৩১

1 0 0
                                    


যখন তারা খাঁচা খুলতে গেলো, তখন দেখলো খাঁচাটি খুলতে পারছিল না। তারা বুঝলো যে খাঁচাটি তালা দিয়ে বন্ধ করা হয়েছে।

"ক্রোশ (দৈত্যটি) এখন শান্তিতে বিশ্রাম নিচ্ছে! আপনারা যদি চাবি নিতে চান, তাহলে আস্তে আস্তে ক্রোশের পেটের উপর দিয়ে সোজা জানালার থেকে চাবিটী নিতে হবে" বলল রাজকন্যা আমিরাহ।

ক্ষয়রই রঙের জানালায় রাখা ছিল চকচকে রুপালী বঙের বড় চাবি। কিফার ও সাহাবাজ এই চকচকে চাবি দেখে খুবই অবাক হয়ে গেলো। তখন দৈত্যটি ঘুমের মধ্যে তার পেট নাচতেছিল।

"এই কাজ করাটী অসম্ভব!" বলল শাহাবাজ। "কেমন করে? কিভাবে নিব?"

"আমি তাহলে দৈত্যকে বিরক্ত করতে হবে" বলল কিফার।

"কিভাবে?" উত্ত্যেজিত হয়ে বলল শাহাবাজ ও আমিরাহ।

"তাকে সুরসুরি দেওয়ার কোনো জিনিস পত্র আছে?" বলল কিফার।

"হ্যা, বড় কলমের পাখা দিয়ে" বলল আমিরাহ।

কিন্তু হঠাত, ক্রোশ জোড়ে শিংহের মত হুংকার দিয়ে উঠলো।

"কে আমার ঘুম ডিস্টার্ব করেসে, শালারা!" চিৎকার দিয়ে বলল ক্রোশ।

"দেখসো? আমরা জোড়ে জোড়ে কথা বলে ঘুম থেকে উঠিয়েছি!" বলল আমিরাহ।

ক্রোশ-দৈত্যটি লাফ দিয়ে উঠে চোখ বড় বড় করে দেখলো শাহাবাজ ও কিফারকে। দেখতে সাধারণ মানুষের মতো নয়। সে অনেক বড়, মোটা, কান বড় এবং মাথা টাক। তার চোখ ছিল সবুজ আড় পড়া ছিল বাদামি রঙের জামা ও প্যান্ট।

"ও, নতুন মানুষ, তাই না? আমাকে আক্রমন করতে আসছিস, তাই না? তোদের দেখতেসি, দাড়া!" ক্ষেপে বলল ক্রোশ।

"আমাকে খাবেন না, অকে খেয়ে ফেলেন"মেয়েলী গলায় ভয়ে কেঁপে বলল শাহাবাজ যখন কিফারের পীছনে লুকানোর চেষ্টা করে ছিল।

কিফার সাথে সাথে খাঁচার কাছে চলে গেলো। তবে ক্রোশ রাজবাড়ীর চার পাসে শাহাবাজকে ধাওয়া করছিল। কিফার তার বস্তার থেকে রশি বের করে চাবির উপর ছুড়ে মেরে, দরীর আখড়া দিয়ে চাবিটি টেনে দিল। তারপর কিফার খাঁচা খলল। তবে শাহাবাজ এখনো মুর্তির পীছনে লুকিয়ে ছিল। কিফার আস্তে ধীরে আমিরাহকে বের করলো। আমিরাহ টেবিলের থেকে কলমের পাখা বের করলো। কিফার তারপর দ্বৈতের চোখের উপর মারলো। তবে লক্ষন ভালো, যে, তার চোখ অন্ধ হয় নিই, কিন্তু সে মানসিকভাবে ভেঙে পরলো।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Where stories live. Discover now