৩৬

1 0 0
                                    


১০

"মা" কেঁদে বলল শাহাবাজ।

"হ্যা, আমি তোমার মা" বলল পরী, শাহাবাজের মা।

শাহাবাজ তার মা কে দেখে অনেক খুশি হল। তার আবেগ কাজ করছিল না। তবে সে নীরবে কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছিল। সে বুঝতে পারছিল না যে সে কি তীব্র আলোতে তার মাকে জোড়িয়ে ধরতে পারবে, কি না? এমন অবস্থা।

"মা, তুমি এইভাবে কেন চলে গেলা? তোমার সন্তান তোমার সামনে এসে শান্তির ভিক্ষা করছে! আমি খুবই অশান্তিতে আছি। তুমি যদি থাকতে, আমি এতোটা অকাল কূষ্মাণ্ড হতাম না, আমি অশান্তিতে ভুগতাম না। আমি খুবই অশান্তিতে ভুগছি, মা!" কাঁদতে কাঁদতে বলল শাহাবাজ।

"আমি তো সব জানি বাবা। মনে কর তোমার বাবার শেষ ইচ্ছাটি। সে তোমাকে যা বলেছিল তা করতে হবে। শান্তিপারা তোমার জন্য অপেক্ষা করছে, বাবা। তুমি যদি বাবার কাজটা কর, তাহলে উপরওয়ালার তরফ থেকে কোনো রহমত আসতে পারে" বলল শাহাবাজের মা।

"আমি নিজে কেমন করে আমার পিতার শেষ ইচ্ছেটি পূরণ করবো? এই কাজটি করার জন্য আমি যোগ্যতা অর্জন করি নিই। তার মাঝে যার কাছ থেকে গাছ ও যমীর দেখাশোনা করতে শিখেছিলাম, সেয় আমার হাতে মৃত হয়েছে! আমি ভুল করে হত্যা করেছি! আমি আমার ভালবাসার মানুষজনকে হারিয়ে ফেলেছি- তুমি, বাবা, দাইমা করিমি ও রহিম চাচা" কেঁদে বলল শাহাবাজ।

"আমার জানার মতে রহিম অসুস্থ ছিল। তুমি যদি তাকে না মেরে মুক্ত করতে, তাহলে আজকেও বিশ্রাম নিয়ে বেঁচে থাকতো। যদিও বয়স হয়ে গেছে, সময়ও হয়ে উঠেছে সে এমনই ও দুই তিন দিন পর চলে যেত। যাইহোক তোমার কি, মানসিক সমর্থন করার জন্য বৌ নেয় নাকি?" জিজ্ঞ্যাসা করলো শাহাবাজের মা।

"বউ আছে, কিন্তু, তার বাবা, ওই শয়তান হাফিজ করিমিকে হত্যা করে ছিল এবং ওই দৈত্যদের অন্ধকূপে রেখেছিল। সে রাজার চেয়েও ঠগি হওয়াই ভালো ছিল। সে শালা গাদ্দার। কিন্তু আমার স্ত্রী, আমিরাহ কে দেখলে আমার খুব মায়া করে। যখন করিমি বেঁচে ছিল, আমি আমিরাহ-এর কোলে ঘুমাইতাম যখন সে গল্প শুনাতো। তার স্নেহের সপর্সটি মনে পড়লে আমার মনটি অনেক শান্তি পায়। কিন্তু করিমি মরে যাওয়ার পর, সব কিছু...সব কিছু তছনছ হয়ে গেছে, মা" বলল শাহাবাজ।

শান্তিপারা সমগ্র (Peaceland Trilogy Bangla Edition)Donde viven las historias. Descúbrelo ahora