১৬
ইতোমধ্যে, সুদ্রপারের জনগনেরা অন্ধকূপের ভিতরে লম্বা শীকর দিয়ে বাঁধা ছিল। সবায় কষ্ট, দুঃখ ও যন্ত্রণা অবস্থায় ছিল। কিফার এবং হাফিজ অট্টহাসি দিয়ে পানপত্রে মদ পান করে রাজবাড়ীতে ঢুকছিল। তবে ভিতরে ঢুকতে ঢুকতে হাফিজের মনটি খারাপ হল, এমন যে ভীতি তৈরি হল যে কিছু বিপদের সংখেত হবে। কিফার এখন লম্বা কাপড় পড়া ছিল এবং দেখতে ছিল একদম সুন্দর তরুনের মতোই। এমন ছিল যে মেয়েরাও পটে যাবে। তবে হাফিজ হল চুলবিহীন এবং বিনা দাড়িতে। তবে কিফারের চেয়ে একদম খাটো।
"কি হল, মন্ত্রী মসাই? হঠাত, মন খারাপ?" জিজ্ঞ্যাসা করলো কিফার।
"কিছু নয়। তবে আমি আমার মেয়ে, আমিরাহ-এর কথা খুব মনে পড়ছে। সে আসলে মনে হয়, অন্ধকারটি আলো হয়ে পরেছে। সে আসলে মনে হয়, আমার মনটা উজ্জ্বল হয়ে উঠে। তবে আমি জানি না কি করবো" বলল হাফিজ।
"নিজের মনের সাথে চিন্তা করে কথা বলবেন। আমি জানি যে যতই আপনি ক্ষমতা লোভী হবেন না কেন, আপনার মনের ভিতরে একটি পিতা বসবাস করে, সত্যি কিনা?" বলল কিফার।
"রাজা হওয়ার কোনো ছেলেবেলার খেলা নয়। এইটা রাজনৈতিক খেলা, কিফার! আমরা তো চাই পরিবেশ পরিষ্কার করতে, তাই না?" বলল হাফিজ।
"হুম! তাও তো বটে। তবে, আমি এইসব আড় পরওয়া করি না, মন্ত্রী সাহেব! কারণ তুমিও এক সময় আমাকে অপমান কাছে ছিলে, যখন আমি সে শয়তান শাহাবাজের মন্ত্রী ছিলাম! তবে, সবায় আমাকে গরীব বলে এতো অপমান করেছে যে আমি সিদ্ধান্ত নিয়ে ছিলাম, যে আমি রাজা হয়ে এই রাজ্যকে এবং পৃথিবী হাসিল করে আমি পুরা মানুষ জাতিকে ধ্বংস করবো যে আমি নিজেয় শান্তি পাবো। আমি ক্ষমা চাচ্ছি। তবে...তোমাকে মরতে হবে! আড় কোনো উপাই নেয়!" বলল কিফার।
"কি বলছো? আমি কিছু বুঝতে পারছি না?" বলল হাফিজ
"ঠিক শুনেছেন, মন্ত্রী সাহেব। আপনি আপনার গুনাহ-এর কারণে মৃত্যু বরণ করবেন, তাও আমার হাতে! খোদা হাফিজ মন্ত্রী সাহেব। আমি কখনো হার মানি না!" অট্টহাসি দিয়ে বলল কিফার।
YOU ARE READING
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Fantasy1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...