"হাসতে দেখ,
গাইতে দেখ,
অনেক কথা, মুখর আমায় দেখ,
দেখ না কেউ হাশির শেষে, নীরবতা" –আইয়ুব বাচ্চু...
"এই পথ যদি না শেষ হয়,
তবে কেমন হতো,
তুমি বলতো,
যদি পৃথিবীটির সপ্নের দেশ হয়, তবে কেমন হতো, তুমি বলতো"- হেমন্ত কুমার, সন্ধায়া মুখপধ্যায়...
কিচু ঘটনা এমনভাবে উপস্থাপন করে যেটি মাথার ভিতরে টল টল করে এবং মনের ভিতরে ছাপ লেগে যায়। আমার তো প্রচুর বয়স হয়ে পড়ছে, মজার ব্যাপার না? এখন বলবো যে এই পর্ব, শান্তিপারার অন্তিম যাত্রা হবে। আপনারা অনেকে তাদের সুসময়ের দিকটি সাক্ষী হয়েছেন, সাথেও ওই সুসময়ের গল্পটির দিকে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু আমি বলবো যে, আজকে আপনি ভয়ংকর দিকটি সাক্ষ্য হবেন। শান্তিপারা, সবচেয়ে সুন্দর এবং মধুর স্থান-এর কথা এখনো শুনা যায়, তবে হিসাবে অনেক কম।
আমি, ডাক্তার কালাম আহমেদ, বলতে চাই শুধু এক গল্প নয়। একটি বংশের গল্প। আপনি হয়তো, মেহসাম-এর 'এক নিখোঁজ বৃক্ষ' টি এবং আবদুলের 'বনের ডাক' টি পড়েছেন। এইবার এখন আমি এই গল্পের বড় ভূমিকা পালন করছি। কিন্তু আমি যে কাব্যটি লিখছি, এই গদ্যটি হল শান্তিপারার অন্তিম যাত্রা। আমার সাথে যে ঘটনামূলোক ঘটেছে, একদম চর্কির মতো। যাইহোক,আমার কন্যা,যাফ্রিন এবং আবদুলের মেয়ে, নিশি পুরা দুই আপন বোনের মতো। যেখান থেকে জানি যে নিশি তার বাবা-এর কাছ থেকে কিছুটি রাগ পেয়েছে, তার মাঝে, নানীর কাছে পেয়েছে তার দয়া। তবে, তার সাহসীকতা, তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিশয়, সে জানতে পারে যে তার মা, সেহারা এখন এমন একটি জায়গায় আছে যে আমাদের মতো গল্পের সাক্ষীর চিন্তার বাহিরে। তা হল গিয়ে, সেহারা এখন মাংসিক রোগের জেলখানায় উপস্থিত আছে। শুনে পরিচিত লাগে? হ্যা, কিছুটি শাহাবাজের অন্ধকূপের মতো, তবে বর্তমান অবস্থায়। কেন? আপনারা গল্পের মাঝখানেয় বুঝতে পারবেন।
আমি ডাক্তার হিসাবে বলবো, যে, যদিও আমি অতিপ্রাকৃত গল্প শুনেছি- তাও বিশেষ করে আবদুলের কাছে, কিন্তু আমি কখনো অতিপ্রাকৃত জিনিস শুনে নিই। কিন্তু এই গল্পটি আমাকে অতিপ্রাকৃত পথে নিয়ে এসেছে। দুঃখের বিশয় যে আমরা ধর্মসঙ্ক্রান্তে বিশ্বাস করি, কিন্তু সার্বজনীন সত্য এবং জ্ঞ্যাঙ্কে অমান্য করে ভুলে গেছি। যখন আমি শান্তিপারার ব্যাপারে পড়াশোনা করলাম, তখন আমার আস্তে আস্তে কিছু ঝলক দেখে আধ্যাতিক জ্ঞ্যান এবং সার্বজনীন চিন্তা ও চেতনার উপর বিশ্বাস চলে এসেছিল। কারণ যদি অতিপ্রাকৃত জিনিসটি এমনই, যে, মনরোগ দাক্তারেরাও এটাকে যদি যুক্তি দিয়েও প্রমান করে না, তবে এটা কুদ্রতের ফল। যদি আমরা অতিপ্রাকৃত তাহলে তারাও অতিপ্রাকৃতকে বিশ্বাস করতে পারে। শান্তিপারা, এখন কলিযুগের জন্য একটি কল্পকাহিনী হয়ে গেছে। সবাই বলে যে হাকিম এবং রাজা শাহাবাজ একটি কল্পকাহিনী। কিন্তু আব্দুল তার বই এবং তার প্রমানের কারণে এটা পুরাকথা হতে পারে নিই। আবদুলের গল্পটি এখনো অনেক প্রচলিত, যখন ঘুমের আগেয় বাচ্চারা গল্প শুনত। সাথে আবদুলের জীবনি বইতেও কিছু এমন তথ্য ছিল যে এটি প্রকাশ ও বিকৃ হওয়ার সত্যেও অথ্যটি ঠিকভাবে ধরতে পারে নিই। এই সত্যেও সাহাহবাজ ও আবদুলের গল্প এক ধরণের কিংবদন্তি গল্প হয়েছে।
কিন্তু, আবসোস, তার মেয়ে, নিশি শান্তিপারার ইতিহাসকে রূপকথা মনে করে। কিন্তু সে কি শান্তিপারার গোপনীয় সত্যিটি জানতে পারবে? আমরা এটাও জানি যে, নিশি সবসময় ঘুমের মধ্যে শান্তিপারার স্বপ্নটী দেখে, তবে এই স্বপ্ন কি বাস্তবে পুরন হবে? বাবা মৃত এবং মা মানসির রুগির আস্রমে, এখন আমি, আমার স্ত্রী এবং আমার মেয়ে, যাফ্রিন, নিশিকে লালন পালন করেছি। আমি আজকে নিশির উতসর্গে এই গল্পটি লিখছি। এর বিনিময় আমি আসা করি, যে নিশি এই গল্পটি পড়ে মানসিকভাবে সক্ত হোক এবং এই কঠিন বাস্তবতাকে আপ্যায়ন করে। আজকে নিশির বাবার একটি চিঠি পড়িয়ে শুনাই।
"প্রিয় শোনা মেয়েটি,
আমি আজকে নতুন একটি গভেশোনার উদ্দ্যেসের জন্য শান্তিপারায় গেছিলাম। সাথে আমাদের পরদাদা, শাহাবাজের কবরও জিয়ারত করলাম। তবে এমন একটি না বলার ভয়ংকর দৃশ্য দেখে, আমার মনে খুবই ভীতি জন্ম নিলো। শান্তিপারা...এখন বিপদে। মা, তুমি নিজেকে একা মনে কর না। তোমার মন একদম তোমার মায়ের মতো, সক্ত এবং বুদ্ধিমুতি। তোমার কালাম চাচা, তোমাকে লালন পালন করে মানুষ করবে। চিন্তা কর না,মা,সব ঠিক হয়ে যাবে।
ইতি
প্রফেসর আব্দুল আসেফ খান
তোমার বাবা"
আমার প্রত্যেক বার, এই চিঠিটি পড়লে, আমার চোখের জ্বল আসে। এখন, পরিস্থিতি এসে গেলো অন্ধকার জগতে। সেই জগতে শুরু হবে, এই গদ্যটির শেষ শময়।
ESTÁS LEYENDO
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Fantasía1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...