১৩
"তা বটে" বলল শাহাবাজ।
তারা গেলো সিংহের আস্থানায় তবে শান্তিপারার মূল অইতিয্যের থেকে একটু দূরে। চার পাসে ক্ষয়রি রঙের ঘাস, সাথে ছোটো পুকুর, মাঝখানে পাথরের গুহা, যেখানে সিংহ শুয়ে থাকে। একটু দূরে ছিল কাঠের ব্যরা দেওয়া কুস্তীর মাঠ এবং মাঠের মাঝখানে পাথর ছিল। পুরা শান্তিপারার মধ্যে এক মাত্র জায়গা যে তীব্র গরম। গুহার মাটিতে বসে ছিল দুই বাচ্চা সিংহ, এক জুয়ান সিংহ, এক তরুনী সিংহী এবং সম্মানিত মরব্বি সিংহ, যিনি সম্মানভাবে গুহার থেকে বের হল।
"মাটা, আমার পরম মিত্র, ভালো আছো?" বলল কুমা।
"হুম, ভালোরে মিত্র" ফুরফুরে মেজাজে বলল মাটা।
"এই মানুষ প্রজাতি এখানে কি করছে?" জিজ্ঞ্যাসা করলো
"ও কুমা, সে আমাদের মানুষ প্রজাতির একজন রাজা। কিছু কারণে সে শান্তি হাড়িয়ে ফেলছে। এই যন্ত্রনার কারণে সে এখানে শান্তি খুজছে যাতে তার রাজ্যকে শান্তি প্রচার করতে পারে" বলল মাটা।
"আমার এখনো, হাকিম সাহেবের নিয়মের কথা মনে পড়ে। এবং তিনি হাকিম সাহেবের নিয়ম-এর মতাবিক পালন করেছেন। আমার হাকিম সাহেব-এর উপর আরো সম্মান বেড়ে গেলো" বলল কুমা।
জুয়ান সিংহটি ছিল কুমার পুত্র সাবু-ভবিষ্যতের রাজা। তার সাথে ছিল তার স্ত্রী, ডাইনা-শান্তিপারা-এর ভবিষ্যতের রানী, সাথে সাবুর যমজ পুত্র, হাফা এবং লাফা। কুমা তাদের সবাইকে পরিচয় করে দিল।
তারপর কুমা, যুবা ও শাহাবাজকে সিংহের আস্থানার থেকে বাহিরে ঠান্ডা জঙ্গলে নিয়ে গেলো। চারপাসে গাছগাছালী এবং মাঝখানে ছিল ভাঙ্গা গাছের ডাল। নীচে ভড়া ছিল ঘাস। তারা শুনেছিল হুংকার এবং মেঘের ডাক। যুবা এবং শাহাবাজ শব্দ শুনে ভয় পেয়ে গেলো।
"ভয় পেয়েও না, এটা বাঘের শব্দ" বলল কুমা।
এক রাজকীয় বাঙ্গাল বাঘ ডালের উপর দিয়ে লাফ দিয়ে নীচে নামলো। যখন কুমাকে দেখলো সে ভয়ে পরে মাটিতে পিছলিয়ে পরে গেলো এবং তার হিংস্র ডাকও কমে গেলো।
YOU ARE READING
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Fantasy1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...