৬০

2 0 0
                                    


১১

যুবাকে নিয়ে আব্দুল এবং নিশি চলে গেলো সিংহের আস্থানায়-শান্তিপারার সব চাইতে তীব্র গরম যায়গা। সিংহের আস্থানা এখন আগের মতো নেয়। আগে যেমন মাঠের মতো জমজমাট ছিল, সেরকম নেয়। ঘাস একদম মরা মরা, সাথে চারপাসে ময়লার ভান্ডার। একমাত্র, তাদের ছোট্ট পুকুর পরিস্কার ছিল। য চাঁদের আলো দেখা যায় তখনই সুন্দর লাগে। গুহাটি ময়লা যদিও হয় নিই, কিন্তু পিছলা এবং জিজা ভিজা ছিল। গুহার থেকে সিংহের ঘুমের ডাক শুনা যাচ্ছিলো।

"সাবু!!!" চীৎকার দিলো যুবা এবং হয়ে গেলো ভূমিকম্প।

সিংহ ঘুম থেকে উঠে হাই দেওয়া শুরু করলো।

"জি গুরুজি" ঘুমে ঘুমে বলল সাবু, সিংহ।

সাবু সেই সিংহের রাজার মতো নেয়, সে হয়ে গেলো একজন অলস শাসক। সে গুহার থেকে আস্তে আস্তে বের হল। যুবা, আব্দুল, নিশিকে দেখে সাবু চমকে গিয়ে খুশি হয়ে গেলো।

"আব্দুল গুরুজি, আপনি এসেছেন?" বলল সাবু।

"তোমার সাথে দেখা করে অনেক ভালো লাগলো, সাবু" বলল আব্দুল।

ওই পারে, কবির ঝর্নার পানির দিকে তাকালো। সে যখন ঝর্নার চারপাসে ঘুরছিল, তখন ক্যাপ্রেন তার পীছে পীছে ঘুড়ছিল। ঘাস ভাসছিল, যখন পানি ঝরঝর করে পড়ছিল। চারপাসে নীরব এবং চাঁদের আলো ছড়িয়েছে শান্তিপারার পুরা বনে। সাথে জোনাকি পোকারা একত্র হয়ে নদীর মধ্যে লাইন দিয়েছিল।

"তো কবির বাবা, তুমি কি দেখছো?" বলল ক্যাপ্রেন।

"নিশি" বলল কবির।

"তার উপরে কোনো প্রেমের উনভতি আছে নাকি?" জিজ্ঞ্যাসা করলো ক্যাপ্রেন।

কবির মুচকি হেসেছে।

"লজ্জা পেয়েও না, আমাকে বল, কোনো অসুবিধে নেয়" বলল ক্যাপ্রেন।

"সে কি আমার প্রেমটিকে মেনে নিতে পারবে? সে তো আমাকে বন্ধু হিসাবে চিনে" বলল কবির।

"সে হয়তো তোমার প্রেমের উনভতি আপন করতে পারবে, কিন্তু সে এখন যে পরিস্থিতিতে আছে এবং সাথে শান্তিপারায় যে সঙ্কট, সে তো এভাবে তো প্রস্তুত হতে পারবে না। তাকে একটু সময় দিও। আমি জানি যে সে তোমাকে ভালোবাসে। কিন্তু তুমি এই যুদ্ধে অংসগ্রহন কর, বড় ভূমিকা পালন কর, সাফল্য পাবে এবং নিশি তোমারই হয়ে যাবে" বলল ক্যাপ্রেন।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora