#১৪

কলেজে পা রাখতেই কেউ একজন আসিফের কলার চেপে ধরল।আসিফ বুঝে ওঠার আগেই ওকে টেনে কলেজের সীমানার বাইরে নিয়ে কারা যেন এলোপাথাড়ি মারতে শুরু করেছে।ঘুসি,থাপ্পড় আর ধাক্কায় টিকতে না পেরে আসিফ মাটিতে পড়ে যায়। দুহাত তুলে মুখ বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকলো।কয়েকটা ছেলে মিলে ওকে লাথি মেরে যাচ্ছে সমানে।ওদিকে ধ্রুব পাশেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সিগারেট টানছে।মার খাওয়ার মাঝে আসিফ ওকে মারতে থাকা কাউকে চিনতে পারলো না।

আসিফের গাল,ঠোঁট, হাতের বিভিন্ন যায়গা কেটে রক্ত বের হচ্ছে।ওদিকে রাতুল মাত্র হেঁটে হেঁটে কলেজে আসছিল।আসিফের এই অবস্থা দেখে চিৎকার করে দৌড়ে আসে।আসাদও কলেজের গেটের কাছেই ছিল।ও বাইরে একটা লাঠি পেয়ে সেটা নিয়ে তেড়ে আসে।

দুইজনকে আসতে দেখে ধ্রুব আর ওর চ্যালারা দ্রুত তাদের বাইকের দিকে দৌড় দেয়।দুইটা বাইকে করে ওরা ছয়জন উঠে দ্রুত চলে যায়।ওদিকে আসিফ পেটে হাত চেপে কাশছে।ওর নাকে মুখে ধুলো বালি ঢুকে গেছে।ঠোঁটের বাইরে ভিতরে দুদিক থেকেই রক্ত বেরিয়ে মুখ রক্তে ভরে গেছে।ডান হাতে ভর করে একটু উঠে রক্ত মাখা থুতু ছিটিয়ে ফেলে।রাতুল আর আসাদ ধ্রুবকে টেনে তুলে।আসিফকে নিয়ে রাতুল দাঁড়ায় আর আসিফ কলেজের ভেতর দৌড় দেয় বাকিদের ডাকতে।

এক ঘন্টা পর ওরা সবাই রিজেন্ট হাসপাতালে আসিফকে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে।চার বন্ধুর মুখেই দুঃশ্চিন্তা। ডক্টর আসিফের হাত ব্যান্ডেজ করে দিয়ে বললেন,
"হাত মচকে গেছে।আগামী দুই সপ্তাহ বেশি মুভমেন্ট করা যাবে না,ঠিক আছে? ওষুধগুলো খাবে,আর মাসাজ করবে দিনে একবার। রাতে জ্বর আসতে পারে,তখন নাপা খেলেই হবে।আর ফল খাবে।চিন্তার কিছু নেই।প্রেস্ক্রাইবড ওষুধ কটা নিয়ম করে খেতে হবে।কোনো সমস্যা হলে দুই সপ্তাহ পর বা যেকোনো চলে আসবে"
কিছুটা থেমে আসিফের বন্ধুদের দিকে চোখ নাচিয়ে প্রশ্ন করেন,
"কি?মেয়েলি কেইস?"
মোবারক আর আসাদ মাথা নেড়ে মানা করল,রাতুল আর সামির মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললো।ডাক্তার ভ্রু কুঁচকে তাকালেন।তখন মোবারক আর আসাদ মাথা নেড়ে হ্যাঁ বললো,রাতুল আর সামির মানা করল।ডাক্তার হতাশ হয়ে আসিফের দিকে তাকালেন।আসিফ মাথা নিচু করে বললো,
"জ্বি স্যার"
"হুম।কলেজে থাকতে এরকম হয়ই।সাবধানে থাকবে।সামনে পুরো ক্যারিয়ারের সময়টা পড়ে আছে"

অপরিণত নিকাহনামা (Complete)Opowieści tętniące życiem. Odkryj je teraz