২৭

1 0 0
                                    


"অনেক দিন আগের কথা, প্রায় ১০০ আগে, মুঘল সম্রাজ্যের প্রশাসন সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে গেছিলো। বাঙাল তাদের প্রশাসনের মধ্যে একটি ছিল। সবার আগে তখন নবাব সব চেয়ে বড় উপাধি ছিল। যাইহোক, এক খুব অতিসরল রাজা পৃথিবী যাত্রা করছিলো। তবে তিনি আফ্রিকাতে জাহাজে সফর করে তাদের দেশের মাটিতে ফিরে আসার সময় অনেক পোকা মাকড় আসছিল। কিন্তু জাহাজের অনেক মানুষ এই পোকামাকড়-এর সাথে যুদ্ধ করে শুধু যোদ্ধারা শহীদ হয়েছিল। তবে একমাত্র রাজার মুখ নষ্ট হয়ে গেছিলো।

দেশে ফিরে আসার পর রাজা তার ঘর থেকে বের হয় নিই। অনেক কবিরাজ বা পীর এসে তাকে ঠিক করার চেষ্টা করে ছিল। কিন্তু সবায় হার মেনে নিলো। কিন্তু হঠাত, এক হাকিম এসে রাজাকে প্রস্তাব দিলো। প্রথমে মন্ত্রী তার অতী মিষ্টি আচরণের কারণে মেনে নিচ্ছিল না। তবে তার মানসিকতার কারণে মেনে নিতে বাধ্য হল। কিন্তু ভিতরে ভিতরে তার হিংসা জেগে উঠলো। মন্ত্রী সাহেব মনে করতো যে সে যদি রাজাকে মানসিকভাবে ক্ষতি করে, তাহলে সে রাজত্ব করা শুরু করবে। সাথে হাকিমের সরলতার কারণে মন্ত্রীর হিংসে পরিণত হল।

তাই মন্ত্রীর শয়তানি চিন্তার কারণে, সে হাকিমকে সরার জন্য সে একটি ষড়যন্ত্রের চিন্তা ররলো। সে সোজা রাজবাড়ীর দরবারে আসলো। সে এমনভাবে আসলো যে হাপিয়ে যাওয়ার ভান করলো।

"হুজুর, হুজুর, আপনার প্রিয় হাকিম সাহেব, আপনার মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করেছে" চীৎকার দিয়ে বলল মন্ত্রী।

এই কানপাতলা রাজা এতো ক্ষেপে গেলো যে তাদের সেনাপতিদের আদেস দিয়ে হাকিমকে তার ঘড় থেকে তাকে জোর করে টেনে নিয়ে গেলো। তারা যখন

"মহারাজ, আমি কোনো অন্যায় করেছি?" জিজ্ঞ্যাসা করলো হাকিম।

"আমি কখনো চিন্তা করিনি যে তোমার মতো একজন মরব্বি এরকম অন্যায় করতে পারে!" রেগে বলল রাজা।

তারপর সৈন্যরা এসে তাকে শীকড় দিয়ে আটকিয়ে তাকে ফাঁসির ঘড়ে নিয়ে গেলো। সে বার বার তার নির্দোস হওার দাবি দিয়ে আর্থনাদ করছিল। তারপর মন্ত্রী এবং রাজা হেসে উড়িয়ে দিল ফাঁসির ঘড়ের সামনে। রাজাটা এতো নিষ্ঠুর হতে পারে, এটা হাকিম সাহেব চিন্তাও করতে পারিনি।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Où les histoires vivent. Découvrez maintenant