২৫

1 0 0
                                    


যুদ্ধ অর্ধেক শেষ হওয়ার পর, সবায় ক্লান্ত। কিফার যুদ্ধের ময়দানের আসছিলো। তবে একটি সিংহের পরিচিত গর্জন শুনে কিফার ভয় পেয়ে গেলো। তার সাথে শান্তিপারার সবায়, সিংহের চিৎকার শুনে তালি বাজালো- দেখলো সাবু, কাকের নেতা ও শোনালী গল। ওই ভাবে, যুদ্ধটী আরো জমেছিল। তারা হিংস্র হয়ে দোড়িয়ে গন্ডারের মতো পিশাছায়াদের ধিশ মারতে লাগলো। কিন্তু, পিশাছায়ার জনসংখ্যা বেড়ে গেলো।

"২০০ বছরের যুদ্ধের কথা মনে করে দিলো। যখন কিফার প্রথম শান্তির যুদ্ধে পরাজয় হয়েছিলো। আমার মনে আছে যে একটি কৌতহলি ছেলে ছিল যে তার মা মরার আগেয় ভাঙা রাজবাড়ীর ভিতরে ঢুকল। ও কিফারের কংকালের মাথা নিয়ে খেলছিল, যেটার জন্য রাজবাড়ীর পাসে কিফারের আসোল লাশকে আবার জেগে তুলেছিল। আমার মনে আছে যে যুবা, আপ্পু ও আমি মিলে কংকালটি সাবধানে গুহার থেকে ভাঙা রাজবাড়ীর সিঙ্ঘাসনের সামনে রেখেছিলাম কারণ ওইটা আমরা খেয়াল রাখতে পারি" বলল সাবু।

"সেই কৌতহল ছেলেটি এখন বড় হয়ে তার ভুল সংসধন করছে। সে আর কেউ নয়, আব্দুল ছিল" বলল যুবা।

আব্দুলের দানব পাগুলি কিফারকে বাংলা সিনেমার নায়কের মতো লাত্থি মারলো। তার দানবের ভাবটি বেসি সময় টিকে গেলো না। তবে কিফারের দানব শরীরটি বালুনের মতো ব্লাস্ট হয়ে গেলো যে পুরা শান্তিপারার গা ভিজে গেলো। সেহারারও পুরা জামা ভিজে গেলো।

"যদি এই দৃশ্যটি দেখতো, তাহলে আমার পরদাদীরা আমাদের উপর গর্ভিত হত" বলল সেহারা।

"রফিক, না কিফার তুমি যেটাই হউ না কেন? তোমার মনে পরিপক্ষতা বাড়তে হবে। আমি একটা কথা বলি, যে তোমার ও আমার একটি জিনিস কমন- যেটা হল আমরা সবসময় দুনিয়াটাকে শান্তি রাখতে চাই। কিন্ত পার্থক্য এইটাই যে তুমি নিজেকে খুঁজে পাও নি। তার সাথে তুমি শক্তি লোভি" বলল আব্দুল।

সে কিফারের মাথা দিয়ে চোখ বন্ধ করে দর্শন করে দেখলো যে কিফারের অতীতটি ছিল অনেক যন্ত্রণাদায়ক। তার মা সবসময় রুপকথার গল্প বলতো। কিন্তু সামাজিক অবহেলা ও জাতির কারণে তার নীতি ভুলে গেছিলো। কি নোংরা সময় ছিল কিফারের। তার অহংকার ও অসভ্য মানসিকতার জন্য তার সুন্দর মুহুর্তগুলোকে ভূলে গেলো।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora