২৯

1 0 0
                                    


দশ বছর পার হয়ে গেলো...

গ্রামগঞ্জ-নাম বলতে ভুলে গেছিলাম-সুদ্রপার, ওই দিকে অনেকটায় শান্তিপুর্ন। যাইগাটির লোকজন সুদ্রপারের হাটবাজারে অনেক রকমের টাটকা সবজি, তরকারী ও ফল কিনতে যেত। কিছু যায়গায়, ঠেলাগাড়ি দিয়ে সবজি বিক্রয়ী করছিল। কিছু যুবক, ইংরেজ-এর তৈরি করার সেতুতে আড্ডা মারছিল। তবে সব চাইতে জমজমাট ছিল, রাজকীয় অঙ্গিনায় বা বলতে পারেন খেলার মাঠ। চারপাসে লোকজন সাহাবাজ ও কিফারের কুস্তি দেখে, দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে করছিল উৎসাহের হইচই। তবে শুরু অবস্থায় তলওয়ার দিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু করছিল। তবে কিভাবে কুস্তি করলো, এইটা দেখ।

করিমি এই খেলার ধারাবার্শকার হয়ে গেলো। সে মাঠের কোনায়-এর পীছনে জোড়ে জোড়ে ভাসী-বাজনা দিয়ে খেলার মন্তব্য করতে শুরু করলো।

" এখন তো তলওয়ার পরে গেলো, এবং রাজকুমার তলওয়ারটি নেওয়ার চেষ্টা করছে, তবে কিফার তার পা দিয়ে বড় বড় মোটা মোটা কুস্তীগিরদের মতো রাজকুমারের পায়ের মাঝখানে অনেক জোড়ে পারা দিল। ইস! কিন্তু আমাদের রাজকুমার হার মেনে নেয় নিই! এখন রাজকুমার কাং ফু মাস্টারের মতো লাফ দিয়ে উঠে একজন আরেকজনের সাথে কুস্তি শুরু করছে এবং ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়েছে। খেলা তো ফাটাফাটি জমছে! সাব্বাস! আচ্ছা এটা কি তলওয়ার যুদ্ধ না কুস্তি! কিছুই তো মনে হচ্ছে না! হাইরে খোদা!"

"দাইমা, দুইটাই হচ্ছে!" হেসে বলল কিফার আড় শাহাবাজ।

করিমি মিষ্টি মুখে হাসল।

শাহাবাজ দেখতে একদম সুন্দর যে মেয়েরাও সবসময় তার বিয়ের প্রস্তাবও দিতে চেত। কিফার দেখতে জ্ঞ্যানি মানুষদের মতো ছিল যে সব নারীরাও পাগোল হয়ে যেত।

"এখন হচ্ছে আসল খেলা শুরু! রাজকুমার শাহাবাজ ও কিফার একজন আরেকজনকে ধাক্কাধাক্কি শুরু করলো! তার মাঝে রাজকুমার খেলার মধ্যে অনেক হিংস্র হয়ে গেলো এবং তার খেলার ভিতরে অনেক মনযোগী হয়ে গেলো। কিফার তো বার বার তার ধাক্কা আটকানো চেষ্টা করছে! এমন লাগছে যে দুইটি মহিশ তাদের শিং নিয়ে মারামারি শুরু করছে! এখন রাজকুমার কিফারকে ধাক্কা মেরে মাঠের নীচে উড়িয়ে দিল...এখন ১...২...৩! সমাপ্ত, সমাপ্ত, খেলা সমাপ্ত! জিতে গেল আমাদের প্রিয় ভবিষ্যৎ শাহেনশা, নবাব, মহারাজ- রাজকুমার শাহাবাজ!"

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Место, где живут истории. Откройте их для себя