শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)

৬৬

১৫

তার পরের দিন, শান্তিপারার শিংহ আস্থানার মাঠে, আগের চেয়ে হয়ে গেলো জমজমাট। সবাই করছে হৈচৈ। যেখানে, কবির, জ্যারেড এবং সাগরিকা নিশিকে উৎসাহিত করছে, সেখানে বাকি শান্তিপারার প্রজাতিরা শিবাকে উৎসাহিত ছেলে। সে তো এমন সুন্দরী যে শান্তিপারার পোলাপাইন, বিশেষ করে বানর, শেয়াল এবং স্কাঙ্ক-এরা শিবার প্রেমে পাগল হয়ে গেছিলো। ১৫ বছর ধরে এরকম বড় কোনো কুস্তী হয় নিই। শুধু ড্যানগো এবং ল্যাঙ্গো-এর খেলা ছাড়া। মাঠটি ছিল বালু দিয়ে ভড়া, সাথে, শুরু হবে বৃষ্টি এবং মেঘ, অনেক গারো এবং অন্যরকম পরিবেশ।

"হ্যালো জনগণ, আমি ক্যাপ্রেন, আপনার প্রিয় ধারাবার্সকার। আজ ১৫ বছর পর হতে হচ্ছে, এক বড় ঐতিহাসিক ম্যাচ! শাহাবাজের বংসধর বনাম রকোর কন্যা! এইবার হয়তোবা শেষবারের মতো, এই শান্তিপারার জমজমাটটি দেখতে পারবো, আড় কবে আসবে এই দিন? বুঝা যায় না। যাইহোক, বয়স হতে হতে আমি বোরিং হয়ে যাচ্ছি। তো যাইহোক, এখন খেলা হবে! কিন্তু এইবার, নারীদের সময়!" বলল ক্যাপ্রেন।

নিশি এবং শিবা, বুক ডাউন করলো। সাথে অন্যান্য ব্যাম করলো।

"মা, তুমি যখন কুস্তী করবা, তখন মনযোগ দিয়ে করবা। সাবধানে থেকো" বলল রকো।

অন্য দিকে আব্দুল বলল "মানুষ সাহস হওয়ার আগে, মানুষ ভীতু থাকে। কেউ জন্ম করে কেউ সাহস হয় না। তাই তুমি সময় নিয়ে, দেখাও তোমার কাবিলতি! মা, ইউ আর এ সুইটহার্ট"

নিশি মুচকি হাশি দিলো। কিন্তু শিবার কাছে লেগেছিলো মনের চাপ। খেলার মাঠে তারা নামলো। দুইজনের তীব্র মুহুর্ত শুরু হয়ে গেলো। সাথে নিশি তাকে ধরতে গেলো। শিবা দ্রুত দৌড় দিয়ে নিশিকে একটানা খামছি মারলো। খামছিতে, নিশির গালের চামড়া উঠে গেলো। আস্তে আস্তে বৃষ্টি পড়া শুরু করে দিলো। খুবই জোড়ে।

"এখন লড়াই-এর ইন্টেন্স মুহুর্তে এসে গেলো!" বলল ক্যাপ্রেন।

নিশি হাতের তালু চাপ দিলো। সে শিবার চোখের সামনে হয়ে গেলো উধাও। সবাই চমকে গেলো "ও মাই গড!"

শিবা উধাও নিশিকে খুঁজতে লাগলো বোকার মতো। একটানা বার টেলিপোর্ট করতে পারলো। সাথে নিশি তার মাথা বুলিয়ে দিলো। সাথে নিশি মুচকি হাসি দিলো। পাসে নিশি হাত দিয়ে মারা শুরু করলো। তার মাঝে শিবা পা দিয়ে, তাক খোচা খোচা আঙুল দিয়ে তাকে মার দিতে শুরু করলো। এমনই একটানা হল। তার মাঝে, হচ্ছিল জীবন-মৃত্যুর খেলা। সব দর্সকেরা তাদের কাজ দেখে ভয় পেয়ে থমকে দাড়ালো। তার মাঝে চুপ ছিল। সাথে শিশু যারা ছিল। তাদের চোখ বন্ধ করছিলো। নিশির এক ঘুষিতে রক্ত এবং দাঁত ভাঙা। সাথে রকো এবং আব্দুল উৎসাহ দিচ্ছিল। ভয় পেয়ে গেলো শাহানা এবং জ্যারেড। এমন ভয় যে শাহানা কেঁদে চলে গেলো বানরের বইঠক-এ। সাথে দোয়া দৌড়ত পরলো। মোনাজাত করলো।