সৃজনশীল নীরবতার শিল্প।

0 0 0
                                    

সৃজনশীল নীরবতার শিল্প।

নীরবতা নিজে থেকেই,
হাজারও না বলা কথা বলে ফেলে।
কোন শব্দ বা বাক্যের ব্যাবহার ছাড়াই,
না বলা অনুভূতি বা আবেগ প্রকাশ করে।

নীরবতার আড়ালে,যে প্রশান্তি অনুভব করা যায়,
তা হয়তো বুঝিয়ে বলা যায় না,
বুঝিয়ে বলা গেলেও,
লোকসমাগমে তা বিশ্বাস যোগ্য হয় না।

আসলে,আমরা এমন এক সমাজে বাশ করি,
যেখানে নীরবতাকে দুর্বলতা ভাবা হয়।
অন্তর্মুখী থাকাটা,
যেখানে অহংকারী হিসেবে দেখা হয়।

কিছুক্ষণ নীরব থাকিলে,
অশান্তমন সৃজনশীলতা ফিরে পায়।
এই সৃজনশীলতা মস্তিষ্কের বৃদ্ধিকে উদ্দীপিত করে,
এবং উত্তেজনা উপশম করে,
যার ফলে এই দেহ উচ্চতর সুস্থতা খুজে পায়।

নীরব থেকেও,যে সাবলীল ভাবে বাচা যায়,
অল্পকথা বলেও,যে মনের ভাব প্রকাশ করা যায়,
তা বুঝার ক্ষমতা সবার থাকে না।
কেননা,এই অস্থির পথে সামান্যক্ষণের জন্য,
দাড়ানোর সময় কারো কাছে থাকে না।

অন্তর্মুখী থাকা,বা অল্প কথা বলাটা,
যে কোন অপরাধ নয়,
বরং,অন্তর্মুখীকে মনোভাবকে অপরাধ ভাবাটা,
কুশংষ্কার ছাড়া কিছু নয়।

নীরবতা আর অন্তর্মুখী হয়ে থাকাটা,
নিজেকে ফিরে পাবার,একটি সুবর্ণ সুযোগ।
যা আমাদের অভ্যন্তরীণ জগৎের সাথে,
তৈরী করে দেয় গভীর সংযোগ।

এই সংযোগ আমাদের সৃজনশীলতাকে,
জগৎের সামনে নিয়ে আসে,
এবং নিজেদের মাঝে লুকনো,
সব প্রতিভা গুলোকে,
সমাজের সামনে তুলে ধরে।

নীরবতা আমাদের মাঝে,
সেই সব বিন্দুগুলোকে খুলে দেয়।
যা আমাদের কল্পনার জগৎকে,
উৎস্য খুজে দেয়।

এই নীরবতা,সেই সব দক্ষতাকে,
সমাজের সামনে তুলে ধরে।
যা সমাজের অস্থিরতার মাঝে হারিয়ে যায়,
যাতে করে মানুষ তার চির চেনা,
শিল্পী মন ফিরে পায়।

কবিতার ছন্দেWhere stories live. Discover now