7 1 0
                                    


আবদুল মানুষের সাথে গুন্ডামি করা এবং ইন্টার্নেট চালানো ছাড়া সে জীবনের মূল্য কন কাজ করে নেয়। আচ্ছা, বন্ধুরা, আমরা তার ছোটবেলার গল্পের দিকে যাই।

আবদুলের মা বেঁচে থাকার সময় আবদুলের বড় বেলার একদম উল্টো ছিল। সে ছিল নিরীহ ও নিষ্পাপ শিশু। ছুটির সময় তার মায়ের সাথে খেলাধুলা করতো যেমন ফুটবল ও ক্রিকেট তখন তার নানী ধারাবার্শকারের মতো খেলাকে উৎসাহ করতো। যখন বাবা এবং মা অফিসে যেতো তখন তার নানী তাকে দেখাশোনা করতো। তার পরিবার ছিল শুখি এবং ছিল আবদুলের সোনালী সময়।

কিন্তু আবদুলের মা এবং নানী কাজের জন্য সুন্দরবনে যাচ্ছিল। তবে সামনের রাস্তায় গাড়ীর চাকা ফেটে গেল। ড্রাইভার মিস্তিরি খুঁজতে না খুঁজতে চার পাসে এসে গেল লাল হুডির পড়ার ছায়া মতো দেখতে চারজন ডাকাত। তাদের হাতে ছিল চাকু। আবদুলের মা এবং নানী অনেক ভয় পাচ্ছিল।

"ভাইয়া, আমাদের কাছে কিছু নেয়! আপনি যা বলবেন তাই করবো কিন্তু আমাদেরকে মেরে ফেলবেন না" বলল আবদুলের মা এবং নানী।

"তুই চুপ কর!" মোটা গলায় বলল ডাকাত ।

তাদের কথা না শুনে ডাকাতগুলো তাদের দুইজনকে হত্যা করল। তারপর থেকে আবদুল এবং তার বাবার জীবনটি অন্ধকার হতে শুরু করল। আবদুলের বাবা সবসময় আবদুলকে একজন ভাল মানুষ হিসাবে গড়িয়ে তুলতে চেয়েছিল কিন্তু সে নষ্ট ছেলেদের সাথে মিশে তার মাস্তানের মতো সভাবে পরিনত হল। সে অনেক উল্টাপাল্টা জিনিসের উপর অনেক নেশা ছিল। ওইসব করলেও তার রেজাল্ট ভাল ছিল এবং সম্মানিত পুরষ্কার পেয়েছিল। কিন্তু আফসোস, সে কিছু কিছু অবাস্তব জিনিসের উপর চিন্তা করতো, সাথে তার খিটমিটে এবং জীবনের অর্থ বা শিক্ষামূল্য জিনিসের কথা কিছু বুঝত না। কিন্তু তার মনের কথা, আবদুলের বাবা ছাড়া কেও বুঝত না।

তার বাবা এক রাজাকে নিয়ে সবসময় একটি গল্প বলত। ২০০ বছর আগে এক অত্যাচারী রাজা ছিল। সে রাজাটি তার রাজবাড়ীর পাসে কৃষকদের জোর করে রাজার পাসে ক্ষেত লাগিয়ে দিতে বলত। কিন্তু তারা খাবার পেত না। তাই তাদের কে মেরে মেরে কাজ করতে লেগে দিত। কিন্তু একদিন যখন রাজা ভুলে এক কৃষককে হত্যা করে ফেলল, তখন সে পশুপাখিদের সাথে কথা বলতে লাগলো। সেভাবে তার জীবন পালটে গেল এবং বুঝল সে জীবনের অর্থ। যদি সে ভালো কাজ করতো তাহলে সে আধ্যাত্মিক শক্তিটি শেষ হয়ে যেতো। কিন্তু এখনকার প্রশ্ন হল নিয়ম পালটিয়ে দিল কি না?

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)حيث تعيش القصص. اكتشف الآن