৩২

1 0 0
                                    

"শালা দারগারা! সব কিছু ঢিশমিশ করে দিসে!" মনে মনে বিরক্ত হয়ে বলল শাহাবাজ।

তারপরে দৈত্য ক্রোশ তার ঘাড় নীচু করলো। তারপর ত্রয়ী- শাহাবাজ, কিফার ও আমিরাহ নীচে নামলো। যখন রাজপ্রাসাদে প্রবেশ করলো, তখন কমলাপুরের মহারাজ আমিরাহকে দেখে শান্তি পেলো এবং চমকে গেলো।

"আমিরাহ, আমার শোনার মেয়েটা! তুমি ঠিক আছো তোহ?" স্নেহে কন্ঠে বলল কমলাপুরের মহারাজ। আমিরাহকে খুশিতে জোড়িয়ে ধরার চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু আমিরাহ তার বাবাকে আস্তে ধাক্কা দিয়ে ছিল।

"বাবা, যেহেতু আমি নিয়ম ক্যানন শিখছিলাম তাই তোমার কথা মেনে নিয়েছি। তবে আমি যখন মাসটারদের সাথে পড়াশোনা করতাম, তখন সবসময় শুনতাম যে বেশির ভাগের রাজকন্যারা আবেগবিহীন। খুব দুঃখের বিসয়! আপনার তো এরকম নাও চিন্তাও হবে যে এরকম হলেও মানসিক ভাবে ক্ষতি হতে পারে। খোদা মাফ করে! কিন্তু আজকে আমি ভিতরে মানবতা খুজে পেয়েছি। যেহেতু এই দৈত্য ভাই আমাকে ঠিকি অপহরণ করেছিল, তবে আমাকে কোনো ক্ষতি করে নিই। কিন্তু তোমার ব্যাপারে যা শুনলাম, আমি অনুতপ্ত হয়ে গেছি!" কেঁদে বলল আমিরাহ।

"মা, তোমাকে কি এই দৈত্য, মগজ ধোলায় করেছে? আমার তো মনে হয় তাই! সৈন্যরা, তাদের হাড়-হাড্ডি চুরমার কর!" চিৎকার দিয়ে বলল কমলাপুরের মহারাজ।

সৈন্যরা কিফার এবং শাহাবাজের উপস্থিতি দেখে তারা থমকে গেলো। তারপর দৈত্য ক্রোশ ভিতরে ঢুকে সব সৈন্যদের লাথি মেরে পুরা রাজ-সিঙ্ঘাসন চুরমার করে দিল।

"তোরা কেন থামতেসিস! ফাটা আলুগুলো!" চিৎকার দিয়ে বলল কমলাপুরের মহারাজ, হাফিজ।

"আপনি ভুল করছেন, মহারাজ। আমাদের নিয়মের অনুসারে, আমরা অন্য কোনো রাজা বা সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করতে পারবো না, অপরাধী ছাড়া! তবে যদি প্রমান থাকে, তাহলে আমরা গ্রেফতার করবো। তবে কোনো প্রমান নেয়, প্রমান এবং তার পরিনতি তো সব আপনার বিরুদ্ধেয় পরছে। ক্ষমা চাচ্ছি মহারাজ " বলল সৈন্যদের মধ্যে একজন।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora