2 1 0
                                    


ভোড় হল, বানরেরা উঠলো। যুবা দেখলো যে আব্দুল বাঁশ এবং কলার পাতার তৈরি করা তাম্বুর ভিতরে ঘুমাচ্ছিল। তারপর যুবা আব্দুলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিল। আব্দুলের ঘুম ভেঙে তার চোখ প্যাচা পাখির মতো বড় বড় করে তাকাচ্ছিল।

"ভোর হল চোখ খোলো, খোকামুনি উঠোরে! তুমি যদি উঠ তাহলে তোমাকে ফ্রেশ লাগবে" বলল যুবা।

"আমি দুপুর বেলায় উঠি" গম্ভীর গলায় বলল আব্দুল।

"ভুল, এখন থেকে অভ্যাস কর, বাবা" বলল যুবা।

"উফ! মেজাজ খারাপ লাগছে। এ সি নেয়! খুব গরম লাগছে" ন্যাকামি করে বলল আব্দুল।

"হায় রে! জমিদার সাহেব, ভাগ্যিস তোমার মা এই অবস্থা দেখে নিই। যাইহোক, এই ক্যাপ্রেন!" চিৎকার দিল যুবা।

ক্যাপ্রেন হুরমুর করে এমন ভাবে আসলো যে সাদা খরগোশ লাফিয়ে আসছিলো।

"সকালের খাবার প্রস্তুত, ভদ্রলোক?" জিজ্ঞ্যাসা করলো যুবা।

"জি, স্যার" বলল ক্যাপ্রেন।

ক্যাপ্রেন আস্তে আস্তে খাবার দিচ্ছিল। তখন যুবা দেখলো আব্দুল ঘেমে শীতে কাপছিল কিন্তু অসুস্থবোধ করে নিই। কারণ গাছ ছিল ঠান্ডা এবং পুরা বন ছিল সবুজ ও নানান রঙের পাতা, বাতাসে ঝুলছিল। চারপাসে পরিষ্কার, এবং বাতাস একদম বরফের মতো চলছিল। যুবা, আবুলের ঘারে বাবার মতো আদর করে হাত বসিয়ে দিল। তবে তার মায়ে মৃত্যুর পর, প্রথমবার, আব্দুল মন থেকে মুচকি হাসছিল।

"গতকালকের জন্য আমাকে ক্ষমা করে দিও। তোমাকে অপহরণ করাটা আমাদের ভুল ছিল। তাছাড়া, সুন্দরবনের গেস্ট হাউসের থেকে তোমাকে নিয়ে আসতাম যেখানে আমাদের শান্তিপারার প্রবেশ ছিল। তুমি প্রথম মানুষ নয় যে পশুপাখিদের সাথে কথা বলতে শিখেছো। আরো দুইজন মানুষ ছিল- তোমার মা এবং রাজা সাহাবাজ। কেউ কেউ আছে যারা সত্যিকারের মনের ক্লান্তু, তাদের মৃত মা বা প্রিয়োজনের আত্মার মাধ্যমে আমরা উপহার দিয়ে দিই। কিন্তু কেউ কেউ আছে জন্মের থেকে এরকম। সবায় এরকম পায় না" বলল যুবা।

"আপনাকে ক্ষমা করতে হবে না, স্যার। আমার ক্ষমা চাও্য়া উচিত। আমি তো আসলে বুঝতে পারি নিই যে রাজার গল্পটি সত্য হতে পারে। কারণ এই ঘটনাটি ২০০ বছর আগেয় ঘটেছিল, সাথে অনেকে এই গল্পটি ভুলে গিয়েছিল। সাথে গভেশোকেরা রাজার গল্পের মূল তথ্য পায় নিই। বাবা সবসময় এই গল্পটি বলতো" বলল আব্দুল।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora