ক্যাপ্রেন আরো বলল-
"আমাদের সম্মানিত জীবেরা শিক্ষকের বরাবর। মানুষের দুনিয়ার কাছ থেকে শিখে স্বাভাবিক জীবদের শিক্ষিত করে তুলে। আমরা যারা শান্তিরক্ষী জীব মানে আপনারা কি বলেন যেনো, রাষ্ট্রদূত সবসময় অতিথিদের সেবা করি, যাদের মন ক্লান্ত, তাদেরকে যুবার কাছে নিয়ে পরামর্শ দেই। কিছু জীব মরে গেলে জোনাকি পোকা হয়ে যায়। তারা হল মৃত সাহায্যকারী মরব্বী। যদিও কিছু মরব্বী বেঁচে আছে, তার ক্ষেত্রে আলাদা নাম আছে...থাক পরে বলবো। যাইহোক, সবচাইতে বড় শিক্ষক হল উপরওয়ালা, যিনি আমাদেরকে অনেক ভালো কিছু শিখায়, কিন্তু দুক্ষের বিষয় ,যত আজ সভ্যতা বারছে, তত অসভ্যতা বেড়ে যাচ্ছে। আমি ভুল কি না, জানি না। তবে দেখে মনে হল সত্যি "
আব্দুল নিজেকে প্রশ্ন করতে লাগলো যে সে আসোলে কে? তার আসোল লক্ষ কি? তার পুরানো সভাবের জন্য কেন নিজের সাথেও অন্যদের ক্ষতি হয়ে গেলো? যাইহোক, গভীর রাত হয়ে গেলো, আব্দুল তাম্বুর সামনে ঘুরছিল। তখন যুবা ও কাড়া সামনে এসেছিলো।
"কি, স্মৃতি গলিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত?" বলল যুবা।
"গুরুজি, কেমন করে আপনাদের সাথে সব কিছু ঠিক হল?" জিজ্ঞ্যাসা করলো আব্দুল।
"অনেক লম্বা ঘটনা। ছোট করে বললে, যদি আমরা সারাজীবন ঘৃনা করতে থাকি, তাহলে আমরা সব চেয়ে বড় পোঁচা টমেটো কে হবে?" বলল কাড়া।
"আচ্ছা, স্মৃতির গলি এখন প্রস্তুত" বলল যুবা।
যুবা, কাড়া এবং আব্দুল স্মৃতির গলিতে লাফ দিয়ে ভিতরে ঢুকল। ভিতরে দেখলো যে, ওই সময়, যুবা ও কাড়া গাছের থেকে ফল নিচ্ছিল। সাথে রাজা সাহাবাজ পুরা শান্তিপারায় তাম্বু সাজিয়ে দিচ্ছিল। সে জুয়ান ক্যাপ্রেন, ধ্রুত দৌড়িয়ে বলল "যুবা, আপনার বাবা, বড় গুরুজি এখন বিছানা আছে। সে অনেক অসুস্থ"
যুবা ও কাড়া, রাজার বানানোর কুঁড়েঘরের ভিতরে, এক বৃদ্ধ ব্যাবুন-যুবার বাবা-দুর্বল হয়ে খাটে শুয়ে ছিল। সে দুঃখের চোখে যুবার দিকে তাকালো।
"বাবা!" নরম গলায় বলল যুবা।
"এসেছো? বাবা? আজকে আমার একটি শেষ ইচ্ছা বলতে দিও। এখন শান্তিপারার শিক্ষার দায়িত্ব, তোমাকে দিলাম। শিকারীরা আমাদের সেরা বাঘ, দামাকে মেরে ফেলেছিল। কে সিকারী, জানি না। কিন্তু শান্তিপারাকে এবার রাজা ও তুমি মিলে অশান্তির থেকে রক্ষা করতে হবে...এবং রাড়া!..." বলতে গিয়ে যুবার বাবা চোখ বন্ধ করে ফেললো।
![](https://img.wattpad.com/cover/287783570-288-k780609.jpg)
VOUS LISEZ
শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)
Fantasy1- বনের ডাক জীবনে কিছু বিষয় আছে যেমন ভালোবাসা ও অহংকার। এই দুই অনুভুতিকে আমরা ভাগ করতে পারি না কারণ আমাদের মতো মনুষ্য প্রাণীতা কিছুটা বিচিত্র ধরণের। আমি, আজকে যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে যাচ্ছি সেটা নিয়ে আমার মনে নানা রকম প্রশ্ন তৈরি হয়। আমরা, মানুষের মতো...