৯
"কৃষি কাজ কেমন চলছে, আকবর কাকা?" জিজ্ঞ্যাসা করলো শাহাবাজ।
"মহারাজ, আমি খুবই অসুস্থ! আমাকে ছেড়ে দেন!" বলল রহিম, সাবাহ-এর বাবা।
"আমাকে কি মনে হয় যে আমি সহজে ছেড়ে দিব? আমার তো মনে হয় আপনি ভান করছেন" ব্যাঙ্গপুর্নভাবে বলল শাহাবাজ।
"আপনি রাগ এবং ক্ষোভ-এ অন্ধ হয়ে গেছেন! আপনার মগজটি একটু ঠিক করেন, মহারাজ!" রেগে দুর্বল গলায় বললেন রহিম।
"তাহলে, তুমি আমার প্রহার পাওয়ার যগ্যতা অর্জন করলেন! সাব্বাস!" বলল শাহাবাজ। সে তার কোমর থেকে চাবুক খুলে নির্মমভাবে মারা শুরু করেছিল। সে বার বার আর্থনাদ করে মারতে নিসিদ্ধ করছিল। তবে সাবাহ যখন থামাতে গেলো। তবে এই পরিস্থিতি অন্তিম হয়েছে রহিম চাচার শেষ নিঃশ্বাসে। সাবাহ সহ, সবাই এই নির্মম মৃত্য দেখে চমকে গেলো। কিন্তু সব চাইতে বেশি ভয় পেয়েছিল, শাহাবাজ নিজেয়, যে কল্পনাও করতে পারে নিই, তার রাগ এতোটা নিষ্ঠুর বানিয়ে দিতে পারে।
সাবাহ-এর বাবার লাস কোলে নিল মাটিতে। কান্নাকাটি করলো কিছুক্ষন। সাহাবাজ-এর শরীর কাঁপতে শুরু করলো। সাবাহ তারপর রাগের চোখ দিয়ে উপরে শাহাবাজের দিকে তাকিয়ে ছিল। ভয়ংকর পরিস্থিতি!
"আমি জানতাম যে আপনি নিষ্ঠুর, কিন্তু এতো নির্মম হবেন, এটাও আমি কল্পনাও করতে পারি নিই। আমার বাবাকে হত্যা করেছেন, কিন্তু আপনি চিন্তা করেছেন, যে আমার মা, যে আমাদের শিক্ষা দান করেছন এবং লালন পালন করেছেন? তিনি যদি বেঁচে থাকতেন, তাহলে আপনি কখনো এরকম করতেন না। যে পিতা যে কৃষি কাজে শিক্ষা দিয়ে ছিল, আপনি তাকে হত্যা করলেন? যে বাবা, সবসময় তোমার ভালোর জন্য প্রার্থনা করছিলেন, তাকেয় আপনি মেরে ফেললেন? আপনি তো মানবতাই ভুলে গেলেন! সে আপনার জন্য অনেক কিছু করেছে, আপনি কি দিলেন? মৃত্যু! আপনাকে আমি অনেক সম্মান করেছি, কিন্তু আপনি কি করলেন? আপনি তো হয়ে গেলেন রক্ত চোষা পীশাচ! আড় কিফার, মন্ত্রী সাহেব, তুই অনাকে থামাস নিই কেন? তুই তো মিয়াহ চামচা! মহারাজ, আপনি কখনো জীবনের বাস্তবতা দেখেছেন? আপনার বাবা, এমনি রাজা ছিল না। সে কষ্ট করেয় রাজা হয়েছে। তবে এই গ্রামের শুখি জিনিসটির হাত কেটে নিয়েছো। যদিও সবার কষ্ট এক রকম নয়, তবে আপনিও বুঝবেন কষ্টের আসল অর্থ! নিজেকে ভালোবাসতে শিখবেন তাহলে অন্যদেকে ভালোবাসবেন। তাছাড়া...সুধ্রপারের মানুষ এবং সারা পৃথিবী আপনার অত্যাচারে অত্যাচারিত হবে" বলল সাবাহ।
BINABASA MO ANG
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Fantasy1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...