৬৩

1 0 0
                                    


১৩

চিতা বাঘিনীর অতি উচ্চ লাফ দেখে, নিশি ভয়ে জোড়ে শ্বাস নিলো। তার ভয়ের কাঁপানই দেখে সে মাটির নীচে নেমে গেলো, সাথে পিছলিয়ে পড়ে নিজেকে থামালো।

"ভয় দেখানোর জন্য সরি" মুচকি হাসি দিয়ে বলল বাঘিনী।

"কোনো অসুবিধা নেয়" তোতলায়ে বলল নিশি।

" আমি শিবা। আপনার সাথে দেখা করে অনেক ভালো লাগলো" বলল বাঘিনী, শিবা।

শিবা, তার পা উপরে উঠিয়ে হাত মেলানো চেষ্টা করে ছিল। নিশি যদিও লজ্জা পাচ্ছিল, তাও তার হাত মেলালো। সেভাবে তাদের বন্ধুত্ব শুরু হল। এমনই যে আলো জ্বলল। সাথে, হালকা সুর্যের আলো পড়লো। কারণ পরিস্থিতি অন্যরকম, তাই তাদের কোনো সত্রুতা হওয়ার সুযোগ কম।

"এই বাঘিনী অনেক ভালো আদব কায়দা জানে" বলল আব্দুল।

শিবা মাথা নত করলো।

"আসসালামওয়ালাইকুম, গুরুজি" বলল শিবা।

"আমি তাকে আদব কায়দা..." অহংকার করে বলতে গেলো রকো, কিন্তু যুবা ইচ্ছে করে তার গলা ঠিক করেছিলো। এতো অহংকার করে কিশের লাভ? ভাই রকো, তোমার বয়সের সাথে যায় না। বুঝেছি যে শান্তিপারার প্রজাতিদের আস্তে আস্তে বয়স বাড়ে, কিন্তু প্রায় ২০০ বছর হয়ে গেলে কি মানে, একই চরিত্রে থাকতে হবে?

"ও দুঃখিত, সে আদব কায়দা তার মায়ের কাছ থেকে পেয়েছে। তবে এই দ্রুত দৌড় আমার কাছের থেকে পেয়েছে" বলল রকো।

ইতোমধ্যে, জ্যারেড এবং শাহানা 'বানরের বৈঠক'-এর বাহিরে গেলো। সাথে বানরের সামনে কবির তার দৈহিক শক্তি দেখাচ্ছিল। সব বানরেরা তার উপর মজা পেয়ে ছিল। জ্যারেড এবং শাহানা পুরানো দিনের কথা বলতে হাটতে হাটতে জলাভুমিতে চলে গেছিলো। শাহানা জলা নদী দেখে সে রহস্যময় অনুভতি করলো। নদীর কাছে যেতে গিয়ে থামালো ক্যাপ্রেন।

"এই জলাভূমিতে যেতে আমি বারণ করছি" বলল ক্যাপ্রেন।

"কেন?" বলল জ্যারেড ও শাহানা।

হঠাত, জলা নদীর থেকে বের হল ম্যাকসি পড়ার একটি মহিলা। সে আড় কেও ছিল না, সে ছিল- সেহারা! সে উড়িয়ে বের হল। পানিগুলো উপরে উঠলো। তার চোখ ছিল টকটকা লাল এবং চেহারাটি ছিল পুরো সাদা। বের হচ্ছিল কালো রগ। তার চোখের নীচে কালি পড়ে ছিল। সে এমন হয়ে গেছিলো যে সে পিশাচ হয়ে গেছিলো। সেহারার হুংকার করে তার মুখ থেকে থুথু বের হয়ে ছিল।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Nơi câu chuyện tồn tại. Hãy khám phá bây giờ