৯
আব্দুল, নিশি, ক্যাপ্রেন এবং যুবা আবদুলের পুরানো কুঁড়েঘরে গেলো। ঘড়ের নীচের দিকে মাটি দিয়ে তৈরী, তবে তিন কোনা ছাদ টি বাঁশ এবং পাঠ দিয়ে বানানো। তারা কুঁড়েঘরের ভিতরে গেলো। সবাই এমন হা করে তাকিয়ে ছিল যে অন্যরকম দৃশ্যটি দেখার প্রস্তুতি ছিল না। বাসাটি মরিচ বাতি, মাফিন এবং কলা দিয়ে সাজানো। কেক একটু এক পাউন্ড বড় ছিল। কোনো ডিম ছিল না, কিন্তু চকলেট,কফি, স্ট্র বেরি এবং নারিকেলের দুধ দিয়ে বানানো। চার কোনা এবং নারিকেলের দুধ দিয়ে কোনায় পাতা দিয়ে আকানো। তার মাঝে, গাছ আঁকা ছিল। রঙ ছিল গারো বাদামী। সবাই এরকম ভিন্নধর্মি কেক খেতে সবাই ইচ্ছে করতে পারে।
কবির খুব আরামে খাবার খাচ্ছিল। সুন্দর সুন্দর দেখতে বানরেরা, তাদের তুলতুলে লোম এবং পড়া ছিল সারি। দেখতে কিছুটি রুপবতি মেয়েদের মতো ছিল। তাকে নারিকেলের পাতা দিয়ে বাতাস করছিলো। সাথে তার ভুড়ি নাচছিল। সে আরাম সে কুশার আখের সাথে আনারশের মাফিন খাচ্ছিল এবং খাচ্ছিল ওই চকলেট, স্ট্রবেরী কেক। কবির পুরা গবগব করে খাচ্ছিল। বাঙালীরা আসলে খাবার খাওয়ার অস্তাদ। মুখে ভড়ে ছিল রশ। সে নিশি এবং মুরব্বিদের সামনে না দেখে বেয়াদবের মতো খাচ্ছিল। তার হাই স্কুল ডিগ্রির পরিক্ষার, জন্য আমি বলবো যে রচনায় 'আমার ভুড়ি' লিখলে সে আসলেয় এ প্লাস পাবে।
"এই বোকচোদ আমার অতীতের কথা মনে করে দিয়েছে! বাবা, আপনি তো খাবার খাচ্ছেন, আমাদের দিবেন না?" ব্যাঙ করে বলল আব্দুল।
কবির ভয়ে তিনজনকে দেখে লাফ দিয়ে উঠে গেলো। তারপর সে সম্মান করে সালাম দিলো। আব্দুল হাতের ইশারা দিয়ে সুন্দরী বানরদের বের করলো।
"আসসালামওয়ুয়ালাইকুম, জাদুকর স্যার" নীচু স্বরে বলল কবির।
"কি রে কবির, খুব আরামসে বসে খাচ্ছিস, তাই না?" বলল নিশি।
"নিশি, কোথাই ছিলে তুমি?" বলল কবির।
"তুই আগে কৌ, কই ছিলি, তুই, জনাব?" বলল নিশি।
"তোর মতো আমার একই অবস্থা হয়েছে" বলল কবির।
নিশি কবিরের দিকে তাকিয়ে রেগে গেছিলো।
BẠN ĐANG ĐỌC
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Viễn tưởng1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...